আপনি যদি একটি নতুন ব্যবসা করার কথা ভাবছেন আর এক্ষেত্রে কিছু নতুন এবং ইউনিক ব্যবসার আইডিয়া গুলো খুঁজছেন, তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেল আপনার অনেক কাজে আসবে। কেননা, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে কিছু ইউনিক বিজনেস আইডিয়া (unique business ideas) গুলো শেয়ার করবো।
বর্তমান সময়ে যদি আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে চাইছেন, তাহলে চাকরির মাধ্যমে সেটা সম্ভব না।
কারণ, চাকরি করে আমরা কেবল সীমিত পরিমানের ইনকাম আয় করতে পারি।
তাই, যদি আপনি এমন একটি জীবন চাইছেন যেখানে টাকা পয়সার কোনো চিন্তা থাকবেনা এবং যেটা চাইবেন সেটাই কিনতে পারবেন,
তাহলে আপনাকে ব্যবসা করা দরকার, ব্যবসার মাধ্যমে চাকরির তুলনায় প্রচুর অধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
কিন্তু, ব্যবসা বলতে গেলে আজ অনেকেই রয়েছেন যারা মার্কেটে অনেক বছর ধরেই ব্যবসা করছেন, এর ফলে আপনি নতুন করে ব্যবসা করতে গেলে লাভ আয় করার ক্ষেত্রে আপনার অনেক সময় লাগতে পারে।
তাই, তাড়াতাড়ি লাভ (profit) আয় করার ক্ষেত্রে আপনাকে এমন কিছু ইউনিক ব্যবসার ধারণা গুলো নিয়ে ব্যবসা করতে হবে যেই ধারণা গুলোর সাথে মার্কেটে অধিক কম লোকেরা কাজ করছেন এবং যেগুলোর চাহিদাও প্রচুর।
তাই, ব্যবসাতে তাড়াতাড়ি সফলতা পাওয়ার জন্য নিচে আমি আপনাদের এমন ২৩ টি ব্যবসার ধারণা (business ideas) গুলো দিতে চলেছি যেগুলো নিয়ে সহজেই ব্যবসা শুরু করা যাবে।
২১ সেরা ইউনিক বিজনেস আইডিয়া গুলো
আপনি চাইলে নিচে বলা ব্যবসার আইডিয়া গুলো নিয়ে পার্ট-টাইম বা ফুল-টাইম দুটো ভাবেই শুরু করতে পারবেন।
এমনিতে, পার্ট-টাইম ব্যবসা হিসেবে যদি আপনারা কেবল ১ লাখ টাকায় ব্যবসা শুরু করার জন্য কিছু business ideas খুঁজছেন, তাহলে সেবিষয়েও আমরা আপনাদের আলাদা ভাবে বলেছি।
কিন্তু মনে রাখবেন, প্রত্যেক আলাদা আলাদা রকমের ব্যবসাতে আলাদা আলাদা পরিমানের টাকা ইনভেস্ট করতে হয়।
আর তাই, নিচে বলা ইউনিক ব্যবসা (unique business) গুলোর ক্ষেত্রেও আপনাকে প্রত্যেকটিতে আলাদা আলাদা পরিমানের investment করতে হবে।
এছাড়া, আপনি যেই ব্যবসা করছেননা কেন, যেকোনো ব্যবসাতে সফলতা পাওয়ার জন্য আপনাকে ব্যবসা করার নিয়ম এবং কৌশল গুলো আগেই জেনে রাখতে হবে।
একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার মূলমন্ত্র গুলো জেনে রাখলে, ব্যবসার সফলতার ক্ষেত্রে অনেক ভালো এবং লাভজনক।
তাহলে এবার চলুন, আমরা সরাসরি কিছু নতুন নতুন ব্যবসার আইডিয়া গুলো জেনেনেই যেগুলোকে বর্তমানে ইউনিক বলা যেতে পারে।
List of best unique business ideas in Bangla
- কেক মেকিং বিজনেস
- চানাচুর এর দোকান
- ফ্রাইড চিপ্স (fried chips) ব্যবসা
- সিঙ্গারার দোকান
- গেমিং পার্লার ব্যবসা
- ব্লগিং বিজনেস
- YouTube channel
- অনলাইনে কোর্স বিক্রি করুন
- অনলাইনে ক্লাস করানো
- Tea Cafe business
- বাচ্চাদের খেলনার দোকান
- ই-কমার্স ব্যবসা
- টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা
- ওয়েবসাইট তৈরি করুন
- মোবাইল এক্সেসরিজ ব্যবসা
- ফটোগ্রাফার
- অনলাইন সেবা প্রদান করা
- পুতুলের ব্যবসা
- ড্রাইভিং শেখানো / স্কুল
- কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার
- আইস ক্রিম পার্লর
চলুন, এবার আমরা ওপরে বলা প্রত্যেকটি ব্যবসার বিষয়ে নিচে কিছুটা জেনেনেই।
কেক মেকিং বিজনেস
কেক (cake) তৈরি করা এবং বিক্রি করার ব্যবসা বর্তমানে প্রচুর লাভজনক ব্যবসা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
আপনাকে কেবল সুস্বাধু (tasty) এবং আলাদা আলাদা ডিজাইনের কেক বানাতে জানতে হবে।
লোকেরা আজকাল যেকোনো উৎসব, পার্টি বা জন্মদিনে কেক অবশই কাটেন আর তাই কেক এর বিক্রি প্রচুর হয়ে থাকে।
আপনি অনেক কম টাকা ইনভেস্ট করে এই কেক এর ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
এছাড়া, নতুন নতুন গ্রাহক খুঁজে পাওয়ার জন্য আপনারা social media platform গুলো যেমন Facebook, Instagram বা YouTube এর ব্যবহার করতে পারবেন।
চানাচুর এর দোকান
এখন চানাচুর এর দোকান বলতে একটি সাধারণ চানা চুর এর দোকানের কথা বলা হয়নি।
আপনাকে, আলাদা আলাদা রকমের সুস্বাধু চানাচুর গুলো নিজের দোকানে রাখতে হবে।
আপনি বিভিন্ন আলাদা আলাদা কোম্পানি গুলোর চানার প্যাকেট গুলো রাখতে হবে এবং সাথে খোলা চানাচুর রাখতে ও বিক্রি করতে হবে।
মনে রাখবেন আমরা বাঙালিরা চানাচুর খেতে অনেক আনন্দ পাই, তাই আপনার দোকানে যদি লোকেরা একসাথে আলাদা আলাদা রকমের চানাচুর পেয়ে থাকে, তাহলে অবশই বার বার আপনার কাছে গ্রাহক ঘুরে আসবেন।
এই ব্যবসার জন্য তেমন বেশি বড় দোকান নেওয়ার দরকার হবেনা এবং অনেক কম টাকা ইনভেস্ট করে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
ফ্রাইড চিপ্স (fried chips) ব্যবসা
চানাচুর এর মতোই লোকেরা আলাদা আলাদা রকমের চিপস (chips) খেতে অনেক পছন্দ করে থাকেন।
তাই, আপনি একটি ছোট দোকান নিয়ে আলাদা আলাদা রকমের চিপস (chips) গুলো দোকানে ভেজে তৈরি করতে পারবেন।
এবং, প্রত্যেক chips গুলোকে খোলা হিসেবে বা প্যাকেট করে বিক্রি করতে পারবেন।
উদাহরণ স্বরূপে, কাঁচা কলার চিপস, আলু চিপস ইত্যাদি।
কাঁচা আলু বা কাঁচা কলা গুলোকে পাতলা পাতলা করে কেটে সেগুলোকে তেলে ভেজে চিপস তৈরি করতে হবে।
মনে রাখবেন, বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেট চিপস গুলোর তুলনায় লোকেরা এই ধরণের লোকাল ভাজা চিপস (fried chips) খেতে অধিক পছন্দ করেন।
সিঙ্গারার দোকান
সিঙ্গারা এমন একটি স্ন্যাক যেটা প্রত্যেকেই খেতে পছন্দ করে থাকেন।
এখন, আপনি এই সিঙ্গারা বানানোর ব্যবসা ছোট ভাবে বা অনেক বড় ভাবেও শুরু করতে পারবেন।
আমাদের পাশে একটি এমন restaurant রয়েছে যেখানে কেবল আলাদা আলাদা রকমের সুস্বাধু সিঙ্গারা পাওয়া যায়।
সেখানে গিয়ে লোকেরা সুন্দর ভাবে বসে সিঙ্গারা খাওয়ার মজা নিয়ে থাকেন।
অনেকেই আছেন যার কিছু নতুন রকমের বুদ্ধি লাগিয়ে সাধারণ এবং ছোট একটি ব্যবসাকে অনেক বড় স্তরে নিয়ে যান।
তাই, আপনি চাইলে আলাদা আলাদা রকমের সিঙ্গারা বানিয়ে অধিক লোকেদের আকর্ষণ পেতে পারবেন।
যেমন, চিকেন সিঙ্গারা, পনির সিঙ্গারা, পাস্তা সিঙ্গারা এবং আলাদা আলাদা ভ্যারাইটির সাথে সিঙ্গারা তৈরি করে অধিক লাভ আয় করতে পারবেন।
ছোট একটি দোকান নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পারলে অনেক কম টাকা ইনভেস্ট করেই ব্যবসাটি শুরু করা যাবে।
গেমিং পার্লার ব্যবসা
বর্তমান সময়ে ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বড়োরাও গেম খেলতে পছন্দ করেন।
তবে, প্রত্যেকেই নিজের ঘরে দামি দামি গেমিং কনসোল (PS4, PS5) গুলো কিনতে পারেননা।
তাই, আসে পাশে একটি ভালো গেমিং পার্লার (Gaming parlour) থাকলে অনেকেই সেখানে নিজের গেম খেলার ইচ্ছে পূরণ করতে চলে যান।
এই ব্যবসাতে আপনার লাভ হওয়ার সুযোগ প্রচুর পরিমানে থাকে।
৩০ মিনিট গেম খেলতে দিলে আপনি গ্রাহকের থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত নিতে পারবেন।
এছাড়া, ১ ঘন্টা গেম খেলার বিপরীতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া যাবে, তবে আপনি নিজের লাভ রেখে দাম ঠিক করতে পারবেন।
এই ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আপনাকে কমেও ২ তো LED TV, PS4, PS5 (gaming console), বসার চিয়ার, টেবিল ইত্যাদি লাগবে।
এখানে একবার ইনভেস্ট করার পর আপনারা অধিক সময় পর্যন্ত কোনো ইনভেস্টমেন্ট ছাড়া প্রফিট আয় করতে থাকতে পারবেন।
ব্লগিং বিজনেস
Blogging হলো বর্তমানের সব থেকে অধিক লাভজনক এবং জনপ্রিয় একটি ইউনিক অনলাইন ব্যবসার ধারণা।
ব্লগিং করে বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার লোকেরা ঘরে বসেই লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছেন।
এই ব্যবসা আপনারা সম্পূর্ণ পার্ট-টাইম হিসেবে শুরু করতে পারবেন এবং এখানে শুরুতে বেশির চে বেশি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা বিনিয়োগ (invest) করলেই যথেষ্ট।
এখানে আপনাকে নিজের একটি blog website তৈরি করতে হবে এবং যেকোনো একটি বিষয় নিয়ে নিজের ব্লগে নিয়মিত আর্টিকেল লিখতে হবে।
একবার আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর visitors / traffic আসতে শুরু হলে তখন আপনি বিভিন্ন মাধ্যমে ব্লগ থেকে অনলাইনে টাকা যায় করতে পারবেন।
আমি নিজে পার্ট-টাইম ব্লগিং শুরু করেছিলাম এবং এখন এই কাজ সম্পূর্ণ ফুল-টাইম হিসেবে করছি।
ব্লগিং এর বিষয়ে অধিক জেনেনেই –
YouTube channel
ব্লগিং এর মতোই একটু ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে আপনারা অনলাইনে প্রচুর ইনকাম করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার লোকেরা এই অনলাইন ব্যবসাটি করছেন এবং প্রত্যেক মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন।
এছাড়া, যদি আপনি ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় খুঁজছেন, তাহলে আমার হিসেবে এই ব্যবসা একবার করে দেখুন।
আপনি এই ব্যবসা পার্ট-টাইম হিসেবে শুরু করতে পারবেন এবং পরে গিয়ে সম্পূর্ণ ফুল-টাইম হিসেবে কাজ করা শুরু করতে পারবেন।
এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে এক টাকা খরচ করতে হবেনা।
কেবল, ভিডিও বানানোর জন্য একটি ভালো ক্যামেরা থাকা মোবাইল এর প্রয়োজন আপনার হবে।
আপনি আপনার স্মার্টফোন দিয়েই সম্পূর্ণ ভিডিও রেকর্ডিং, এডিটিং এবং আপলোডিং সম্পূর্ণ কাজ গুলো করতে পারবেন।
মনে রাখবেন, এটা বর্তমানে সম্পূর্ণ professional online business idea এবং অনেকেই এই ব্যবসা আগের থেকেই করছেন।
আপনিও, YouTube এর মাধ্যমে মাসে হাজার হাজার বা লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন, তবে এক্ষেত্রে কিছুটা সময় দিয়ে নিয়মিত ভাবে কাজ করতে হবে।
জেনেনিন – কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করা যায়।
অনলাইনে কোর্স বিক্রি করুন
আজকাল ইন্টারনেট হয়ে যেচে যোগাযোগের সব থেকে দ্রুত এবং দারুন একটি মাধ্যম।
আর এই দ্রুত যোগাযোগের সুযোগ নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন বিষয়ে video courses গুলো বানিয়ে সেগুলোকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিক্রি করছেন।
আপনার মধ্যে যদি কোনো বিশেষ বিষয় নিয়ে অভিজ্ঞতা, জ্ঞান বা অনুভব রয়েছে, তাহলে আপনিও ভিডিও কোর্স বানিয়ে বিক্রি করতে পারবেন।
এছাড়া, একবার বানানো ভিডিও কোর্স গুলো আপনারা বার বার নতুন নতুন গ্রাহকের কাছে বিক্রি করতে পারবেন।
নিজের বানানো course গুলো অনলাইনে বিক্রি করানোর জন্য আপনারা বিভিন্ন মাধ্যমে গ্রাহক খুঁজতে পারবেন।
যেমন, paid ads চালিয়ে, YouTube এর মাধ্যমে, Facebook, Instagram বা অন্যান্য social media platform গুলোর মাধ্যমে।
এই ব্যবসা ভালো করে বুঝে করতে পারলে লাখ লাখ টাকা সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়া, আপনাকে এমন একটি বিষয়ে paid video course বানাতে হবে যেটা নিয়ে লোকেদের মধ্যে প্রচুর রুচি (interest) রয়েছে এবং কোর্স এর জন্য সামান্য কিছু টাকা দিতে লোকেরা অধিক চিন্তা করবেননা।
অনলাইনে ক্লাস করানো
আজকাল online class এর জনপ্রিয়তা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।
বাচ্চারা ঘরে বসে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে live online class করতে চাইছেন।
তাই, যদি আপনি কোনো বিষয়ে ক্লাস করাতে পারবেন বলে ভাবছেন, তাহলে অবশই এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
আপনার একটি ভালো laptop এর প্রয়োন হবে এবং সাথে দ্রুত ইন্টারনেট কানেকশন এর।
এই ব্যবসা অনেকেই পার্ট-টাইম হিসেবে করছেন, তাই আপনিও এর মাধ্যমে পার্ট-টাইম ভালো ইনকাম করতে পারবেন।
Tea Cafe business
যখন চা (tea) নিয়ে দোকান দেওয়ার কথা বলা হয়, তখন অনেকেই এই ব্যবসাকে অনেক ছোট বলে মনে করেন।
তবে মনে রাখবেন, বিশ্বজুড়ে যেকোনো জায়গাতে চা (tea) সব থেকে অধিক পরিমানে খাওয়া হয়।
তাই, অনেক সামান্য টাকা ইনভেস্ট করে একটি ভালো ভিড়ভাড় থাকা জায়গাতে ছোট একটি চা এর দোকান দিতে পারলেও প্রচুর ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি ৪-৫ টি আলাদা আলাদা রকমের চা বানিয়ে সেগুলো বিক্রি করতে পারবেন।
যখন আপনার কাছে অন্য অন্য রকমের চা পাওয়া যাবে তখন আপনি গ্রাহকের অধিক আকর্ষণ পাবেন।
এছাড়া, কিছুটা creative হয়ে একটু professional ভাবে এই সাধারণ tea cafe business টি করতে পারলে অনেক লাভ আয় করতে পারবেন।
বাচ্চাদের খেলনার দোকান
অবশই, কেবল বাচ্চাদের খেলনা নিয়ে দোকান দিতে পারলেও আপনি প্রচুর পরিমানে লাভ আয় করতে পারবেন।
আজকাল সাধারণ খেলনা গুলোর দাম অনেক বেশি, এছাড়া লোকেরা নিজের বাচ্চা দের খেলনা কিনে দিতে দুবার চিন্তা করেননা।
তাই, কেবল বাচ্চাদের খেলনা, পুতুল ইত্যাদি নিয়ে দোকান একটি দিতে পারেন।
আপনাকে বাইরের থেকে অনেক কম দামে খেলনা গুলোকে স্টক করতে হবে এবং নিজের দোকানের মাধ্যমে সেগুলোকে অধিক দামের সাথে বিক্রি করতে হবে।
এই ব্যবসাতে আপনাকে তেমন অধিক টাকা ইনভেস্ট করতে হয়না যদিও, একটি ভালো জায়গায় দোকান নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার ভালো ইনভেস্টমেন্ট করতে হবে।
এছাড়া, দোকানের furniture ইত্যাদি রয়েছে যেগুলো আপনাকে কিনতে হবে।
ই-কমার্স ব্যবসা
এখন সময় হলো ই-কমার্স ব্যবসার এবং প্রচুর লোকেরা এই অনলাইন ব্যবসার মাধ্যমে প্রচুর ইনকাম করছেন।
আপনাকে প্রথমে একটি ভালো product নিয়ে ভাবতে হবে যেটা সহজেই অনলাইনে বিক্রি করা যেতে পারে।
আপনি চাইলে একাধিক products গুলো বিক্রি করতে পারবেন, তবে শুরুতে কেবল একটি product নিয়ে কাজ করাটা অধিক ভালো হওয়া দেখা গেছে।
ব্যবসার জন্য একটি ভালো পণ্য ভেবে নেওয়ার পর, আপনাকে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানাতে হবে।
ওয়েবসাইট আপনি ইউটিউবে ভিডিও দেখে নিজেও বানাতে পারবেন বা একজন professional web developer এর দ্বারা কিছু টাকা খরচ করে বানিয়ে নিতে পারবেন।
এবার, আপনাকে নিজের products এর images এবং details গুলো e-commerce website এর মধ্যে আপলোড করতে হবে।
শেষে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে রাতারাতি নিজের business, website বা products গুলো লাখ লাখ লোকেদের কাছে অনলাইনে প্রচার করতে পারবেন।
এই ই-কমার্স ব্যবসাতে আপনার কোনো দোকান ভাড়া নিতে হয়না, তবে আপনাকে একটি online e-commerce website তৈরি করতে হয় যার মাধ্যমে লোকেরা অনলাইনে আপনার পণ্য কিনে নিতে পারবেন।
টি-শার্ট প্রিন্টিং ব্যবসা
যদি আপনি সত্যি কম খরচে একটি লাভজনক ইউনিক বিজনেস আইডিয়া খুঁজছেন, তাহলে t-shirt printing এর ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
এই ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনাকে একটি টি-শার্ট প্রিন্টিং মেশিন কিনতে হবে জেতার দাম প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার এর মধ্যে হবে।
এবার, আপনাকে কিছু এক কালারের টি-শার্ট গুলো কিনতে হবে যেগুলো আপনি পাইকারী বিক্রেতা থেকে অনেক কম দামেই কিনে নিতে পারবেন।
শেষে, সুন্দর সুন্দর লেখা, লোগো, ছবি ইত্যাদি সেই এক কালারের টি-শার্ট গুলোতে প্রিন্ট করুন এবং লাভের সাথে সেগুলোকে বিক্রি করুন।
আপনি আপনাকে দারুন এবং কম টাকায় শুরু করার মতো ইউনিক ব্যবসার আইডিয়া দিয়ে দিলাম,
এবার, আপনি টি-শার্ট গুলো কিভাবে মার্কেটিং ও বিক্রি করবেন সেটা আপনার ওপরে রইলো।
ওয়েবসাইট তৈরি করুন
বর্তমান সময়ে প্রত্যেক ছোট-বড় ব্যবসা গুলোর ক্ষেত্রে একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে ব্যবসা গুলোকে অনলাইনে সক্রিয় করা হচ্ছে।
আর তাই, ওয়েবসাইট তৈরী করার ক্ষেত্রে একটি দারুন ব্যবসার সুযোগ আমাদের জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাই, আপনি যদি WordPress এর মধ্যে আলাদা আলাদা রকমের website তৈরি করতে শিখতে পারেন, তাহলে অন্যদের জন্য ওয়েবসাইট বানিয়ে প্রচুর ইনকাম করতে পারবেন।
WordPress এর মাধ্যমে আপনারা কোনো ধরণের coding, HTML, CSS ইত্যাদি ছাড়া সরাসরি কিছু theme এবং plugin এর মাধ্যমে যেকোনো ধরণের website তৈরি করতে পারবেন।
বেশির চে বেশি ১-২ মাসের মধ্যে YouTube এর মধ্যে video tutorial দেখে WordPress এর মাধ্যমে website তৈরি করা শিখতে পারবেন।
মোবাইল এক্সেসরিজ ব্যবসা
আজকাল প্রত্যেকেই একটি smartphone অবশই ব্যবহার করে থাকেন।
আর স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে আমরা প্রত্যেকেই প্রচুর রকমের এক্সেসরিজ গুলো কিনে ব্যবহার করে থাকি।
যেমন, হেডফোন (headphone), মোবাইলের ব্যাক কভার, ডাটা ক্যাবল, OTG cable ইত্যাদি।
তাই, কম টাকা ইনভেস্ট করে যদি লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে চাইছেন, তাহলে মোবাইল এক্সেসরিজ ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
ফটোগ্রাফার
যদি আপনি ছবি তুলতে পছন্দ করে থাকেন বা আপনি ভালো ছবি তুলতে জানেন, তাহলে নিজের professional photography business শুরু করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনার কাছে একটি ভালো DSLR camera থাকতে হবে এবং এর সাথে কিছুটা photo editing রিলেটেড জ্ঞান।
আপনি বিভিন্ন পার্টি, বিয়ে, জন্মদিন ইত্যাদিতে চুক্তি হিসেবে ফোটোগ্রাফি করে টাকা আয় করতে পারবেন।
এছাড়া, আজকাল তো সুন্দর সুন্দর ছবি তুলতে পারলে সেগুলোকে অনলাইনে বিক্রি করার প্রচুর সুযোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আপনারা যদি ভালো ভালো high quality images তুলতে পারেন, তাহলে বিভিন্ন online stock image website গুলোর মাধ্যমে সেগুলোকে বিক্রি করতে পারবেন।
কিছু ছবি বিক্রি করার ওয়েবসাইট গুলো যেমন,
- Adobe Stock
- Shutterstock
- Alamy
- Getty Images
- 500px
অনলাইন সেবা প্রদান করা
আজকাল প্রায় প্রত্যেকটি বিষয়ে আমাদের সব কাজ অনলাইনেই করতে হয়।
যেমন, কলেজের ফর্ম ফিলাপ, ভোটার কার্ড সম্বন্ধিত কাজ, পাসপোর্ট এপলাই ইত্যাদি।
তবে কিছু ব্যক্তিরা নিজে নিজে কাজ গুলো করে নিতে পারেন যদিও এখনো অনেকেই অনলাইনে এইসব কাজ গুলো করতে জানেননা।
তাই, আপনি একটি ছোট দোকান নিয়ে অনলাইনে যা যা কাজ গুলো হয়ে থাকে সেগুলোকে কিছু টাকার বিনিময়ে করে দিতে পারবেন।
এভাবে, যারা অনলাইনে কাজ গুলো করতে জানেননা তাদের প্রচুর সাহায্য হয়ে যাবে এবং আপনিও ভালো পরিমানে আয় করতে পারবেন।
অনলাইন সেবা প্রদান করার সাথে সাথে আপনি জেরক্স, প্রিন্টিং, স্কুল-কলেজের প্রজেক্ট ইত্যাদি সেবা গুলিও দিতে পারবেন।
পুতুলের ব্যবসা
একটি ভিড়ভাড় থাকা এবং জমজমা জায়গাতে ছোট দোকান নিয়ে বিভিন্ন ধরণের পুতুল বিক্রি করতে পারবেন।
এমনিতে এই ধরণের পুতুলের দোকান গুলো অনেক কম দেখা যায়, তাই এই ধরণের ব্যবসা ভালো লাভ আয় করে দিতে পারবে।
এমনিতে মেয়েদের বা বাচ্চাদের উপহার দেওয়ার ক্ষেত্রে লোকের অধিক পরিমানে পুতুল কিনে থাকেন।
এছাড়া, এই ব্যবসা শুরু করতে অনেক কম ইনভেস্টমেন্ট করতে হবে।
তাই, কম পুঁজি লাগিয়ে ভালো ব্যবসা যদি শুরু করতে চাইছেন, তাহলে এই পুতুলের ব্যবসা করতে পারবেন।
ড্রাইভিং শেখানো / স্কুল
আজকাল প্রায় প্রত্যেক ব্যক্তি একটি bike বা car কেনার কথা অবশই ভেবে থাকেন।
আর তাই, বেশিরভাগ লোকেরা bike বা car কেনার আগেই driving শিখে নিতে চান।
এখন, নতুন করে ড্রাইভিং শেখার ইচ্ছে রাখা প্রচুর লোকেরা রয়েছে এবং তারা ড্রাইভিং শেখার জন্য সামান্য টাকা দিতেও রাজি।
তাই, আপনি নিজের একটি driving school খুলতে পারবেন এবং কিছু টাকা নিয়ে লোকেদের গাড়ি চলানো শিখাতে পারবেন।
কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার
আজকাল স্কুল, কলেজ বা চাকরি যেকোনো ক্ষেত্রেই কম্পিউটারের ব্যবহার জানাটা জরুরি।
আর তাই, ছোট বড় প্রত্যেকেই যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব কম্পিউটার শিখে নিতে চান।
এক্ষেত্রে, আপনি এই সুযোগের লাভ নিয়ে একটি কম্পিউটার সেন্টার খুলতে পারবেন এবং কম্পিউটার শিখিয়ে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।
এই ব্যবসাতে সফল হওয়ার জন্য আপনাকে সবচে আগেই একটি ভালো জায়গা সিলেক্ট করে কম্পিউটার সেন্টার চালু করতে হবে।
এছাড়া, আপনি চাইলে কম্পিউটার শেখানোর জন্য ১-২ জন এক্সপার্ট কম্পিউটার শিক্ষক রাখতে পারবেন।
আইস ক্রিম পার্লর
গরমের দিনে ice-cream এর ব্যবসা কিন্তু দারুন লাভজনক প্রমাণিত হতে পারে।
আপনি একটি ছোট দোকান নিয়ে সেখানে আলাদা আলাদা রকমের ice-cream বিক্রি করতে পারবেন।
আইসক্রিম এমন একটি জিনিস যেটা ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্ক লোকেরাও পছন্দ করেন।
একটি ভালো জায়গাতে যেমন, স্কুল বা কলেজের পাশে, নিজের আইসক্রিম পার্লর ব্যবসা শুরু করতে পারলে সেটা অধিক লাভজনক প্রমাণিত হবে।
এই ব্যবসাতে অনেক কম পুঁজির প্রয়োজন হবে।
তবে, সময়ে সময়ে আইসক্রিম এর ভালো ভালো ভ্যারাইটির স্টক বজায় রাখাটা অনেক জরুরি।
আমাদের শেষ কথা,,
তাহলে বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা সেরা কিছু ইউনিক বিজনেস আইডিয়া (unique businesses) গুলোর বিষয়ে জানতে পারলাম যেগুলোকে কম পুঁজির সাথে শুরু করা যাবে।
ওপরে দেওয়া বেশিরভাগ ইউনিক ব্যবসার ধারণা গুলোর সাথে পার্ট-টাইম বা ফুল-টাইম দুভাবেই ব্যবসা শুরু করা যাবে।
তাই, আমাদের আজকের এই লাভজনক ব্যবসার ধারণা গুলো যদি আপনাদের পছন্দ হয়েছে, তাহলে অবশই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন।
এছাড়া, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে আমাদের নিচে কমেন্ট করে অবশই জানিয়ে দিবেন।