পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ কোনটি ? যদি আপনিও এই বিষয়েই জানার জন্যে অপেক্ষায় রয়েছেন, তাহলে নিচে সম্পূর্ণটা অবশই জানতে পারবেন।
বর্তমানে, কোন দেশ ধনী আর কোন দেশ গরিব তা নির্বাচন করা হয় সেই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও অর্থনীতির আকারের উপর নির্ভর করে।
এখনকার বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বিশ্বের ধনী-গরিব দেশ নির্ধারণ করার একটা জনপ্রিয় পন্থা হল, যেকোনো দেশের মোট দেশীয় পণ্য গণনা করা ও তা অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা করে বিশ্বের সবথেকে ধনী দেশটিকে খুঁজে বের করা।
আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ কোন গুলো ও তাদের একটি ক্রম তালিকা।
তবে, প্রথমে আমরা জানি, কি এই মোট দেশীয় পণ্য বা জিডিপি (GDP) ?
জিডিপি (GDP) কি ?
গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট (জিডিপি) বা মোট দেশীয় পণ্য বলতে বোঝায়, একটি নির্দিষ্ট সময়, মূলত, এক বছরের মধ্যে কোনো দেশের মধ্যে উৎপাদিত পণ্য ও পরিষেবার মোট মূল্যের অনুমান।
যেকোনো দেশের অর্থনীতির আকার সম্পর্কে ধারণা পেতে এই জিডিপিকে জনপ্রিয়ভাবে ব্যবহার করা হয়।
জিডিপি সাধারণত ব্যয় পদ্ধতি (expenditure method) ব্যবহার করে পরিমাপ করা হয়।
অর্থাৎ, জিডিপি গণনা করার সময় কোনো দেশের নিট রপ্তানির মূল্য (রপ্তানি থেকে আমদানির পরিমাণকে বাদ দেওয়া বা বিয়োগ করা হয়), নতুন ভোগ্যপণ্য, নতুন বিনিয়োগ ব্যয়, সরকারি ব্যয়কে যোগ করা হয়ে থাকে –
সোজা ভাষায়, জিডিপির সূত্র বা ফর্মুলা হল –
জিডিপি = ব্যক্তিগত খরচ + সর্বমোট ব্যক্তিগত বিনিয়োগ + সরকারি বিনিয়োগ + সরকারি খরচ + (রপ্তানি – আমদানি)
আর, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের জিডিপিই দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক বৃদ্ধির পাশাপাশি সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন অর্থনৈতিক চক্রের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে ওঠানামা করে।
যাইহোক, এই পর্যায়ক্রমিক ওঠানামা থাকা সত্ত্বেও জিডিপি দ্বারা পরিমাপ করা বিভিন্ন শীর্ষ দেশের অর্থনীতিগুলো খুব বেশি তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে না।
২০২০ সালের বিশ্ব মহামারীর কারণে কম বেশি সব দেশেরই জিডিপির ক্ষেত্রে চরম সংকট দেখা দেয়।
করোনা মহামারীর কারণে বিভিন্ন এনার্জির দাম পড়েছে, পর্যটন কমেছে, বাণিজ্যের পরিমাণ কমেছে ও কোয়ারেন্টাইনের কারণে অসংখ্য দোকান বন্ধ হওয়ায়; বহু দেশ জিডিপিতে কল্পনাতীতভাবে পতনের সম্মুখীন হয়েছে।
তা সত্ত্বেও, বিভিন্ন দেশ করোনা মহামারীর তৃতীয় পর্যায় থেকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করতে শুরু করেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ কোন গুলো ?
এই আর্টিকেলে আমরা সর্বোচ্চ জিডিপির উপর নির্ভর করে ২০২২ সালের সেরা ১০টি ধনী দেশের তালিকা আপনাদের সামনে প্রস্তুত করছি-
১. ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা:
- জিডিপি – ২৫.৩৪৭ ট্রিলিয়ন ডলার
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাফল্যে পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ।
এই দেশের উদ্যোক্তা পরিকাঠামো বেশ শক্তিশালী।
এখানকার কঠোর পরিশ্রমী জীবনযাত্রা ও লং-টাইম ডিউটি আওয়ার্স এই দেশের উন্নতির প্রধান কারণ।
বিশেষ করে, বিকেন্দ্রীভূত সরকার, অনুকূল নিয়ন্ত্রক পরিবেশ ও উন্নত গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়; মার্কিন যুক্ত্ররাষ্ট্রকে বিশ্বের অন্যতম ধনী ও প্রভাবশালী দেশে পরিণত করেছে।
জনসংখ্যার দিক থেকেও এই দেশ তৃতীয় স্থান দখল করে আছে।
এখানকার অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে উন্মুক্ত হওয়ায় এখানে ব্যবসায়িক বিনিয়োগ ও সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগের (FDI) সুবিধা আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কারেন্সি ডলার হল বিশ্বের প্রধান রিজার্ভ কারেন্সি।
এই কারণে সারা বিশ্বকে ডলারে বড় ঋণ দেওয়া সম্ভবপর হয়।
তাই, এই দেশ বিশ্বের অন্যতম ভূ-রাজনৈতিক শক্তিও বটে।
মার্কিন অর্থনীতি বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিতে কর্তৃত্ব করে ও শিল্পক্ষেত্রে ব্যাপক উদ্ভাবনের জন্য দায়ী।
আর, এইসব কারণেই সম্ভবত ইউএসএ সর্বদা বিশ্বের জিডিপিতে প্রধান দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম থাকবে।
২. চীন:
- জিডিপি – নামমাত্র: ১৯.৯১ ট্রিলিয়ন ডলার
বিশ্বের জনসংখ্যার দিক থেকে সর্বদা প্রথম স্থান দখল করে আছে চীন।
আনুষ্ঠানিকভাবে, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন নামে পরিচিত এই দেশটি পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ হিসেবেও পরিচিত।
বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ হওয়ায় এখানে পাঁচটি ভৌগোলিক সময়ভিত্তিক অঞ্চল রয়েছে ও সর্বোমোট ১৪টি সীমানা রয়েছে।
সাম্প্রতিককালে, এই দেশটি বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করছে।
২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের পর থেকে বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধিতে চীনের সবথেকে বড় অবদান রয়েছে।
দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোকে মজবুত করতে এই দেশের সরকার সমষ্টিগত কৃষিকাজ, শিল্পের পর্যায়ক্রমিক সংস্কার করেছে।
এর পাশাপাশি বাজার মূল্যের ক্ষেত্রে ব্যাপক নমনীয়তা নিয়ে এসেছে।
যার ফলে, তাদের বিদেশী ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চরম উন্নতি হয়েছে।
এখানকার শিল্পনীতি দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করে।
এই কারণেই, এই দেশ এখনও পর্যন্ত বিশ্বের প্রথম সারির রপ্তানিকারক হিসেবে নিজের স্থান ধরে রেখেছে।
চীনের বার্ধক্য জনসংখ্যা ও পরিবেশের অবনতির মতো উল্লেখযোগ্য বাধা থাকা সত্ত্বেও, তারা বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী দেশ হিসেবে নিজেরদের জায়গা ধরে রেখেছে।
৩. জাপান
- জিডিপি – নামমাত্র: ৫.৩৮৪ ট্রিলিয়ন ডলার
জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের একাদশতম দেশ হিসেবে জাপান মূলত চারটি প্রধান দ্বীপ, যথা- হোক্কাইডো, কিউশু, হোনশু ও শিকোকু নিয়ে গঠিত।
এই দেশ টেকনোলজির বিশাল উন্নতির জন্যে সারা বিশ্বে খ্যাত।
এখানে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম অটোমোটিভ ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে।
এছাড়াও, এই দেশ বিশ্বের বৃহত্তম ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনকারী দেশ হিসেবেও যথেষ্ট পরিচিত।
সামান্য জিডিপির দ্বারা এই দেশ সারা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির অধিকারী হয়েছে।
এখানে সাধারণত বার্ষিক বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের মাধ্যমে উদ্বৃত্ত অর্থ উঠে উঠে আসে।
আর, এখানে নাগরিকেরা অত্যন্ত পরিশ্রমী, শৃঙ্খলাবদ্ধ, যোগ্য ও দক্ষ, যা দেশের সামগ্রিক বৃদ্ধিতে যথেষ্ট সহায়তা করে।
শিল্প ও সরকারের মধ্যে শক্তিশালী সহযোগিতার কারণে এই দেশ একটি শক্তিশালী উৎপাদন-নির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলেছে।
এই সমস্ত কারণগুলি জাপানকে জিডিপিতে শীর্ষ দেশগুলির মধ্যে অন্যতম করে তোলে।
তবে, এখানে অর্থনীতির দুর্বল দিক হল এই যে, এখানে প্রাকৃতিক সম্পদের অভাব রয়েছে ও জাপান শক্তি আমদানির জন্যে অন্য দেশের উপর নির্ভরশীল।
৪. জার্মানি:
- জিডিপি – নামমাত্র: ৪.৫৫ ট্রিলিয়ন ডলার
ইউরোপের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল দেশ হল জার্মানি।
আনুষ্ঠানিকভাবে, ফেডারেল রিপাবলিক অফ জার্মানি নামে পরিচিত এই দেশ পৃথিবীর তৃতীয় ধনী দেশ হিসেবেও খ্যাত।
এখানকার কর্মীবাহিনীরা অত্যন্ত দক্ষ; যা এই দেশকে সার্বিকভাবে উন্নত করে তুলতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আর, জার্মানি হল পৃথিবীর চতুর্থতম সেরা গাড়ি নির্মাণকারী দেশ।
অর্থাৎ, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যানবাহন, যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক ও অন্যান্য পণ্য রপ্তানিকারী প্রধান দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি অন্যতম।
যা, এই দেশ জিডিপির হার অনুযায়ী চতুর্থ শক্তিশালী দেশে পরিণত হয়েছে।
তবে, কম উর্বরতার হার, উচ্চমাত্রার মাইগ্রেশন ও ডেমোগ্রাফিক চ্যালেঞ্জ জার্মানির দুর্বলতার প্রধান কারণ।
৫. ইউনাইটেড কিংডাম:
- জিডিপি – নামমাত্র: ৩.৩৭৬ ট্রিলিয়ন ডলার
জিডিপির হার অনুযায়ী, ইউনাইটেড কিংডাম সারা বিশ্বের পঞ্চম ধনী দেশ হিসেবে পরিচিত।
এই দেশ আবার ইউকে বা গ্রেট ব্রিটেন নামেও খ্যাত।
মূলত, এই দেশটি ইংল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ড নিয়ে গঠিত।
অর্থনীতির দিক থেকে যুক্তরাজ্য হল ইউরোপ মহাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির অধিকারী।
যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি পরিষেবা-ভিত্তিক ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে রয়েছে।
বিশেষ করে, এখানকার অর্থনীতি; ফিন্যান্স, বীমা ও ব্যবসায়িক পরিষেবার উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।
তবে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ করার পরে ইউকের সাথে মহাদেশীয় ইউরোপের মধ্যেকার বাণিজ্যিক সম্পর্কের মধ্যে জটিলতা তৈরী হয়েছে।
যেহেতু, এই দেশ বার্ষিক বিশ্ব প্রতিযোগিতামূলক রিপোর্টস ও বিশ্বব্যাংকের ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেসের’ ক্ষেত্রে শীর্ষে অবস্থান করছে; সেই কারণেই এখানকার জিডিপি যথেষ্ট উন্নত।
৬. ফ্রান্স:
- জিডিপি – নামমাত্র: ৩.৩৮০ ট্রিলিয়ন ডলার
ফ্রান্সের অর্থনীতিতে, সমস্ত সেক্টরে অনেক ব্যক্তিগত এবং আধা-ব্যক্তিগত ব্যবসা রয়েছে।
তবে, প্রতিরক্ষা ও বৈদ্যুতিক উৎপাদনের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে সরকার বেশিভাগ ক্ষেত্রেই যুক্ত রয়েছে।
অন্যদিকে, ফ্রান্স বিশ্বের সর্বাধিক পরিদর্শিত স্থান হিসেবে গণ্য হওয়ায়, এখানকার অর্থনীতিতে পর্যটন শিল্পের একটা বিরাট ভূমিকা রয়েছে।
তাছাড়া, এখানকার ওয়াইন ও অত্যাধুনিক খাবারের জন্যে এটি পৃথিবীর চতুর্থ ধনী দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
এখানকার জিডিপির প্রায় ৬৩% আমদানি-রপ্তানি ব্যবসার উপর নির্ভরশীল।
এর রাজধানী, প্যারিস শহরের ফ্যাশন হাউস, ক্লাসিক্যাল আর্ট মিউজিয়াম ও স্মৃতিস্তম্ভের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।
এছাড়াও, বৈদেশিক বাণিজ্য এই দেশের অর্থনীতির একটি অপরিহার্য অঙ্গ।
সম্পত্তির অধিকারের প্রতি ব্যাপক সুরক্ষা ও দক্ষ নিয়ন্ত্রক কাঠামো এই দেশকে বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলে।
এইসব কারণের জন্যেই ফ্রান্স পৃথিবীর ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থনীতির অধিকারী হয়েছে।
৭. ভারত:
- জিডিপি – নামমাত্র: ৩.২৯ ট্রিলিয়ন ডলার
ভারতে ২৮ টি রাজ্য ও ৮ টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রয়েছে।
এটি বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনসখ্যার দেশ হিসেবে খ্যাত।
এখানে উন্নত উত্পাদন, প্রযুক্তি ও পরিষেবার ব্যবস্থা আছে।
২০১৪ সাল থেকে ভারত সরকারের বিদেশী পুঁজি বিনিয়োগের নীতিতে কিছু পরিবর্তন আনার ফলে এখানে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ (FDI) প্রবাহের হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে।
আর, এখানে ব্যবসায়িক পরিবেশকে উন্নত করার জন্য ন্যূনতম মূলধনের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করা হয়েছে ও প্রয়োজনীয় লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সহজতর করা হয়েছে।
যা ভারতকে ২০২২ সালে জিডিপিতে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম করে তুলেছে।
৮. ইতালি:
- জিডিপি – নামমাত্র: ২.২৭২ ট্রিলিয়ন ডলার
ইউরোজোনের দিক থেকে ইতালির অর্থনীতি হল তৃতীয় বৃহত্তম।
আর, এটি হল ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী দেশ।
কারণ, এটি হল একাধারে, ইউরোজোন, ইইউ, G7, G20, ও OECD-এর একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
এই দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি মূলত ভোগ্যপণ্য শিল্পের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয়।
তাই, ইতালীয় অর্থনীতির একটা বড় অংশ ছোট ও মাঝারি আকারের উচ্চ-মানের ভোগ্যপণ্যের উত্পাদন বাণিজ্য দ্বারা পরিচালিত হয়।
যার মধ্যে বেশিরভাগ ব্যবসাই পারিবারিক মালিকানাধীন।
ইতালির একটি বিশাল আন্ডারগ্রাউন্ড ইকোনমি রয়েছে, যা অনুমানিকভাবে জিডিপির ১৭% অবধি প্রদান করে থাকে।
এইসব কারণেই এটি জিডিপির দিক থেকে অষ্টম বৃহত্তম দেশ।
৯. কানাডা:
- জিডিপি – নামমাত্র: ২.১৯ ট্রিলিয়ন ডলার
কানাডা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হিসেবে পরিচিত।
এখানে প্রচুর উন্নত উৎপাদন ও পরিষেবা ব্যবস্থার পাশাপাশি, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্বীকৃত তেলের খনিও রয়েছে।
আমেরিকার সাথে এই দেশের মুক্ত বাণিজ্য সম্পর্কও আছে।
আর, প্রতি বছর এই দেশের রপ্তানির প্রায় ৭৫% ভাগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়।
এই সব কারণের জন্যেই বর্তমানে কানাডা বিশ্বের ধনী দেশের তালিকায় নবম স্থানে রয়েছে।
১০. ব্রাজিল:
- জিডিপি – নামমাত্র: ১.৭৫ ট্রিলিয়ন ডলার
বর্তমানে ব্রাজিল বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে।
তবুও, ব্রাজিলিয়ান নাগরিকদের মাথাপিছু আয় অনেকটাই কম।
সাম্প্রতিককালে, বিদেশী বিনিয়োগ, পরিষেবা অর্থনীতির বৃদ্ধি, ও রপ্তানি বাণিজ্য ব্রাজিলের জিডিপি বৃদ্ধিতে যথেষ্ট সাহায্য করেছে।
এর বৈচিত্র্যময় ও উন্মুক্ত অর্থনীতির ফলে, এটি একশোরও বেশি দেশের সাথে সফল বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।
এই দেশের সরকার বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত কাঠামোর ক্ষেত্রে বিদেশী বিনিয়োগকে সমর্থন করে।
ব্রাজিলের মনোরম জলবায়ু, চমৎকার কাঠামো, সহায়ককারী সরকার ও প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য্য; একে বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় দেশে পরিণত করেছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ কোনটি ? শেষ কথা
আমাদের আজকের “পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ কোনটি” বা ‘বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ‘ নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি এখানেই শেষ হল। লেখাটি পছন্দ হলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।
বলে রাখি, যেকোনো দেশের GDP কম বেশি হওয়াটা স্বাভাবিক, এবং হতে পারে আরো কিছু অন্যান্য দেশি রয়েছে যাদের GDP ভালো।
তবে, আমাদের এই আর্টিকেলটিতে আমরা কেবল ১০ টি দেশের তালিকা যুক্ত করেছি, তাই আরো অন্যান্য দেশ গুলোর বিষয়ে হয়তো বলা হয়নি।
শেষে, যদি আমাদের আজকের আর্টিকেলেট আপনাদের সত্যি ভালো লেগে থাকে, তাহলে আর্টিকেলটি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার অবশই করবেন।