ঘরে বসে ইন্টারনেট থেকে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সেরা উপায় গুলো কি কি ? (how to earn money online from internet) আজ আমরা প্রত্যেকেই এবিষয়ে জেনেনিতে চাই।
আর তাই ইন্টারনেটে আয় করার উপায় এবং পদ্ধতি গুলোর বিষয়ে আজ আমি আপনাদের জানাব।
এখনের এই ইন্টারনেটের যুগে আমরা সবাই চাই যে,
আমাদের হাতের কাছে যেই স্মার্টফোনটি বা কম্পিউটারটি রয়েছে সেটিকে ব্যবহার করে অনলাইনে কিছু পরিমাণ টাকা যদি সহজে ইনকাম করে নেওয়া যায় তাহলে অনেক সুবিধা হয়।
কারণ,
- প্রথমত – আমরা আমাদের ফাঁকা সময় ব্যবহার করে পার্ট টাইম কিছু করতে পারি বাড়িতে বসেই।
- দ্বিতীয়ত – কম বা বেশি, হাতে কিছু পরিমাণ টাকা আসলে সেটা আর্থিক দিক দিয়ে আমাদের অনেকটা সচ্ছল করে।
আর তাই, আজ আমি অনলাইনে ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করার উপায় গুলো নিয়ে কথা বলবো, সেগুলোর থেকে খুব ভালো পরিমাণ টাকা আপনি উপার্জন করতে পারবেন।
উপায় গুলোর মাধ্যমে অনলাইনে আয় করার জন্য, সাধারণ ইন্টারনেটের ব্যবহার ছাড়া আপনার অন্য কোনো বিশেষ যোগ্যতার প্রয়োজন হবেনা।
তবে, যদিওবা কিছু বিশেষ দক্ষতার (skills) প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে সেটাও আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমেই জেনে ও শিখে নিতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে, নিচে বলা উপায় গুলো অনলাইনে ইনকাম (online income) করার সব থেকে কার্যকর উপায় হিসেবে ধরা হয়।
কেননা, বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার লোকেরা এই অনলাইন উপায় গুলো ব্যবহার করে ঘরে বসে টাকা আয় করে নিচ্ছেন।
আর সত্যি বললে, অনেকেই প্রত্যেক মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন।
তাই, আপনিও যদি ইন্টারনেটের মাধ্যমে পার্ট-টাইম বা ফুল-টাইম টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছেন,
তাহলে নিচে দেওয়া উপায় গুলোর মধ্যে যেটা আপনার পছন্দ সেটা করে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন।
চলুন নিচে আমরা অনলাইন টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় ও লাভজনক উপায় গুলো এক এক করে জেনেনি।
ঘরে বসে অনলাইন টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো – (Online earning)
নিচে টাকা ইনকাম করার যেগুলো অনলাইন মাধমের বিষয়ে আমি বলবো, সেগুলো লাভজনক অবশই,
তবে, আপনি কিছু না করেই কিন্তু ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টাকা আয় করতে পারবেননা।
যেকোনো অন্যান্য কাজের মতোই, আপনাদের এই কাজ গুলোকেও সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে করতে হবে।
তাছাড়া, যেই কাজটি করার কথা আপনি ভাবছেন, সেটার বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য গ্রহণ করার পর কাজটি শুরু করার পরামর্শ আমি দিবো।
বর্তমান সময়ে, গুগল বা ইউটিউবের মাধ্যমে আমরা যেকোনো বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য পেয়ে যেতে পারি।
তাই, যেটা আমি বললাম সেটা নিয়ে অবশই ভাববেন।
How to earn money online from internet ? 9 ways
এবার আর আপনার বেশি সময় না নিয়ে নিচে আমি সরাসরি আপনাদের প্রত্যেকটি উপায় এর বিষয়ে বলে দিচ্ছি।
আশা করছি, আমি বলা online earning করার উপায় গুলো আপনাদের কাজে আসবে।
১. ইউটিউব থেকে আয়
আমাদের কাছে যে স্মার্টফোনটি রয়েছে এটির মাধ্যমে আমরা দিনে একবার হলেও ইউটিউবে ভিডিও দেখি।
কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন কি, আপনি যাদের ভিডিও দেখেন অর্থাৎ যে সমস্ত কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ভিডিও বানিয়ে আপলোড করছেন, তারা কেন ভিডিও বানিয়ে সময় নষ্ট করে ??
এর সোজা কারণ হলো, তারা প্রত্যেকেই ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করে ইউটিউব থেকে।
আর তাই, আপনিও চাইলে ইউটিউব থেকে ভালো পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারবেন
এর জন্য আপনাকে ইউটিউবে একটি চ্যানেল খুলতে হবে।
চ্যানেল বানিয়ে সেখানে আপনি ভিডিও আপলোড করতে পারবেন এবং আস্তে আস্তে চ্যানেল বড় হতে থাকলে ভবিষ্যতে আপনি ভালো পরিমানে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
ইউটিউবে অনলাইন আয় করার জন্য সাধারণ পদ্ধতি গুলি হল –
- আপনাকে একটি বিষয় পছন্দ করতে হবে সে বিষয়ের ওপর আপনি ভিডিও বানাতে চান। এক্ষেত্রে আপনার পছন্দের একটি বিষয় নিয়ে ইউটিউবের চ্যানেল তৈরি করাটা লাভজনক।
- আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে এবং চ্যানেলের logo, channel art ,cover প্রভৃতি যোগ করতে হবে এবং ঠিক ঠাক ভাবে চ্যানেলটিকে settings করতে হবে।
- ভিডিও বানানোর জন্য আপনাকে প্রাথমিক অবস্থায় একটি স্মার্টফোন, একটি video editing apps এবং একটি mic এর দরকার হবে ।
- মোবাইলে ভিডিও এডিটিং এর জন্য আপনি kinemaster, power director ইত্যাদি apps ব্যবহার করতে পারেন যেগুলোকে সেরা মোবাইল ভিডিও এডিটর হিসেবে বলা হয়।
- আপনাকে আপনার বিষয়ের উপর ভিডিও নিয়মিত ভাবে পোস্ট করতে হবে এবং ভিডিওর একটি “catchy title”, “description”, “thumbnail” অবশই দিয়ে দিতে হবে।
- Thumbnail বানানোর জন্য আপনারা “PixelLab” ব্যবহার করতে পারবেন।
- আপনার ভিডিওগুলিকে যতটা সম্ভব শেয়ার করতে হবে।
- এক বছরে ইউটিউবের চ্যানেলে 1000 সাবস্ক্রাইবার ও 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম সম্পূর্ণ করাটা আপনার প্রথম উদ্দেশ্য। এর পর, আপনি YouTube channel monetization এর জন্য apply করতে পারবেন।
- আবেদন গৃহীত হলে আপনার চ্যানেলের ভিডিও গুলোতে গুগল দ্বারা অ্যাড দেখানো হবে এবং আপনি আপনার চ্যানেলে আপলোড করা প্রত্যেকটি ভিডিওর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।
- আপনার Google AdSense একাউন্টে 100 ডলার সম্পন্ন হওয়ার পর গুগল দ্বারা আপনার ব্যাংকে আয় করা টাকা পাঠানো হবে।
- ভিডিওতে বিজ্ঞাপন ছাড়াও আপনারা নিজের ইউটিউবের ভিডিও গুলোতে, affiliate marketing, direct promotion বা sponsorship করেও ইনকাম করতে পারবেন।
বন্ধুরা, এবিষয়ে অধিক জেনে নেওয়ার জন্য আপনারা ইউটিউবে থাকা বিভিন্ন ভিডিও গুলোকে দেখে নিতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে অনলাইন টাকা ইনকাম করার সব থেকে সেরা উপায় ইউটিউবকে বলা হয়।
বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার লোকেরা ঘরে বসে ইউটিউবে নিজের বানানো ভিডিও আপলোড করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতি মাসে ইনকাম করছেন।
২. ব্লগিং করে উপার্জন
আপনি যদি লিখতে ভালোবাসেন বা প্রযুক্তি সম্পর্কে রুচি রয়েছে, তাহলে আপনি blogging করার মাধ্যমেও ভালো পরিমাণে অনলাইন টাকা উপার্জন করতে পারবেন
এর জন্য আপনাকে একটি ওয়েবসাইট বানাতে হবে এবং সেখানে আপনার পছন্দের বিষয়ে আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে আপনি ভালো পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারবেন
ব্লগিং করার জন্য আপনাকে নিচের পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করতে হবে –
- আপনাকে নিজের ওয়েবসাইটের জন্য একটি লাভবান বিষয় (niche) বাছতে হবে।
- ওয়েবসাইটের জন্য একটি নাম সিলেক্ট করতে হবে যেটি ভিজিটরের কাছে আপনার ওয়েবসাইটের পরিচয় দিবে।
- এরপর আপনাকে একটি ডোমেইন ও হোস্টিং কিনতে হবে।
- আপনাকে ডোমেইন এর সঙ্গে হোস্টিং যুক্ত করে একটি ভালো থিম যোগ করে এবং ভালোভাবে ডিজাইন করে ওয়েবসাইটটিকে লঞ্চ করতে হবে।
- এরপর আপনাকে নিয়মিত ভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে আর্টিকেল নিজের ব্লগে আর্টিকেল লিখতে হবে।
- আর্টিকেল গুলি সহজ ভাষায় ,ইউনিক ও তথ্যভিত্তিক লিখতে হবে।
- আর্টিকেল লেখার পর আপনার ওয়েবসাইট ও আর্টিকেল এর লিংক Google search console এর মধ্যে জমা করতে হবে যাতে সেটি গুগল সার্চে show করে।
- এবার কিছু দিন এভাবে রেগুলার আর্টিকেল পাবলিশ করতে থাকলে, আপনার ব্লগে ভালো পরিমাণ ট্রাফিক গুগল সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে আসতে থাকবে।
- এবার আপনি গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- অ্যাডসেন্স আবেদন গৃহীত হলে আপনার ওয়েবসাইটে অ্যাড (advertisements) দেখিয়ে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
- 100 ডলার সম্পন্ন হওয়ার পর এডসেন্স আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেবে এবং সেটা প্রতিমাসে এক নির্দিষ্ট তারিখে।
বন্ধুরা, ব্লগিং করে আজ প্রচুর লোকেরা online income করছেন। আমিও তাদের মধ্যে একজন যে কেবল নিজের blogging income থেকেই সব কিছু করছি।
নিজের ব্লগে Google AdSense দ্বারা বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা ইনকাম করার প্রক্রিয়া অনেক জনপ্রিয় এবং বর্তমানে অনেক চর্চিত একটি বিষয়।
আপনার ব্লগ সাইট প্রত্যেক দিন প্রায় ১০০০ অর্গানিক ইউনিক ভিসিটর আসলেই আপনারা মোটামোটি ভালো পরিমানের ইনকাম গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে করতে পারবেন।
৩. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয়
অনলাইনে আফিলিয়েট মার্কেটিং এর বিপুল পরিমাণ চাহিদা রয়েছে।
Amazon affiliate program, Click bank affiliate program প্রভৃতি জায়গা থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কমিশনের মাধ্যমে আপনি অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন
আজ বহু ব্যক্তি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ভালো পরিমাণে income করছেন।
মূলত সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়েবসাইট, ব্লগ সাইট বা ইউটিউব চ্যানেল এর ব্যবহার করে affiliate marketing এর কাজ করা হয়।
আসলে এই প্রক্রিয়াতে আপনাকে অন্যান্য কিছু online e-commerce website গুলোর products গুলোকে লোকেদের সাথে শেয়ার করে promote করতে হয়।
আর যখন, কোনো ব্যক্তি আপনার শেয়ার করা product টিকে কিনে থাকে, তখন সেই বিক্রির একটি commission আপনি পেয়ে যান সেই e-commerce company তরফ থেকে।
Affiliate marketing এর মাধ্যমে যেকোনো product promote বা sell করানোর জন্য, আপনার একটি বিশাল user base / follower base থাকতে হবে।
যেমন, প্রচুর subscriber সহ একটি YouTube channel বা প্রচুর followers সহ একটি Facebook page ইত্যাদি।
Online income করার একটি অনেক দারুন উপায় বা মাধ্যম হলো affiliate marketing যদি এই কৌশল সম্পূর্ণ ভালো করে বুঝে ও শিখে করতে পারেন।
৪. ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম
ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম করার প্রক্রিয়ার জন্য ইন্টারনেটে অনেক আর্টিকেল আপনি পেয়ে যাবেন।
কিন্তু আজ আমি আপনাদের ফেসবুক থেকে ইনকাম করার যেই আইডিয়াটি দেবো সেটির মাধ্যমে বহু লোক উপার্জন করছেন।
ফেসবুকে পেজ বানিয়ে যদি সেই পেজে ভালো প্রমানের followers নিয়ে আসতে পারেন,
তাহলে ফেসবুকের নিজস্ব প্রচুর উপায় রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনারা নিজের পেজ থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
তবে, মনে রাখবেন ফেসবুকের এই মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করার জন্যে আপনার পেজে ভিডিও কনটেন্ট পাবলিশ করা জরুরি।
নিজের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে টাকা আয় করার জন্যে ফেসবুকের তরফ থেকে থাকছে In-stream ads.
এই অপসন ব্যবহার করে আপনি আপনার ফেইসবুক পেজের মধ্যে থাকা ভিডিও গুলোতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।
তবে, In-stream ads এর মাধ্যমে নিজের ফেসবুক ভিডিও গুলোতে বিজ্ঞাপন (ads) দেখানোর জন্যে, জরুরি কিছু প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
যেমন,
- আপনার একটি ফেসবুক পেজ থাকতেই হবে।
- বিগত ৬০ দিনের মধ্যে পেজের মধ্যে থাকা ৩ কমেও মিনিট লম্বা ভিডিও গুলোর মধ্যে কমেও 30,000 বার one-minute views থাকতে হবে।
- 10,000 Page followers থাকাটা জরুরি।
- Video language এবং আপনার country supported লিস্টে থাকতে হবে।
- আপনার পাবলিশ করা ভিডিওটি in-stream ads এর জন্য eligible হতে হবে।
এমনিতে, ফেসবুকের পেজের মাধ্যমে অনলাইনে টাকা আয় করার এই official প্রক্রিয়াটি নতুন।
তবে, যদি আপনি একটি জনপ্রিয় Facebook page তৈরি করে নিতে পারেন, তাহলে অবশই ফেসবুকের মাধ্যমে online earning করাটা আপনার জন্য লাভজনক হিসেবে প্রমাণিত হবে।
৫. অনলাইনে ছবি বিক্রি
আপনি কি জানেন ছবি তুলে সেগুলো অনলাইনে বিক্রি করে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা যায়।
আপনি যদি ছবি তুলতে ভালোবাসেন তাহলে আপনি সহজেই আপনার ছবি গুলো বিক্রি করে সেখান থেকে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন
অনলাইনে ছবি বিক্রি করার বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে স্টক ফটোগ্রাফি করে অর্থাৎ আপনার আশে পাশের ছোটখাটো অবজেক্টে গুলোর ছবি তুলে ভালো পরিমাণে টাকা আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করার কয়েকটি ওয়েবসাইট হলো –
- Shutterstock
- Adobe Stock
- Alamy
- iStock
- Picxy
- Getty Images
ছবি বিক্রির কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য –
- এই সমস্ত ওয়েবসাইট এর মধ্যে Shutterstock ও Adobe Stock এ সবচেয়ে বেশি পরিমানে টাকা উপার্জন করা যাবে।
- পিক্সি ওয়েবসাইট এ আপনি যেকোনো ধরনের ফটো আপলোড করে ইনকাম করতে পারেন।
- ফটো বিক্রি হয় মূলত আপনার আপলোড করা ছবির প্রতি ডাউনলোড এর উপর ।
- প্রতি ডাউনলোড এর জন্য আপনি এক ডলার অবধি উপার্জন করতে পারেন।
- স্টক ফটোর ক্ষেত্রে যেকোন জিনিসকে ফোকাস করে তোলা ফটো বেশি পরিমানে বিক্রি হয় অনলাইনে।
তাই, যদি আপনি একজন professional photographer বা photography করে ভালো পান,
তাহলে, অবশই একবার হলেও অনলাইন ছবি বিক্রি করে টাকা আয় করার এই ওয়েবসাইট গুলোর বিষয়ে নজর দিবেন।
৬. ইভেন্ট ব্যবসা করে ইনকাম
এখানে আপনি নির্দিষ্ট কোন ইভেন্ট টার্গেট করে সেখান থেকে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন।
ধরুন আপনি ভ্যালেন্টাইনস ডে ইভেন্ট টিকে টার্গেট করলেন
এখন ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে বহু মানুষ তার পছন্দের মানুষটিকে hand made gifts দিতে পছন্দ করে।
কিন্তু বর্তমানে প্রত্যেকেই নিজের ব্যস্ততা ভরা সময়ে hand made gift তৈরি করতে পারেননা।
এক্ষেত্রে, আপনি যদি কয়েকটি gift তৈরি করে ভালোভাবে ছবি তুলে সেগুলি ফেসবুকের মতো বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে পোষ্ট করেন এবং প্রচার করেন,
তাহলে অবশই সুযোগ রয়েছে যে অনেকেই সেখান থেকে আপনার তৈরি করা gifts গুলো order করবেন।
এবং, এভাবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইভেন্ট ব্যবসা করে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ভ্যালেন্টাইন্স ডে বানানো গিফট কোনো young couple কিনতে পারে ।
সুতরাং young generation এর audience কে টার্গেট করার জন্য আপনাকে সেই ধরনের কিছু Facebook group এর মধ্যে যোগ দিতে হবে।
আপনি নিজের Facebook profile বা Facebook marketplace এর সাহায্য অবশই নিতে পারবেন।
এবং সেখান পোস্ট করতে হবে সেখান থেকে ভালো পরিমাণে order আপনি পেয়ে যাবেন এবং সেখান থেকে আপনি উপার্জন করতে পারবেন।
৭. রিসেলিং করে ইনকাম
Reselling করে ইনকাম এর ধারণা এখন অনেকটাই নতুন।
আসলে রিসেলিং কি অনেকেই জানেনা।
রিসেলিং হল একটি ব্যবসার পদ্ধতি যেখানে কোন wholesaler বা manufacturer থেকে products কিনতে হবে এবং সেই product গুলোকে কিনে আবার আপনাকে বেশি দামে বিক্রি করতে হবে customer এর কাছে।
বর্তমানে, এমন অনলাইন reselling apps / websites রয়েছে যেগুলো আপনার থেকে এক টাকাও নিবেনা।
আপনাকে শুধু বেশি দামে product গুলোকে বিক্রি করতে হবে এবং product এর মূল দাম কোম্পানিকে দিয়ে অধিক লাভ আপনি রাখতে পারবেন।
তাই, online reselling apps গুলোর এটাই লাভ যে, আপনি নিজের হিসেবে অধিক লাভ রেখে product বিক্রি করাতে পারবেন।
এখন রিসেলিং ব্যবসা অনেকে apps র মাধ্যমে করা হচ্ছে।
অনলাইনে বহু অ্যাপস রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি প্রোডাক্ট রিসেলিং করতে পারেন ।
এবং সেগুলোর প্রত্যেকটাই খুবই বিশ্বস্ত অ্যাপ বলা যেতে পারে।
আপনি প্রোডাক্ট বিক্রি করতে চাইলে আপনাকে সেই অনুযায়ী interested audience খুঁজতে হবে যার মাধ্যমে আপনি ভালো পরিমাণে বিক্রি করে লাভ করতে পারবেন।
রিসেলিং করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ apps হলো –
- Meesho
- Glowroad
- Shop 101
- Milmila
- Hiboss
- Cartlay
অনলাইনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে reselling business করার জন্য আপনাকে একটি platform খুঁজতে হবে যেখান থেকে আপনি প্রচুর গ্রাহক পেতে পারবেন।
আর এক্ষেত্রে, একটি জনপ্রিয় Facebook page, Instagram profile, blog site ইত্যাদি আপনার অনেক কাজে আসবে।
8. ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম
ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করছেন এমন মানুষের সংখ্যাটাও নেহাত কম কিছু নয়।
আসলে ফ্রিল্যান্সিং কি ?
আপনার যদি কোন বিষয়ে যেমন – ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং বা আরো অন্যান্য যেকোনো বিষয়ে দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনি অনলাইনে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন কাজ খুঁজে পাবেন আপনার দক্ষতা অনুসারে।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনাকে নিজের পছন্দ অনুসারে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি প্রোফাইল বানাতে হবে এবং আপনার কাজের কয়েকটি ডেমো আপলোড করতে হবে।
আপনার কাজ গুলি দেখে বিভিন্ন clients, company বা অন্যান্য লোকেরা আপনাকে কাজের জন্য যোগাযোগ করবে এবং কাজটি করে দেওয়ার বিপরীতে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কয়েকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বা মার্কেটপ্লেস গুলো হলো।
- Fiverr
- Upwork
- Toptal
- Simply Hired
- People Per Hour
- Aquent
- Crowded
- 99Designs
- Writer Access
- TaskRabbit
- Skyword
- Designhill
- Freelancer
- Hireable
- FlexJobs
৯. ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে ইনকাম
বর্তমানে ই-কমার্স ব্যবসার চাহিদা প্রচুর বেড়ে গিয়েছে।
এর কারণ হলো, অনলাইনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কেনাকাটা করা লোকেদের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।
একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে আপনার নিজস্ব প্রোডাক্ট বা যেকোন প্রোডাক্ট নিজের মত করে লাভ রেখে sell করে ইনকাম অবশই করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আরো একটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটের মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিং।
কারণ ভালো পরিমানে মার্কেটিং করেই আপনি আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটটিকে অন্যান্য লোকেদের নজরে নিয়ে আসতে পারবেন।
আপনার প্রোডাক্ট যদি খুব ভালো হয় এবং কাস্টমারের সেটা পছন্দ হয় তাহলে আপনার business এর branding নিজে নিজেই হতে থাকবে।
আর ব্র্যান্ডিং ভালো হয়ে থাকলে আপনার ওয়েবসাইটের product গুলো দ্রুত ভাবে বিক্রি অবশই হবে।
আপনি যেকোনো ধরণের product নিয়ে নিজের e-commerce website তৈরি করতে পারবেন।
তবে মনে রাখবেন, এমন কিছু product সিলেক্ট করবেন যেগুলোর চাহিদা প্রচুর।
আমাদের শেষ কথা,,
এই ছিল ইন্টারনেটে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সেরা 9 টি উপায় যার মাধ্যমে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
এছাড়া অনলাইনে আয় করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিংকে কেন্দ্র করে গুরুত্বপূর্ণ আরো অনেক পদ্ধতি রয়েছে।
কিন্তু আমার মতে উপরে দেওয়া নয়টি উপায় এই মুহূর্তে ইন্টারনেটের মাধ্যমে টাকা আয় করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ও শক্তিশালী উপায়।
আমি জানি, ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করার আরো অন্যান্য উপায় রয়েছে যেমন “গেম খেলে টাকা আয়“, “ভিডিও দেখে” বা “apps এর মাধ্যমে“।
তবে, আমি কখনোই এই ধরণের উপায় গুলোকে সমর্থন দেইনা।
কারণ, এই ধরণের উপায় গুলো যতটুকুই বা টাকা আপনাকে আয় করার সুযোগ দিবে, তার থেকে অধিক আপনার সময় নষ্ট করবে।
তাই আমি আবার বলছি, যদি internet থেকে online earnings করতে চাচ্ছেন,
তাহলে ওপরে দেওয়া উপায় গুলো সব থেকে সেরা এবং এগুলোর বিষয়ে অধিক ভালো করে রিসার্চ করুন।
আমি আশা করছি, “how to make money online in Bangla” নিয়ে লিখা আজকের এই আর্টিকেল আপনাদের পছন্দ অবশই হয়েছে।
অনেক সুন্দর আর্টিকেল।
Thank you..