আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আমরা কিছু লাভজনক কৃষি ব্যবসা আইডিয়া (Agriculture Business Ideas in Bangla) গুলো জেনেনিতে চলেছি।

তাই, যদি আপনারা কিছু লাভজনক কৃষি ব্যবসা গুলো কি কি সেটা জেনেনিতে চাইছেন, তাহলে অবশই এই আর্টিকেল আপনার কাজে আসবে।
আমাদের দেশে প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ কৃষি ব্যবসার উপর নির্ভর করে আসছে।
যত দিন যাচ্ছে মানুষ ততই কৃষি ব্যবসার বিভিন্ন পদ্ধতি গুলো শিখছে এবং নতুন নতুন কৌশল ব্যবহার করে কৃষি ব্যবসায় উন্নতি করার চেষ্টা করে চলছে।
এমনিতে বিভিন্ন দেশে বর্তমান সময়ে কৃষি ব্যবসার জন্য সরকার থেকে বিভিন্ন বিকল্প বের হয়েছে যেগুলোর সাহায্যে ছোটো বড়ো বিভিন্ন ধরণের কৃষি মূলক ব্যবসা করে মানুষ স্বাবলম্বী হতে দেখা যাচ্ছে।
তাই আপনারা যদি ভাবছেন এমন কি ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে যেগুলো কৃষির সাথে জড়িত এবং যেগুলোর থেকে ভালো লাভ আয় করা সম্ভব, তাহলে নিচে বলা ব্যবসার আইডিয়া গুলো দেখেনিন।
এই আর্টিকেলের মাধ্যমে অনেক গুলো কৃষি ব্যবসার বিষয়ে আমি বলতে যাচ্ছি যেমন হাঁস মুরগি পালন, ডেইরি ফার্ম, মৎস পালন, ফুলের ব্যবসা, মৌমাছি পালন, জৈবিক সার তৈরি ইত্যাদি।
এরকম বিভিন্ন কৃষি ব্যবসা রয়েছে যেগুলো শুরু করে ভালো টাকা মুনাফা লাভ করা সম্ভব।
তবে, ব্যবসা শুরু করার আগে দরকার সঠিক প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং ভালো পরিমানে পুঁজি থাকা।
কারণ পুঁজি ছাড়া কোনো ব্যবসা শুরু করা সম্ভব নয়।
চলুন, এবার আমরা নীচে প্রত্যেকটি ব্যবসার বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেই।
লাভজনক কিছু কৃষি ব্যবসা আইডিয়া গুলোর তালিকা
এমনিতে দেখতে গেলে কৃষির সাথে জড়িত বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা গুলো রয়েছে যেগুলো লোকেরা করছেন এবং ভালো মুনাফা আয় করছেন।
তবে, নিচে আমি কেবল সেই ব্যবসা গুলোর বিষয়ে বলবো যেগুলোর মাধ্যমে ভালো রকমের মুনাফা আয় করা যাবে।
এমনিতে, আপনি যদি গ্রামে বসবাস করে থাকেন এবং গ্রামে কোন ব্যবসা গুলো করা যাবে মূলত এটা নিয়ে ভাবছেন,
তাহলে এবিষয়ে আমি আগেই আপনাদের সেরা কিছু ব্যবসার বিষয়ে বলেছি।
১. ফল এবং সবজির রপ্তানি
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খাদ্যের তালিকায় শাক সব্জি এবং ফলমূলের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ রয়েছে।
তাই এর চাহিদা সব সময় থেকেই রয়েছে এবং সবসময় থাকবেই।
আপনারা যদি কৃষির সাথে জড়িত কিছু এক্সপোর্ট এর ব্যবসা করতে চান তাহলে ফলমূল এবং সব্জি স্থানীয় কৃষকদের থেকে পাইকারি দামে কিনে বাইরে বা শহরের বিভিন্ন জায়গায় এক্সপোর্ট করতে পারবেন।
এভাবে সবজির গ্রাম থেকে কিনে শহরে শহরে সবজির রপ্তানি ব্যবসা করে ভালো টাকা রোজগার করতে পারবেন।
২. পোল্ট্রি ফার্ম ব্যবসা
বর্তমান সময়ে পোল্ট্রি ফার্মিং খুবই লাভজনক এবং দ্রুত গতিতে বারা ব্যবসা হিসাবে দেখা যাচ্ছে।
কিন্তু এই ব্যবসা শুরু করার আগে এই ব্যবসার বিষয়ে পুরো জ্ঞান থাকা দরকার।
এই ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে কয়েকটি বিশেষ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে হবে যেমন,
ব্যবসা শুরু করার জন্য পরিকল্পনা বানানো, উপযুক্ত টাকার ব্যবস্থা করা, ব্যবসা করার জন্য সঠিক বাজার খোজা, গ্রাহক এবং উপভোক্তার মধ্যে পার্থক্য বোঝা, জমির যাচাই করা ইত্যাদি।
এই ব্যবসার বিষয়ে অধিক জানার জন্য ইন্টারনেটের সাহায্য নিতে পারবেন এবং অনলাইনে শোবিজ জেনেনিতে পারবেন।
এমনিতে এই ব্যবসা আপনাকে গ্রামেই করতে হবে বা এমন একটি জায়গা যেখানে আসে পাশে কোনো ঘর বাড়ি নেই।
কেননা, এই ব্যবসাতে আপনাকে মুরগি পালন করতে হয় এবং এক্ষেত্রে আসে পাশে লোকেদের অভিযোগ ইত্যাদি থাকতেই পারে।
অনেক কম টাকা খাটিয়ে এই মুরগি পালন এর ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
৩. গাঁদা ফুলের চাষ
গাঁদা ফুল ভারতীয় বাজারে পুরো বছরই বিক্রি হয়ে থাকে এবং এর উৎপাদন প্রচুর হওয়া সত্বেও ফুলের বাজারে এর চাহিদা অনেক রয়েছে।
যেকোনো অনুষ্ঠান বাড়িতে, বিয়ে বাড়িতে, পূজো বাড়ি ইত্যাদি সাজানোর ক্ষেত্রেই হোক বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেই হোক, গাঁদা ফুলের বিশেষ ব্যবহার প্রত্যেক ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে।
তাই গাঁদা ফুলের ব্যবসা করে বছরে ভালো টাকা উপার্জন করা যেতে পারে।
গাঁদা ফুল বিভিন্ন প্রকারের পাওয়া যায় তাই আপনি যেধরণের গাঁদা ফুলের চাষ করতে চান তার গুনাগুন এবং চাহিদা সম্পর্কে পুরো যাচাই করে নেওয়া দরকার।
৪. মাছ চাষ
আজকাল খেতি করার সাথে সাথে মাছের চাষ করার প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বাড়তে দেখা যাচ্ছে।
কারণ খেতি করার তুলনায় মাছ পালনে মুনাফা অধিক পাওয়া যাচ্ছে।
কারণ মাছের পনা ৭২ ঘন্টা দেখাশোনা করার পর পুখুড়ে দেওয়ার জন্য তৈরি হয়ে যায় এবং ২৫ দিন পর বাজারে বিক্রি করার উপযোগী হয়ে ওঠে।
তাই আধুনিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করে মাছের চাষ করে বছরে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা মুনাফা করা যেতে পারে।
মাছের চাহিদা বাজারে অনেক বেশি পরিমাণে রয়েছে।
যেমন কাতল, রৌ, সিলভার কাপ ইত্যাদি মাছের চাহিদা এমনিতে খুব বেশি।
তবে, মাছের চাষ ব্যবসা শুরু করার আগে জ্ঞান রাখতে হবে কোন মাছে বেশি মুনাফা পাওয়া যেতে পারে এবং সেই হিসাবে চাষ করা উচিত।
৫. মৌমাছির পালন
মধুর গুনাগুন এবং ব্যবহার সম্পর্কে আমাদের সকলের ভালো জ্ঞান রয়েছে।
কেননা, আমাদের প্রত্যেকের ঘরেই মধুর ব্যবহার অবশই করা হয়।
এছাড়া, দেশেই হোক বা বিদেশেই হোক মধুর প্রচুর ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
তাই বর্তমান সময়ে মৌমাছি পালনের ব্যবসা একটি সেরা কৃষি ব্যবসা বলা যেতে পারে।
বাজারে মধুর চাহিদা দ্রুত গতিতে বেড়ে চলছে, তবে সে শুধু খাওয়ার ক্ষেত্রেই নয় সৌন্দর্য্যের ক্ষেত্রেও মধুর ব্যবহার হয়ে থাকে।
যেমন মুখের ক্রিম, ফেসওয়াশ, সাবান ইত্যাদি তৈরি করার জন্য মধুর ব্যবহার হয়ে থাকে।
তাই মৌমাছি পালনের ব্যবসা করে সেখান থেকে মধুর বের করে সেগুলোকে বাজারে বিক্রি করে ভালো মুনাফা লাভ করা যেতে পারবে।
৬. কৃষির সরঞ্জাম ভাড়াতে দেওয়া
কৃষি কার্য্যের সরঞ্জাম ভাড়াতে লাগিয়েও ভালো মুনাফা আয় করা সম্ভব।
আর তাই, কৃষির সরঞ্জাম গুলো ভাড়াটে দেওয়ার ব্যবসা শুরু করেও প্রচুর ইনকাম করা সম্ভব।
আপনার কাছে যদি কৃষি কার্য করার সব সরঞ্জাম গুলো যেমন ট্রাক্টর এবং বিভিন্ন যন্ত্রপাতি থাকে, তাহলে সেগুলো হাজিরা হিসাবে ভাড়া দিয়ে এক রকমে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
এমন অনেক কৃষক থাকে যাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে কৃষির সরঞ্জাম না থাকার ফলে অন্যের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে কাজ করে থাকে এবং কাজ হয়ে গেলে ভাড়ার টাকা দিয়ে জিনিস পত্র ফেরত করে দেন।
তাই, আপনার কাছে যদি সেগুলো কেনার টাকা রয়েছে, তাহলে একবার টাকা লাগিয়ে কৃষি কার্যে ব্যবহার হওয়া প্রত্যেকটি জিনিসপত্র, ট্র্যাক্টর ইত্যাদি কিনে রাখুন এবং সেগুলোকে ভাড়া দিয়ে টাকা আয় করতে থাকুন।
৭. ডেইরি ফার্ম
গ্রামেই হোক বা শহরেই হোক দুধের চাহিদা সব খানেই রয়েছে।
দুধ থেকে দই, ছানা, মিষ্টি ইত্যাদি বিভিন্ন খাদ্য তৈরি করা হয়ে থাকে যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সকলের ঘরে ঘরে ব্যবহার হয়ে থাকে।
তাই বাজারে দুধের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে এর দামও প্রতি লিটারে দ্রুতগতিতে বাড়তে দেখা যাচ্ছে।
তাই ডেইরি ফার্ম ব্যবসা শুরু করাটা রোজগারের জন্য ভালো বিকল্প বলা যেতে পারে।
এর জন্য প্রথমে আপনাকে ভালো পরিমানে টাকা নিবেশ করতে হলেও এই ব্যবসা থেকে ভালো মুনাফা আয় করা সম্ভব।
প্রথম প্রথম আপনি দুটি গাভী দিয়ে বা মোষ দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন এবং ব্যবসা বাড়ার সাথে সাথে এদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারেন।
৮. ছাগল পালন
আমিষ ভোজীদের জন্য মুরগির মাংস যেমন প্রিয় খাদ্য ঠিক সেভাবেই খাসি বা পাঠার মাংস তাদের খুব পছন্দকর খাদ্য বলা যেতে পারে।
তাই বাজারে ছাগলের চাহিদাও অনেক রয়েছে।
প্রাচীন কাল থেকেই ছাগল পালনের ব্যবসা করে কৃষি জীবীর মানুষ আত্মনির্ভশীল হয়ে আসছে।
ছাগলের মাংস থেকে শুরু করে ছাগলের দুধ সবই ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে কম নিবেশ করে ছাগলের ব্যবসা শুরু করে খুবই ভালো পরিমানের লাভ করা যেতে পারে।
৯. জৈবি সার উৎপাদন
আজকাল রাসায়নিক সার দিয়ে খেতি করার ফলে অনেক রকমের অসুখ-বিসুখ হওয়ার কথা বলা হচ্ছে।
তাই জৈব সার উৎপাদনের ক্ষেত্রে মানুষ অধিক আগ্রহ দিচ্ছে এবং এর চাহিদাও প্রচুর বাড়ছে।
ঘরোয়া বা প্রাকৃতিক আবর্জনা যেমন শাক সব্জির বাকল, কেঁচো, ফলমূলের বাকল ইত্যাদি দিয়ে এই সার তৈরি করা হয়ে থাকে।
তাই যারা কম নিবেশে ঘর থেকে কৃষির সাথে জড়িত ব্যবসা শুরু করতে চায় তাদের জন্য জৈবি সার উৎপাদন এর ব্যবসাটি খুব ভালো একটি বিকল্প হিসেবে বলা যেতে পারে।
১০. মাশরুম চাষ
বর্তমান সময়ে মাশরুমের চাষ কৃষি ব্যবসার এক অনেক লাভদায়ক ব্যবসা হিসাবে দেখা বলা যেতে পারে।
আজকাল ঘরে, হোটেল, রেস্টুরেন্ট ইত্যাদিতে বিভিন্ন ধরণের খাদ্য তৈরি করতে মাশরুম ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
তাই এর চাহিদাও দেশের বাজারের সাথে সাথে আন্তরাষ্ট্রীয় বাজারেও অনেক বেড়ে চলছে।
এই ব্যবসা শুরু করার জন্য জমির প্রয়োজন হয়না যদিও ছায়াদার জায়গার প্রয়োজন হয়ে থাকে।
তাই যারা কম সময়ে লাভ করতে চায় তারা প্রথমে কম জায়গায় এবং কম নিবেশ এর সাথে সীমিত পরিমানে মাশরুম উৎপাদনের ব্যবসা শুরু করতে পারবে।
১১. গাছের ব্যবসা
আপনার কাছে যদি খেতি করার সাথে সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণে খালি জায়গা থাকে তাহলে বিভিন্ন ধরণের মূল্যবান গাছ লাগিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনার ঘর যদি গ্রাম অঞ্চলে থাকে তাহলে এই ব্যবসা আপনার জন্য একটি লাভবান ব্যবসা হয়ে দাড়াবে।
ঘরের আসবাবপত্র (furniture) বানানোর জন্য শাল, সেগুন ইত্যাদি বিভিন্ন গাছ কেটে বের করা কাঠ ব্যবহার করা হয়।
কিন্তু গাছ কেটে বের করা কাঠের উৎপাদন কম হওয়ার ফলে এবং বাজারে কাঠ গুলোর চাহিদা অধিক থাকার ফলে কাঠ এবং ফার্নিচার গুলো অধিক দামে বিক্রি হয়ে থাকে।
এই ব্যবসা শুরু করার জন্য উৎপাদকের ধর্য্য থাকতে হবে কারণ লাগানো গাছ গুলো বিক্রি করার উপযোগী হতে প্রায় ৬ থেকে ৭ বছর সময় লেগে যায়।
কিন্তু ধর্য্য রেখে এই ব্যবসা শুরু করতে পারলে একসাথে ভালো টাকা মুনাফা করা সম্ভব।
১২. সার, বীজ, কীটনাশক ব্যবসা
গ্রামের এলাকায় এই ব্যবসা শুরু করলে ভালো খরিদ্দ্বার পাওয়া যাবে, কারণ এক্ষেত্রে আপনার গ্রাহক বলতে বেশীরভাগ কৃষকরাই হবে।
আমরা সকলেই জানি ভালো ফসল ফলানোর জন্য সার, বীজ ইত্যাদির প্রয়োজন প্রথমেই হয়ে থাকে।
তাই যদি আপনারা সার, বীজ, কীটনাশক ইত্যাদি বিক্রি করার এই ব্যবসা শুরু করে কৃষকদের চাহিদা পূরণ করে থাকেন, তাহলে ভালো টাকা লাভ করতে পারবেন।
কেননা, গ্রাম অঞ্চলে অধিক পরিণয়ে কৃষি ব্যবসা গুলো হয়ে থাকে।
আর, আপনি যদি সার, বীজ ইত্যাদি বিক্রি করে থাকেন তাহলে প্রায় প্রত্যেক কৃষকেরা আপনার থেকেই সেগুলো কিনবেন।
এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে প্রথমে সরকার থেকে লাইসেন্স বানানোর সাথে সাথে একটি গোদাম ঘর এবং প্রায় ১ থেকে ২ লাখ টাকা নিবেশ করতে হবে।
১৩. নার্সারি
বর্তমান সময়ে মানুষ নিজের ঘরে গাছ পালা লাগাতে পছন্দ করে থাকে।
তাই, লোকেরা ভালো ভালো ফুল গাছ বা ঘর সাজানোর জন্য সুন্দর সুন্দর গাছ গুলো কিনে নিতে চান।
আর এর জন্যে একটি ভালো গাছের দোকান বা নার্সারির প্রয়োজন হয়ে থাকে।
ছোটো বড় সব শহরেই নার্সারি দোকান দেখা যায়।
আপনারাও যদি নার্সারি ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে কিছু বিষয়ে জ্ঞান রাখা দরকার যেমন কি ধরণের ফুল গাছ বা ফল গাছ রাখা দরকার এবং কোন ধরণের গাছ গুলো দিয়ে অধিক লাভ করা সম্ভব ইত্যাদি।
যেকোনো ব্যবসা শুরু করার জন্য সেই ব্যবসা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকা দরকার।
- ২১ টি ইউনিক বিজনেস আইডিয়াজ গুলো
- ১ লাখ টাকায় ব্যবসা করতে চাইছেন ?
- গার্মেন্ট কাপড়ের ব্যবসা শুরু করার নিয়ম
- বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
এছাড়াও আরো অনেক ধরণের কৃষি ব্যবসা গুলো রয়েছে যেগুলো ছোটো বড় দুই স্তরেই শুরু করে ভালো টাকা আয় করা সম্ভব। যেমন,
১. শুকনো ফুলের ব্যবসা।
২. টুকরি বানানোর ব্যবসা।
৩. শামুক চাষ।
৪. ডালের মিল।
৫. সূর্যমুখী ফুলের চাষ।
৬. পশুর চারা উৎপাদন।
৭. বেতের ফার্নিচারের ব্যবসা।
৮. সয়াবিন উৎপাদন।
৯. সরষে তেলের উৎপাদন।
১০. চালের মিল।
১১. হস্তশিল্পের ব্যবসা।
১২. ফলের রস উৎপাদন।
১৩. গাজর চাষ।
১৪. গোটা এবং গুঁড়ো মশলা উৎপাদন।
১৫. গুড় উৎপাদন।
১৬. কাঁচা কলার চাষ
এই ধরণের বিভিন্ন কৃষি ব্যবসার আইডিয়া গুলো রয়েছে যেগুলোর মধ্যে যেটাই আপনার পছন্দ সেটা শুরু করতে পারবেন।
আমাদের শেষ কথা,,
তাহলে বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন লাভজনক কৃষি ব্যবসার আইডিয়া (Agriculture Business Ideas in Bangla) গুলোর বিষয়ে জানলাম।
আশা করছি, ওপরে বলা ব্যবসার ধারণা গুলো আপনাদের অবশই পছন্দ হয়েছে।
যদি আমাদের আজকের আর্টিকেল আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশই আর্টিকেলটি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করবেন।
এছাড়া, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।