প্লাস্টিক রিসাইক্লিং ব্যবসা কি এবং কিভাবে শুরু করবেন ? আজকে আমরা এই ব্যবসার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি।

এই প্লাস্টিক রিসাইক্লিং এর ব্যবসা শুরু করার ধাপ গুলো কি, সেই সম্পর্কে সবটাই আপনারা জানতে পারবেন।
পৃথিবী যেখানে গোবাল ওয়ার্মিং বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সঙ্কটজনক প্রাকৃতিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে,
সেখানে প্লাস্টিক দূষণ পরিবেশের ভারসাম্যকে আরও বেশি করে নষ্ট করে ফেলছে।
যেহেতু, প্লাস্টিক জাতীয় জিনিসপত্র গুলো সহজে পৃথিবীর বুকে মিশে যায় না (non-biodegradable),
তাই এই পদার্থগুলো পরিবেশের নানান ধরণের ক্ষতি করে থাকে;
যেমন – অতিরিক্ত প্লাস্টিক বর্জনের প্রভাবে সামুদ্রিক প্রাণীদের জীবনযাপন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
কিংবা, প্লাস্টিক সহজে মাটিতে না মেশায় মাটির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে,
আর চাষবাসের পাশাপাশি আঞ্চলিক বাস্তুতন্ত্রের (Eco System) উপরও খারাপ প্রভাব পড়ছে।
এমন অবস্থায় প্লাস্টিক দূষণ মানব তথা উদ্ভিদ ও প্রাণীজগতের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে একেবারেই নষ্ট করে দিচ্ছে।
তাই, প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাবগুলোকে ঠেকানোর জন্যে বৈজ্ঞানিকরা প্লাস্টিক রিসাইক্লিং বা পুনর্ব্যববহারকেই অন্যতম সেরা সমাধান হিসেবে দেখছেন।
আর, এই প্লাস্টিক রিসাইক্লিং করা মোটেও মুখের কথা নয়।
সুতরাং, আপনি যদি একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে এই প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহারের কাজে নিজেকে যুক্ত করতে পারেন,
তাহলে এর থেকেও আপনি যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
তাই, আজকে আমাদের এই আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে চলেছেন, প্লাস্টিক রিসাইক্লিং ব্যবসা কি এবং কিভাবে শুরু করবেন এই ব্যবসা ?
প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কি ?
আমাদের জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার প্রায় সর্বত্রই।
কিন্তু, আমাদের পৃথিবীর কোনো জীবাণুই প্লাস্টিককে পরিবেশের বুকে মিশিয়ে দিতে পারে না।
যে কারণে, প্লাস্টিক মেটেরিয়াল পরিবেশে লুপ্ত হতে দশকের পর দশক সময় লাগে।
আপনি কি জানেন যে, আমার-আপনার মতো সাধারণ মানুষ বছরে প্রায় ১১কেজির মতো প্লাস্টিক ব্যবহার করি?
যা সারা পৃথিবীর মোট প্লাস্টিক ব্যবহারের সংখ্যাকে অবিশ্বাস্যভাবে ৩০০মিলিয়ন টনে নিয়ে যায়।
এর মধ্যে মাত্র ৯% প্লাস্টিক রিসাইকেল হয়, ১২% জ্বালানো হয় এবং বাকি ৭৯% প্লাস্টিক আবর্জনা হিসেবে পরিবেশে ছড়িয়ে থাকে।
এমনকি, ধারণা করা হয়, যে প্রায় ৫ ট্রিলিয়ন প্লাস্টিক শুধুমাত্র সমুদ্রেই রয়েছে।
এই অস্বাভাবিক প্লাস্টিকের উপস্থিতি বিশ্বে গ্লোবাল ওয়ার্মিং ঘটানোর পাশাপাশি জল, মাটি এবং পরিবেশ দূষণকেও মাত্রাহীনভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে।
তাই, পৃথিবীকে এইসব দূষণ থেকে রক্ষা করতে আমাদের উচিত প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহার করে প্লাস্টিক বর্জনের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা।
এই রিসাইক্লিং পদ্ধতির ক্ষেত্রে ‘Three Rs’ ব্যাপারটা খুবই জরুরি, যথা- Reduce (কমানো), Reuse (পুনরায় ব্যবহার) ও Recycle (পুনর্ব্যবহার)।
সোজা কথাতে, প্লাস্টিক রিসাইক্লিং করার অর্থ হল, এই বিপুল সংখ্যক প্লাস্টিকগুলোকে পরিবেশে মুক্ত ঘুরতে না দিয়ে সেগুলোকে পুনরায় কাজে লাগিয়ে প্লাষ্টিক ওয়েস্টেজ বা বর্জনকে নিয়ন্ত্রণ করা।
প্লাস্টিক রিসাইক্লিং ব্যবসা কি ?
এইবার আমরা জানি, plastic recycling business সম্পর্কে।
প্লাস্টিক মেটেরিয়াল গুলো পুনরায় ব্যবহার করে যে ব্যবসা গড়ে ওঠে, তাইই হল এই প্লাস্টিক রিসাইক্লিং ব্যবসা।
এই ব্যবসাতে রিসাইক্লিংয়ের একাধিক পদ্ধতি যুক্ত থাকে, যেখানে প্লাস্টিক পদার্থকে পুনরায় ব্যবহার করার ব্যবস্থা করা হয়।
আর, এই ধরণের ব্যবসাতে প্লাষ্টিক সংগ্রহ, আউটসোর্সিং, পুনরায় প্রক্রিয়াকরণ (রিপ্রসেসিং) এবং রিসাইকেল্ড প্লাস্টিক বিক্রি করার মতো ধাপগুলো যুক্ত থাকে।
অন্যদিকে, ভার্জিন প্লাস্টিক বানানোর প্রক্রিয়া রিসাইকেল্ড প্লাস্টিক প্রক্রিয়াকরণের থেকে অনেক বেশি খরচসাপেক্ষ।
এবং, এই প্লাস্টিকগুলোকে যতবেশি প্রসেসিং করা হয়, ততবেশি করে এগুলোর কোয়ালিটি খারাপ হতে থাকে।
এই খারাপ মানের রিসাইকেল্ড প্লাস্টিক থেকে ইউজ-এন-থ্রো কন্টেইনার, বাক্স, পলিথিন প্যাকেট বা PET বোতল তৈরী হয়।
অনেক সময় বিভিন্ন দেশের রোড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টগুলো এই নিম্নমানের প্লাস্টিক গলিয়ে রাস্তা বানানোর কাজও করে।
গলানো প্লাস্টিক অনেক দেশেই টার বা আলকাতরা হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
এমনকি, বিভিন্ন দেশে রিসাইকেল্ড প্লাস্টিক থেকে সাবান-শ্যাম্পুর বোতলও বানানো হয়।
তবে, প্লাস্টিকের জলের বোতল রিসাইক্লিংয়ের ব্যবসার ক্ষেত্রে বোতল সংগ্রহ এবং বাছা অনেকটাই সহজ।
এই রিসাইক্লিং ব্যবসা শুরুর আগে নিম্নলিখিত প্লাস্টিকের বিভাগগুলোর ব্যাপারে জানুন,
- পলিথিন টেরেফথালেট (PET/PETE)- সফ্ট ড্রিংক বা জুসের বোতল
- হাই-ডেনসিটি পলিথিন (HDPE)- দুধ বা শ্যাম্পুর কৌটো
- পলিভিনাইল ক্লোরাইড (PVC/ভিনাইল)- জলের পাইপ, স্কুইজ বা জুসের বোতল
- লো-ডেনসিটি পলিথিন (LDPE)- গার্বেজ ব্যাগ বা বিন
- পলিপ্রোপিলিন (PP)- আইসক্রিম, ফুড কন্টেইনার ও লাঞ্চ বাক্স
- পলিস্টাইরিন (PS/স্টাইরোফোম)- ফোমের কাপ, প্লাস্টিকের চামচ ও কন্টেইনার
কিভাবে শুরু করবেন প্লাষ্টিক রিসাইক্লিং ব্যবসা ?
তুলনামূলকভাবে নতুন হলেও, এই ব্যবসা থেকে মুনাফা করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
তবে, এই রিসাইক্লিং ব্যবসার ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার হল এই যে,
“আপনাকে কম করেও একটা ২০০-৫০০ স্কোয়ার-ফিটের জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে।”
এই জায়গাতে আপনাকে একটা প্লাস্টিক রিসাইক্লিংয়ের প্লান্ট বানাতে হবে।
এছাড়াও, এই ব্যবসা শুরু করার জন্যে আপনাকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ পুঁজির জোগাড় করার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন কর্মীকেও (১জন টেকনিশিয়ান, ৬জন দক্ষ/অদক্ষ কর্মী) নিয়োগ করতে হবে।
চলুন, তাহলে আমরা জানি, এই ব্যবসা শুরু করার অন্যতম জরুরি ব্যাপারগুলো সম্পর্কে –
১. মার্কেট অনুসন্ধান করুন:
যেহেতু, এটা একটা নতুন ব্যবসা, তাই এখানে ব্যবসা শুরুর আগে আপনার অঞ্চলে এর চাহিদা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে।
আপনার নির্বাচিত এলাকাতে এই ধরণের প্লাস্টিকের চাহিদা আছে কিনা কিংবা আপনি সহজে রিসাইকেল করার মতো প্লাস্টিক সরবরাহের ব্যবস্থা করতে পারবেন কিনা- এইগুলো দেখে নিন।
এমনকি, আপনার এলাকাতে কোন ধরণের রিসাইকেল্ড প্লাস্টিকের চাহিদা সবথেকে বেশি আছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে অনুসন্ধান করুন।
আর, অবশ্যই বিভিন্ন ধরণের রিসাইকেল্ড প্লাস্টিক সম্পর্কে জানুন।
আপনার অঞ্চলের ম্যানুফ্যাকচারারদের মধ্যে রিসাইকেল্ড প্লাস্টিকের চাহিদা আছে কিনা, সেটাও পরীক্ষা করে নিন।
এছাড়াও, বিভিন্ন রিসাইক্লিং বিজনেস সাইট ঘুরে দেখবেন, সার্ভে করবেন এবং নানান বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শও করে নেবেন।
২. বিজনেস প্ল্যান বানান:
এই ব্যবসাতে পুনর্ব্যবহারের (recycling) জন্যে প্লাস্টিক সংগ্রহ করাটাই হল বেশ বড় একটা চ্যালেঞ্জ।
এক্ষেত্রে, আপনাকে একটা মজবুত বিজনেস প্ল্যান করতে হবে।
যেকোনো এলাকাতেই প্লাস্টিক সংগ্রহের কাজকে সোজা করে তুলতে বিভিন্ন লোকাল ভলেন্টিয়ার বা এনজিওর সাহায্য নিন।
যেহেতু, এই ধরণের প্রতিষ্ঠানগুলো সমাজ কল্যাণের কাজ করে,
তাই এদের কাছে পরিবেশ দূষণ ঠেকানোর জন্যে প্লাস্টিক আবর্জনা সংগ্রহের জায়গা সম্পর্কেও যথেষ্ট ধারণা থাকে।
এছাড়াও, আপনি আপনার অঞ্চলের রিসাইক্লিং বিন থেকেও বর্জ্য প্লাস্টিক জোগাড় করতে পারেন।
এমনকি, আপনি বিভিন্ন ব্যবসা ও প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে তাদের প্লাস্টিক বর্জ্য সরবরাহ করার জন্যেও অনুরোধ করতে পারেন।
৩. রাজ্য সরকারের অধীনে ব্যবসা রেজিস্টার করুন:
এই ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে রাজ্যের সেক্রেটারি অফিসে যোগাযোগ করে আপনার কোম্পানিকে রাজ্য সরকারের অধীনে রেজিস্টার করতে হবে।
আপনি যেখানে ব্যবসা করবেন সেখানের সেক্রেটারি অফিসে আপনার ব্যবসা-সম্পর্কিত সমস্ত নথি জমা করুন।
সোজা ভাবে বলতে গেলে, যেকোনো অন্যান্য ব্যবসার মতোই এই ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে জরুরি আইনি অনুমতি (legal permission) নেওয়া, নিবন্ধন (registration) ইত্যাদি সম্পূর্ণ করতে হবে।
৪. বিসনেস ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বরের (TIN) আবেদন করুন:
বৈধভাবে ব্যবসা চালাতে গেলে TIN নম্বর থাকাটা একান্তভাবে জরুরি।
এর জন্যে আপনাকে ইন্টারনাল রেভেন্যু সার্ভিসে যোগাযোগ করতে হবে।
এই নম্বর আপনাকে ওপেন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের পাশাপাশি ক্রেডিট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ভেন্ডরদের সাথে স্বচ্ছভাবে ব্যবসা করার সুবিধা দেয়।
এছাড়াও, TIN-এর মাধ্যমে আপনি সহজে সরকারি ট্যাক্স ফাইলিং নথিও ফিলআপ করতে পারবেন।
৫. ব্যবসার মূলধন সংগ্রহ করুন:
টাকা ছাড়া কোনো ব্যবসাই দাঁড় করানো সম্ভব নয়।
তাই, এই রিসাইক্লিং ব্যবসা শুরুর আগে প্রয়োজনীয় মূলধন জোগাড় করাটা একান্তই আবশ্যক।
আপনাকে প্লান্ট তৈরী করতে, যন্ত্রপাতি কিনতে এবং অপারেশনাল খরচ চালানোর জন্যে পুঁজির ব্যবস্থা করতেই হবে।
আপনি পুঁজির জন্যে সরকারি লোনের পাশাপাশি বিভিন্ন লোনদাতার সাথেও কথাবার্তা চালাতে পারেন।
৬. জায়গা নির্বাচন করুন:
একটি ব্যবসার সফলতার ক্ষেত্রে তার এলাকা নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা পালন করে।
তাই, এই ব্যবসাতেও আপনি এমন একটা অঞ্চল নির্বাচন করুন, যেখানে সহজেই পর্যাপ্ত পরিমাণে শ্রমিক পাওয়া সম্ভব।
এক্ষেত্রে, আপনি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকাগুলোকে বাছতে পারেন, কারণ এখানে সহজেই কর্মীদের খুঁজে পাওয়া যায়।
আপনাকে এমন একটা অঞ্চল বাছতে হবে, যেখানে প্লাস্টিক জমানোর যথেষ্ট জায়গা থাকার পাশাপাশি প্লাস্টিক বাছার এবং যন্ত্রপাতি ব্যবহারের যথেষ্ট জায়গা আছে।
৭. লাইসেন্সের ব্যবস্থা করুন:
প্লাস্টিক রিসাইক্লিংয়ের ব্যবসাতেও আপনার একটা লাইসেন্স রাখতেই হবে।
একটা বিজনেস লাইসেন্স থাকার অর্থ হল আপনার ব্যবসার আইনি বৈধতা থাকা।
যাতে, আপনার ব্যবসাকে কখনোই বেআইনিভাবে কেউ বাজেয়াপ্ত করতে না পারে কিংবা আপনার ব্যবসাকে কেউ বেআইনি বলে দাবিও করতে না পারে।
৮. রিসাইক্লিং যন্ত্রপাতি জোগাড় করুন:
এই বিজনেসে আপনাকে অবশ্যই নানান ধরণের যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করতেই হবে।
আপনি এই ব্যবসার জন্যে প্লাস্টিক সেপারেটর, শ্রেডার, ব্রেকার, শ্যাক স্টিচার, প্রি-ওয়াশিং সিস্টেম, গ্র্যানিউল মেকার, রিন্স সিস্টেম, ড্রায়ার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রের ব্যবস্থা করতে পারেন।
এই যন্ত্র নির্বাচনের উপর আপনার প্লান্টের প্রোডাকশন অনেকটাই নির্ভর করবে।
তাই, মেশিনগুলো কেনার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করুন।
৯. ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান বানান:
যেকোনো জায়গা থেকে প্লাস্টিক সংগ্রহের জন্যে আপনাকে ভালোভাবে ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান করে নিতে হবে।
যেখানে আপনি অল্প খরচে আপনার ক্লায়েন্ট বা কাস্টোমারদের থেকে একসাথে অনেক পরিমাণ প্লাস্টিক আপনার ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেন।
এক্ষেত্রে, আপনি আপনার ক্লায়েন্টদেরকে প্লাস্টিক জমানোর বিন দিতে পারেন কিংবা মুভিং ট্রাকের সাহায্যে প্লাস্টিকগুলো রিসাইক্লিং প্লান্ট পর্যন্ত আনাতে পারেন।
১০. ব্যবসার প্রচার করুন:
অন্যান্য যেকোনো ব্যবসার মতোই এই ধরণের রিসাইক্লিং ব্যবসার ক্ষেত্রেও,
ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করার পর তার প্রচারের উপর ব্যবসার সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করে।
তাই, আপনার রিসাইক্লিংয়ের ব্যবসাকে শুরু করার পর, ভালোভাবে তার প্রমোশন করুন।
অর্থাৎ, নিজের কোম্পানির একটা ওয়েবসাইট বানান, ব্রোশিওর বানান এবং বিভিন্নভাবে বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থা করুন।
এছাড়াও, ইমেইল মার্কেটিং, পোস্টার এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও আপনার অনলাইন প্রেসেন্স তৈরী করতে ভুলবেন না!
আমাদের শেষ কথা,,
আমাদের আজকের প্লাস্টিক রিসাইক্লিং করার ব্যবসা নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি এখানেই শেষ হল।
লেখাটি পছন্দ হলে অবশ্যই তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
এছাড়া, plastic recycling business-এর সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, সেটাও কমেন্ট করে জানাবেন।
লেখাটি সত্যি ভালো লেগে থাকলে, সোশ্যাল মিডিয়া পেজ গুলোতে আর্টিকেলটি অবশই শেয়ার করবেন।
অবশই পড়ুন –
- ফুটপাতে করা যাবে এই লাভজনক ব্যবসা গুলো
- ১৩+ লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া
- ১৫ টি স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়া গুলোর তালিকা