ভালোবাসা গভীর করার উপায় এবং কৌশল – (সেরা ১১টি)

ভালোবাসা গভীর করার উপায় গুলো কি কি ? আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা এই বিষয়ে জানার চেষ্টা করবো।

ভালোবাসা নামক অনুভূতি আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই আছে।

কিন্তু সকলের ‘ভালোবাসা’ নামক এই আবেগের প্রকাশভঙ্গি একসমান নয়।

অর্থাৎ, কেউ নিজের বা অন্যের প্রতি ভালোবাসাকে প্রকাশ করে মন খুলে, তো কেউ আবেগ সমূহকে রাখতে চায় আড়ালে-আবডালে।

এক্ষেত্রে যারা ভালোবাসা প্রকাশে লাজুক তাদের অনেকেই ভুল বুঝে থাকে।

এমনকি সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সাথেও সম্পর্কে দূরত্ব চলে আসে শুধুমাত্র আবেগ প্রকাশ করতে না পারার কারণে।

তাই জীবনভর দাম্পত্য বা ভালোবাসার সম্পর্ককে সুমধুর এবং দৃঢ় রাখার জন্য কিছু বিষয় সর্বদা মনে রাখা আবশ্যক।

কেননা ছোট ছোট কিছু পদক্ষেপ বা আবেগ প্রকাশের শৈলী সম্পর্ককে দীর্ঘ স্থায়িত্ব প্রদান করার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তাই আজ আমরা এই প্রতিবেদনে দাম্পত্য জীবনে ভালোবাসা গভীর করার এমন ১১টি উপায় সম্পর্কে জানাবো,

যেগুলি স্বয়ং সাইকোথেরাপিস্ট এবং রিলেশন এক্সপার্ট দ্বারা পরীক্ষিত।

ভালোবাসা গভীর করার উপায় – (সেরা ১১টি)

ভালোবাসা গভীর করার ১১টি উপায় কি কি ? চলুন নিচে সরাসরি জেনেনেই।

১. দৈনিক ঘটনাবলী একে অপরের সাথে শেয়ার করুন :

বর্তমানে আমরা প্রত্যেকেই কর্মজীবনের ভারে চাপা পরে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনকে ভুলতে বসেছি।

এমনকি টাকা রোজগারের নেশায় অজান্তেই আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের সাথে সংযুক্ত মানুষদেরও গুরুত্ব দেওয়া কমিয়ে দিয়েছে।

যার দরুন সম্পর্কে দেখা দিচ্ছে দূরত্ব।

তাই অফিসে যাওয়ার বা ঘুমোনোর আগে অথবা টিফিন ব্রেক চলাকালীন অন্তত ১০ মিনিট সময় বের করে নিজের সঙ্গী / সঙ্গিনীর সাথে কথা বলুন।

কারণ আপনার জীবনের একটি অবিচ্ছিন্ন অঙ্গ হল আপনার লাইফ পার্টনার।

তার সাথে নিজের জীবনে প্রতিদিন ঘটে যাওয়া ছোট-বড় ঘটনাগুলি ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে আপনি একে অপরের সাথে সংযুক্ত অনুভব করবেন।

একই সাথে, এই ভাবে কাজের ফাঁকে সময় বের করে কথা বলার জন্য আপনার পার্টনারও ‘স্পেশাল’ অনুভব করবেন।

আর সর্বদা একটা কথা মনে রাখবেন, আপনি যদি আপনার জীবনের সাথে কেউকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন এবং একসাথে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করার পরিকল্পনা করে থাকেন,

তবে এর অর্থ আপনার ও আপনার সঙ্গীর জীবন আলাদা নয় বরং একটি টিম হিসাবে আপনাদের কাজ করতে হবে।

তাই একটি টিম হিসাবে জীবনে এগিয়ে চলার জন্য সব কথা নিজেদের মধ্যে অবশ্যই শেয়ার করা উচিত।

এতে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে।

২. একসাথে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করুন :

যেকোনো সম্পর্কে চ্যালেঞ্জ আসাই স্বাভাবিক।

বিশেষত ভালোবাসা বা দাম্পত্যের সম্পর্ক কাঠিন্য ছাড়া পরিণতি পায় না বলেই আমরা দেখে এসেছি।

তাই ভালবাসাকে আরো গভীর করার অন্যতম একটি উপায় হল, একসাথে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা।

উদাহরণস্বরূপ, আপনার যদি ব্যক্তিগত জীবনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকলে বা দরকারে ঋণ নেওয়ার দরুন কোনো সমস্যায় পরলে,

একা নয় বরং পার্টনারকে সঙ্গে নিয়ে একটি টিম হিসাবে পরিস্থিতির সম্মুখীন হন।

এছাড়া, কর্মজীবন বা পারিবারিক জীবনে কারোর সাথে ঝামেলা হলে বা চাকরি পরিবর্তন করার মনোভাব দেখে দিলেও,

নিজের পার্টনারের সাথে আগে এই বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা করুন।

এমনটা করার দরুন আপনি সঠিক পরামর্শ ও আশানরুপ মনোবল তো পাবেনই,

একই সাথে আপনার ভাবনায় কোনো ভুল থেকে থাকলে তাও বুঝতে সক্ষম হবেন।

এই বিষয়ে সাইকোথেরাপিস্ট জ্যাকলিন শ্যাটজের মন্তব্য – “যে কোন প্রকারের চ্যালেঞ্জ এলে, একে অপরকে সাপোর্ট করুন। এতে ভালবাসা আরও গভীর হবে এবং বিশ্বাসযোগ্যতাও বাড়বে।”

আর ধরুন একসাথে কাজ করার পরও যদি পরিস্থিতির কাছে হার মানতে হয়, তবে এর মানে এই নয় যে আপনাদের সম্পর্কে হেরে গেছে।

বরং একসাথে কাজ করার দরুন সম্পর্ক আরো সুনিবিড় ও পোক্ত হয়েছে বলেই জানবেন।

৩. অ্যাডভেঞ্চারে যান :

ভালোবাসা গভীর করার উপায় হিসেবে এই উপায়টি সব থেকে কার্যকর উপায় হিসেবে প্রমাণিত হয়ে এসেছে।

জীবনে ব্যস্ততার ছাপ পড়তেই দাম্পত্য জীবনের রঙ সময়ের সাথে ফ্যাকাসে হয়ে যেতে থাকে।

আর ফলস্বরূপ সম্পর্কে বিপর্যয় দেখা দেয়।

তাই সম্পর্ক ৩ মাসের হোক বা ৩০ বছরের, তাকে সজীব রাখতে প্রতিদিনের ব্যস্ত রুটিনের মধ্যে থেকেও কটা দিন বের করে একটি ছোটোখাটো অ্যাডভেঞ্চারাস বা রোমহর্ষক শর্ট ট্রিপ প্ল্যান করুন।

যেমন ধরুন, আপনার যদি রক ক্লাইম্বিং করতে, ঠান্ডার জায়গাতে ঘুরতে বা বিদেশে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার শখ থেকে থাকে তবে সেই পরিকল্পনাকেই বাস্তবায়িত করুন,

তবে সাথে নিজের পার্টনারকে সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।

এমনটা করার ফলে জীবনে নতুনত্ব আসবে এবং পাশাপাশি নিজের জীবনসঙ্গীকে পরিচিত গন্ডির বাইরে গিয়ে নতুনভাবে বোঝার সুযোগও পাবেন।

৪. পুরোনো সময়কে মনে করিয়ে দেবে এমন কাজ পুনরাবৃত্তি করুন :

যেকোনো দাম্পত্য জীবনে বা ভালোবাসার সম্পর্কে বিশেষ বিশেষ কিছু দিন এবং স্মৃতি থেকে থাকে।

তাই বিশেষ দিনগুলিকে মনে রাখুন এবং অতীতে কীভাবে সেই দিনটি উদযাপন করতেন তারই পুনরাবৃত্তি ঘটান অথবা ব্যতিক্রমী কোনো সারপ্রাইজ দেওয়ার মাধ্যমে পার্টনারের সাথে নতুন স্মৃতি তৈরী করুন।

আর স্মৃতির কথা যখন এলোই তখন একটি বিশেষ পরামর্শ দিয়েই দিই তাহলে আপনাকে।

প্রত্যেক সম্পর্ক শুরু হওয়ার পেছনে একটা গল্প থাকে।

যেমন ধরুন, বর্তমানের ভালোবাসার মানুষটিকে কীভাবে ভালো লাগতে শুরু করেছিল? তার কোন গুনের কারণে আপনি আকৃষ্ট হয়েছিলেন?

একসাথে কোন কোন জায়গায় ঘুরেছেন? ইত্যাদি তথ্যগুলি যদি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মনে থাকে তবে তার সদ্ব্যবহার করুন।

যেমন, পূর্বে যেই সকল স্থানে ঘুরতে যেতেন সেখানে গিয়ে পুরোনো স্মৃতি জাগিয়ে তুলুন এবং তার গুণাবলী সম্পর্কে প্রশংসা করুন।

দোষের মধ্যেও যেই গুনগুলির জন্য তাকে ভালো লেগেছিল সেগুলিকে মনে করুন।

এমনটা করলে ছোটোখাটো মনোমালিন্য ভুলে আপনারা একসাথে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন এবং ভালোবাসা চিরসবুজ থাকবে।

ভালোবাসা গভীর করার জন্যে পুরোনো সময় এবং স্মৃতি গুলোকে মনে রাখাটা অনেকটাই জরুরি।

৫. দুজনেই উপভোগ করবেন এমন অ্যাক্টিভিটিতে সামিল হন :

উভয় পক্ষ রাজি না থাকলে ভালোবাসার সম্পর্ক যেমন পরিণতি পায়,

তেমনি দাম্পত্যে থাকা দুটি ব্যক্তির আগ্রহ বা পছন্দের মধ্যে হাজারো অমিল থাকা সত্ত্বেও অন্তত ১-২টো মিল থাকবেই যা সম্পর্ককে নিবিড় করে।

তাই অবসর সময়ে দুজনেই উপভোগ করবেন এমন অ্যাক্টিভিটিতে সামিল হন।

এক্ষেত্রে আপনি ও আপনার পার্টনার যদি মর্নিং ওয়াকে যেতে, কোনো স্পোর্টস খেলতে, ঘুরতে যেতে বা রান্না করতে ভালোবাসেন, তবে তাই করুন।

তবে, একা একা নয় কিন্তু, একসঙ্গে।

রিলেশন এক্সপার্টের মতে, ভালোলাগার কার্যকলাপগুলি একসাথে করার ফলে পারস্পরিক সম্পর্ক গভীর হয় এবং ইতিবাচক অভিজ্ঞতা গড়ে তোলা সম্ভব হয়।

৬. খোলাখুলি কথোপকথন করুন :

কথোপকথন হল একটি প্রাথমিক উপায় যার মাধ্যমে দম্পতিরা তাদের সম্পর্কে আরো শক্তিশালী করে তুলতে পারে।

আবার কথাবার্তা কম হওয়ার ফলেও কিন্তু সম্পর্কের বাঁধন আলগা হয়ে যায়।

তাই মনের মধ্যে রাগ, অভিমান, দুঃখ, আনন্দ, ভালোলাগা ইত্যাদি আবেগগুলি লুকিয়ে না রেখে খোলাখুলি প্রকাশ করুন নিজের পার্টনারের কাছে।

এমনটা করলে আপনার সঙ্গী আপনার সাথে আরো ভালোভাবে ‘কানেক্ট’ হওয়ার সুযোগ পাবেন।

এছাড়া নিজের ভালো সময় যেমন সঙ্গীর সাথে উপভোগ করেন, তেমন খারাপ দিনগুলিতে তার সাথে মনের কথা ভাগ করে হালকা হন।

এমনকি, আপনার অতীতের কোনো মধুর স্মৃতি বা ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা শেয়ার করার মাধ্যমে নিজেকে আরো স্পষ্ট ভাবে ব্যক্ত করুন।

দেখবেন দিনের শেষে আপনাদের ‘বন্ড’ আরো দৃঢ় হয়ে গেছে।

৭. নিজেকে জানুন সঠিক ভাবে :

অন্য কাউকে ভালোবাসার জন্য, আগে নিজেকে ভালোবাসতে শিখতে হয়।

কেননা নিজেকে ভালোবাসলে তবেই লাজুক স্বভাব থেকে বেরিয়ে এসে আত্মবিশ্বাসী অনুভব করবেন।

একই সাথে কে কি ভাবলো সেই চিন্তাও মাথা থেকে বেরিয়ে যাবে,

এবং অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করে মন খারাপ হওয়ার প্রবণতাও অনেকাংশে লোপ পাবে।

তাই নিজের চাহিদা, ইচ্ছা, অনিচ্ছাগুলো বোঝার চেষ্টা করুন।

যাতে আপনি নিজের পার্টনারের কাছে নিজের আবেগ সমূহকে আরো ভালো ভাবে ব্যক্ত করতে পারেন।

আবেগ ও কথোপকথন যত স্পষ্ট হবে ততই একে অপরকে ভালো ভাবে বুঝতে ও ভালোবাসতে পারবেন।

এক্ষেত্রে একটা বিষয় মাথায় রাখবেন,

আপনি যদি নিজেকে বুঝতে বা আবেগ সনাক্ত করতে অসমর্থ হন, তবে অপর পক্ষের থেকে আপনাকে যথাযথ বোঝার আশা করা উচিত নয়।

৮. প্রতিদিন একসাথে খাবার খান :

কথায় আছে, একজনের মনে পৌঁছনোর রাস্তা পেট হয়ে যায়।

অর্থাৎ ভালো খাবার রান্না করে খাওয়ানোর মাধ্যমে ভালোবাসা বাড়ে।

কিন্তু শুধু রান্না করে খাওয়ালেই হবে না,

ভালোবাসার সম্পর্ক সজীব রাখার জন্য দিনের অন্তত একটা সময়ের খাবার অর্থাৎ ব্রেকফাস্ট হোক বা লাঞ্চ নাইবা ডিনার একসাথে বসে খাওয়া দরকার।

কেননা বাস্তব অভিজ্ঞতা বলেছে, প্রায় প্রত্যেক দম্পতির জীবনে কোনো ছোট-বড় বিষয়ে ঝামেলা হলে প্রথমেই কথা বন্ধ হয়ে যায়।

তারপর রাগ অভিমানের পালা তো আছেই।

কিন্তু দিনের একটা সময় একসাথে খেতে বসলে,

কথাবার্তা চলমান থাকবে এবং একই সাথে যেই কারণে মনোমালিন্য হয়েছে তার সমাধানও খুঁজে পাওয়া যাবে।

এক কথায় বললে, একসাথে বসে খাবার খাওয়ার দরুন ব্যস্ত জীবনের মধ্যে একটু সময় বের করে আপনি নিজের সম্পর্ককে পরিপক্ক করতে পারবেন।

৯. মোবাইল দূরে রেখে সম্পর্কে মনোনিবেশ করুন :

বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বের মানুষ মজেছে মোবাইলের নেশায়।

এই ক্ষুদ্রাকার যন্ত্রটি ‘লাইভ সেভার’ হিসাবে যেমন কাজ করে, তেমনি সম্পর্কে দূরত্ব আনার নেপথ্যে এটিরই অবদান সবথেকে বেশি।

আসলে কাজের মাঝে একটুখানি অবসর পেলেই পরিবারের সাথে গল্পগুজব করে কাটানোর পরিবর্তে, আমরা ফোন ঘাটতে শুরু করে দিই।

আর তাই ভার্চুয়াল জগতের সাথে সম্পর্কে টিকিয়ে রাখতে গিয়ে, খোয়াতে হয় বাস্তব জীবনের কাছের মানুষদের।

অতএব, মোবাইলের মতো ডিভাইসগুলিকে সম্পর্কের পথে বাঁধা হয়ে উঠতে দেবেন না।

দরকার হলে প্রতিদিন ১-২ ঘন্টার জন্য বা সপ্তাহের যেকোনো একটা দিন ফোন দূরে রেখে একে অপরের সাথে একান্তে সময় কাটান।

এবং একই সাথে কথাবার্তা চলাকালীন মনোযোগী হন।

কারণ একটা সম্পর্ককে যত সময় দেবেন, তা ততই পুষ্ট হয়ে উঠবে।

১০. মনে রাগ পুষে ঘুমোতে যাবেন না :

দাম্পত্য জীবনে কোন্দল লেগেই থাকে। এটাও ভালোবাসা প্রকাশেরই একটা ভিন্ন দিক।

কিন্তু মনোমালিন্য অতিরিক্ত বেড়ে গেলে তা ভুলেও প্রশ্রয় দেবেন না।

উল্টে দরকার হলে নিজে এগিয়ে পার্টনারের রাগ ভাঙান।

এছাড়া অনেকেরই রাগ হলে কথাবার্তা বন্ধ করে চুপচাপ শুয়ে পড়ার স্বভাব থাকে।

আপনিও যদি এমনটা করেন তবে নিজের এই আচরণ সংশোধন করুন।

কেননা মনে রাগ চেপে রেখে শুতে গেলে আপনার শরীর, মস্তিষ্ক ও সম্পর্কে সবের উপর নেতিবাচক প্রভাব পরতে পারে।

১১. পার্টনারের দোষ-গুন সবটা নিয়েই তাকে ভালোবাসুন :

ভালোবাসার মানুষটি যেমন, তাকে সেভাবেই গ্রহন করলে তবেই সম্পর্কে স্বাভাবিকতা বজায় থাকবে।

আপনি যেই সকল দোষ-গুন দেখে মানুষটার সাথে জীবন কাটাতে রাজি হয়েছেন, সেগুলিকেই যদি পরে সংশোধন করতে চান,

তবে, বিপরীতে থাকা ব্যক্তির মধ্যে বিরক্তি বা নিজেকে নিয়ে বিরূপ ভাবনা তৈরী হতে পারে।

একই সাথে মনোমালিন্যও ঘটে।

তাই পার্টনারের কোনো কাজ ভালো না লাগলে তা বুঝিয়ে বলুন, প্রয়োজনে তিনি যদি নিজেকে পাল্টাতে চায় তবে সাহায্য করুন।

এছাড়া প্রতিদিন নিজেকে একটা কথা স্মরণ করে দিন যে –

“আমি এই মানুষটাকেই ভালোবেসেছি, একেই জীবনসঙ্গী করেছি, তাই তার সব কিছু নিয়েই তাকে প্রতি মুহূর্তে ভালোবাসবো।”

এই গুরুমন্ত্র একবার মনে ও মাথায় ঢুকে গেলেই ভালোবাসা বাড়বে বৈ কমবে না।

তাহলে আশা করছি, ওপরে বলা ভালোবাসা গভীর করার উপায় গুলো আপনাদের কাজে অবশই লাগবে।

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে সেটা নিচে কমেন্ট করে অবশই জানিয়ে দিবেন।

 

About The Author

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top