স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ক্রিম (সেরা ৯টি): মুখ হল আমাদের মনের আয়না।
আর, সেই আয়নাতেই যখন দাগ, ছোপ ও ব্রণর মতো স্কিন প্রব্লেমস দেখা দেয়,
তখন তা আমাদের বাহ্যিক উপস্থিতির উপরও একটা প্রভাব ফেলতে পারে।
আমরা অনেকেই অবচেতন মনে আমাদের মুখের পরিছন্নতার সাথে নিজেদের আত্মবিশ্বাসকে জড়িয়ে ফেলি।
তখন আমরা আমাদের মুখের সৌন্দর্যের অভাবের সাথে একটা সাময়িক হীনমন্যতাতেও ভুগে থাকি।
তাছাড়াও, আমাদের ত্বক নানানভাবে প্রতিদিন ধুলো-ময়লা, সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি, পল্যুশান ও খারাপ জলবায়ুর সম্মুখীন হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
এমনকি, খারাপ খাদ্যাভাস ও নানা রোগেও আমাদের স্কিনের কোয়ালিটি খারাপ হয়ে যেতে পারে।
আর, খারাপ স্কিন যাতে কখনোই আমাদের অসাধারণ ব্যক্তিত্বের পথে বাধা না হয়ে দাঁড়াতে পারে,
তাই আমাদের উচিত ডার্ক স্পটস ও ডালনেসকে আমাদের স্কিন থেকে দূরে সরিয়ে রাখা।
এবং, একটা সুন্দর, নিদাগ ও ফর্সা স্কিন পাওয়ার জন্যে আমাদের উচিত কোনো ভালোমানের স্কিন লাইটেনিং ক্রিম ব্যবহার করা।
এই কারণেই, আমরা আমাদের আর্টিকেলে নিয়ে এসেছি স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার সেরা ৯টি ক্রিম-এর একটা তালিকা।
স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার জন্যে সেরা ৯টি ক্রিমের তালিকা:
তালিকা শুরু করার আগে, একটা ছোট্ট টিপস আপনাদেরকে জানাই যে,
ত্বক ফর্সা করার ক্রিমগুলো সব সময়ে রাতের দিকে ব্যবহার করলে, তা অনেক বেশি ভালো ফলাফল দেয়।
এর ফলে, আপনি গায়ের রং বেশ কয়েক মাসের মধ্যেই যথেষ্ট উজ্জ্বল করতে পারবেন।
আর, সব সময় জানবেন যে, আমাদের স্কিন রাতের বেলাতেই মেরামত হওয়ার সময় পায়।
তাই, রাতে আপনার ত্বকের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
এই কারণেই, আপনার রাতের বিউটি কেয়ার রুটিনে অবশ্যভাবেই একটা ভালো ফর্সা হওয়ার ক্রিমকে যুক্ত করুন।
চলুন, তাহলে আমরা জানি, পাকাপাকিভাবে ফর্সা হওয়ার ৯টি ক্রিম সম্পর্কে।
১. Biotique Coconut Brightening Instant Glow Cream:
যথেষ্ট কম বাজেটের এই Biotique Coconut Brightening Instant Glow Cream-টি আপনার মুখের চামড়ার উপর বেশ নরম একটা অনুভূতি রেখে যায়।
এই হারবাল প্রোডাক্টটি আপনার ত্বকের রঙে উজ্জ্বলভাবে আনে।
এছাড়াও, আপনার ডার্ক স্পটস ও অবাঞ্চিত দাগগুলোকেও হাল্কা করে দেয়।
কয়েক মাস একটানা ব্যবহার করলে, এই ক্রিম আপনার মুখের চামড়া অনেক মসৃণ করে তারুণ্যের জেল্লা নিয়ে আসে।
ফিচার:
হাল্কা ও নন-গ্রীসি একটা ক্রিম
কোনো সিন্থেটিক ইনগ্রেডিয়েন্ট নেই
এর নারকেল, মঞ্জিষ্ঠা ও ড্যান্ডেলিওন এক্সট্র্যাক্ট মুখের দাগ কমায়
সুবিধা:
ডার্ক স্পটস ও রিঙ্কলেস কমায়
মেলানিন লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
অসুবিধা:
অয়েলি স্কিনের জন্যে কার্যকরী না
২. Garnier Skin Naturals Light Complete Serum Cream:
স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ক্রিম গুলোর মধ্যে Garnier Skin Naturals Light Complete Serum Cream হল বেশ ভালো একটা নির্বাচন।
কারণ, এতে রয়েছে লেমন এক্সট্র্যাক্ট।
লেবুর নির্যাস থেকে তৈরী এই ক্রিম আপনার মুখের দাগ ও স্কিন পিগমেন্টেশন কমিয়ে দিতে পারে।
এই সিরামে ভিটামিন সি রয়েছে, যা মাত্র কয়েকদিনের ব্যবহারেই আপনার মুখের জেল্লা বাড়িয়ে তোলে।
এছাড়াও, এই ক্রিমে SPF19 ফর্মুলা আছে।
যা আপনাকে সূর্যের ক্ষতিকারক UV রশ্মি থেকে স্কিনকে বাঁচতে সাহায্য করে।
ফিচার:
ভিটামিন সি মুখের চকচকে ভাব বাড়ায়
পাতিলেবুর এক্সট্র্যাক্ট মুখের দাগ কমায়
কোলাজেন বুস্টার ত্বকে যৌবনের দীপ্তি আনে
সুবিধা:
খুবই হাল্কা ফর্মুলা ও চটচট করে না
সব ধরণের স্কিনের জন্যে উপযুক্ত
বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে
অসুবিধা:
খুব বেশি ড্রাই স্কিনে কাজ করবে না
৩. Lotus Herbals Whiteglow Skin Whitening & Brightening Gel Cream:
লোটাসের এই জেল-বেসড হোয়াইটেনিং ক্রিম সমস্ত ন্যাচারাল ইনগ্রেডিয়েন্ট দিয়ে তৈরী।
যা আপনার ত্বকের উপর কোনো রকমের কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না।
যেহেতু, এটা জেল ধরণের ক্রিম, তাই আপনার ত্বকে এটা খুব সহজেই মিশে যায়।
এর ফর্মূলায় রয়েছে অনেক লাইটেনিং এজেন্ট, যা আপনার ত্বকের গভীরে গিয়ে ভিতর থেকে ত্বকের ফর্সাভাব বাড়িয়ে তোলে।
তাছাড়াও, আপনি এই ক্রিমটা মেখে আপনার মুখকে ক্ষতিকর আলট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকেও বাঁচাতে পারবেন।
নানান উপকারী মিনারেল ও নিউট্রিয়েন্টের উপস্থিতি আপনার ত্বককে খুবই নরম ও মসৃণ করে তোলে।
ফিচার:
UVA/UVB রের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়
সাক্সিফ্রেজ, মালবেরি ও আঙুরের নির্যাস আছে
লাইটওয়েট ও নন-গ্রীসি ফর্মুলা সমেত আসে
সুবিধা:
জেল-বেসড ফর্মুলা মুখে অতিরিক্ত তেল তৈরী করে না
খুব তাড়াতাড়ি ডার্ক স্পট কমিয়ে দেয়
সব ধরনের ত্বকের জন্যে আদর্শ
অসুবিধা:
শীতকালে ব্যবহারের জন্যে উপযুক্ত নয়
৪. L’Oreal Paris Perfect Skin 30+ Day Cream:
ছেলে কিংবা মেয়ে এই L’Oreal Paris Perfect Skin 30+ Day Cream-টি সকলের জন্যেই খুব ভালো একটা ফর্সা হওয়ার ক্রিম।
এমনকি, এটা ৩০ বছরের উপরের প্রত্যেকের পক্ষেই খুব একটা ভালো ক্রিম।
এই ক্রিম ব্যবহার করলে আপনি সহজেই বলিরেখা, সাইনস অফ এজিং ও আরও নানা ধরণের ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
এই লাইটওয়েট ফর্মুলা ধীরে ধীরে আপনার ডার্ক স্পটস, শুষ্কতা ও পোর্স কমিয়ে এনে আপনাকে একটা সুন্দর ও মসৃণ ত্বক উপহার দিতে পারে।
এর ভিটামিন কমপ্লেক্স আপনার ত্বকের সমস্ত ত্রুটিগুলো কমিয়ে দিয়ে একটা সুন্দর ফর্সা স্কিন এনে দিয়ে পারে।
এর প্রো-কোলাজেন আপনার মুখের সমস্ত কোষগুলোকে পরিষ্কার করে আপনাকে একটা ইভেন টোন দেয়।
ফিচার:
ভিটামিন সি, ই ও প্রো-কোলাজেন কমপ্লেক্স রয়েছে
SPF21+++ ক্ষতিকারক UV রশ্মি থেকে স্কিনকে রক্ষা করে
সুবিধা:
শুষ্ক ত্বকের রুক্ষতা কমায়
ডেড স্কিন সেল সরিয়ে ত্বকের স্বাভাবিক ঔজ্বল্য ফিরিয়ে আনেন
ভিটামিন কমপ্লেক্সের উপস্থিতি ত্বকের কুঁচকে যাওয়া কমায়
অসুবিধা:
সমস্তটাই কেমিক্যাল-বেসড ফর্মুলা
৫. Nivea Night Whitening Skin Moisturizer:
নিভিয়ার এই ময়েশ্চারাইজারটিতে রয়েছে ভিটামিন ই ও বেরি এক্সট্র্যাক্ট যা আপনার ত্বককে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজ করতে সক্ষম।
এর হাল্কা টেক্সচার নিমেষেই আপনার ত্বকের সাথে মিলিয়ে গিয়ে আপনার স্কিনকে অয়েল-ফ্রী রাখে।
এর, হালকা ও নন-গ্রীসি ফর্মুলা এতটাই আরামদায়ক, যে আপনি এই ক্রিমটা গরমকালেও ব্যবহার করতে পারবেন।
এছাড়াও, এই ফর্সা হওয়ার ক্রিমটা যথেষ্ট সাশ্রয়ী ও সহজলভ্যও বটে।
ফিচার:
নন-স্টিকি ও লাইটওয়েট টেক্সচার
বেরী এক্সট্র্যাক্ট ত্বকে গভীরভাবে পুষ্টি যোগায়
ভিটামিন ই ফর্মুলা ফাইনালাইন্স ও ডার্ক স্পট কমায়
সুবিধা:
গরমকালের জন্যে খুবই ভালো
মুখ ছাড়াও, সারা গায়েই ব্যবহার করা যায়
ক্রিমের টেক্সচারটা একদম হাল্কা ও সহজে স্কিনে মিশে যায়
অসুবিধা:
শীতকালে ড্রাই স্কিনের জন্যে উপযুক্ত নয়
৬. Trycone L- Glutathione and Vitamin C Face Cream:
এল- গ্লুটাথিয়ন-এর মতো কেমিক্যাল যৌগ, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি, শিয়া বাটার এবং বিয়ারবেরির নিযার্স রয়েছে এই ক্রিমে।
এই ক্রিম আপনাকে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই উজ্জ্বল ফেসিয়াল স্কিন এনে দিতে সক্ষম।
এই উচ্চমানের প্রোডাক্টে কোনো রকমের কোনো SLS, মিনারেল অয়েল ও প্যারাবেন থাকে না।
তাই, আপনি কোনোরকমের স্কিন প্রব্লেম ছাড়াই এই ক্রিমটা মাখতে পারবেন।
আর, আপনি যদি গ্লাস স্কিন পেতে চান, তবে নিয়মিতভাবে এই ক্রিমটা কয়েক মাস ব্যবহার করতে থাকুন।
ফিচার:
UV রশ্মি রোধ করার ফর্মুলা রয়েছে
ত্বকের ন্যাচারাল অয়েল ব্যালান্স ঠিক রাখে
এল- গ্লুটাথিয়ন ও ভিটামিন ই ত্বকের মেলানিনের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে
সুবিধা:
গ্লাস স্কিন পেতে সাহায্য করে
সমস্ত ধরণের স্কিনে কাজ করে
হাইপার পিগমেন্টেশন কমিয়ে স্কিনে ইভেন টোন আনে
অসুবিধা:
ফর্মুলাটা স্কিনে মিশতে একটু সময় নেয়
৭. Kozicare Skin Lightening cream:
Kozicare Skin Lightening cream হল এমন একটা ফর্সা হওয়ার ক্রিম, যেটা আপনি আপনার শরীরের যেকোনো অংশে ব্যবহার করতে পারবেন।
এতে, ভিটামিন কমপ্লেক্স, নানান দরকারি অ্যাসিড ও এজেন্ট রয়েছে, যা আপনার স্কিনটোনকে দ্রুত ফর্সা করতে সাহায্য করে।
এর হাল্কা ফর্মুলা সহজেই আপনার ত্বকে অ্যাবসর্ব হয়ে যায়।
যে কারণে, এই প্রোডাক্টের নিয়মিত ব্যবহার আপনাকে অসম স্কিনটোন থেকে শুরু করে আপনার গায়ের রংকে সামগ্রিকভাবে উজ্জ্বল করে দিতে পারে।
এতে আপনি সানস্ক্রিন সুরক্ষার পাশাপাশি ত্বকের খসখসে ভাব ও ডার্ক স্পটস কমানোর ফর্মুলাও পাবেন।
ফিচার:
সানস্ক্রিন ফর্মুলা সমেত আসে
৭টি শক্তিশালী স্কিন লাইটেনিং উপকরণ আছে
নায়াসিনামাইড কেরাটিন তৈরী করে স্কিনকে মসৃণ ও লাবণ্যে ভরিয়ে তোলে
সুবিধা:
আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে
যেকোনো স্কিন টাইপেই ব্যবহার করা যায়
অসুবিধা:
সব ধরণের ত্বকের উপর কাজ করতে সময় নেয়
৮. Lotus Professional PhytoRx Whitening & Brightening Cream:
হারবাল ইনগ্রেডিয়েন্ট, যেমন- আমলা, লিচু ও পুনর্নাভা গাছের মূলের নির্যাস আপনাকে একটা গ্লোইং ও ফর্সা ত্বক উপহার দিতে পারে।
Lotus Professional PhytoRx Whitening & Brightening Cream-টি আপনার ত্বকের শুষ্কভাব কমিয়ে এনে আপনাকে দাগমুক্ত ও মসৃণ স্কিন দিতে সক্ষম।
এই ক্রিমের ব্যবহার আপনাকে পোর্সেলিন কমপ্লেক্সশন পেতে সাহায্য করে।
আপনার যদি হাইপার পিগমেন্টেশন থেকে থাকে, তবে এই ক্রিমটা আপনাকে একটা ইভেন টোন পেতেও সাহায্য করবে।
ফিচার:
আমলার নির্যাস ত্বকের দাগ ও ত্রুটি দূর করে
পোর্সেলিন স্কিন পাওয়ার ফর্মুলা আছে
SPF21 সানস্ক্রিন ফর্মুলাও আছে
সুবিধা:
দিনে-রাতে যেকোনো সময়ে ব্যবহার করা যায়
হারবাল প্রোডাক্ট তাই স্কিনের কোনো ক্ষতি হয় না
এর ন্যাচারাল ইনগ্রেডিয়েন্ট স্কিনের আর্দ্রতা ধরে রাখে
অসুবিধা:
অয়েলি স্কিনের জন্যে একেবারেই ভালো নয়।
৯. Lakme Perfect Radiance Intense Whitening Night Repair Crème:
আপনার মুখে যদি অ্যাকনি মার্ক থাকে, তবে ল্যাকমের এই ক্রিমটা আপনার মুখ থেকে সমস্ত রকমের দাগ মিলিয়ে দিতে সক্ষম।
ছেলে-মেয়ে সকলেই এই ক্রিমটা তাদের স্কিনটোন ব্রাইট করতে ব্যবহার করতে পারে।
এমনকি, আপনার যেকোনো ধরণের স্কিন টাইপের সাথে এই ক্রিমটা সহজেই কাজ করে।
এছাড়াও, এর ফর্মুলাতে থাকা ভিটামিন বি৩, যা আপনার স্কিনকে গভীরভাবে ফর্সা করে তুলতে পারে।
আপনার যদি ডাল স্কিনের সমস্যা থাকে, তাহলে এই ক্রিম কিন্তু আপনার মুখের হারানো উজ্জলভাব ফিরিয়ে আনতে পারে।
ফিচার:
ভিটামিন বি৩ স্কিনের পেশিতে শক্ত করে তারুণ্য নিয়ে আসে
একেবারে নাইট ক্রিম হিসেবেও কাজ করে
ট্যান পড়া স্কিনেও ভালো কাজ করে
সুবিধা:
ডার্ক স্পটস দ্রুত কমায়
স্কিন কুঁচকে যাওয়া থেকে বাঁচায়
ত্বক নরম তুলতুলে করে তোলে
অসুবিধা:
খুব বেশি ড্রাই স্কিনে কাজ করে না
পরিশেষে:
উপরে উল্লেখিত সমস্ত ফর্সা করার ক্রিমের ব্র্যান্ডগুলো যথেষ্ট সাশ্রয়ী।
তাই, আপনি যদি স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ক্রিম গুলো খুঁজছেন, তাহলে ওপরে উল্লেখিত ক্রিম গুলো অবশই কাজে আসবে।
আপনি আপনার স্কিনের ধরণ অনুসারে, যেকোনো একটাকে বেছে নিয়ে কয়েক মাস একটানা ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
তবে, এই ধরণের ক্রিম কাজ করতে একটু বেশি সময় নেয়।
তাই, প্রথম কয়েক সপ্তাহ আপনার স্কিনে কোনো পরিবর্তন না দেখলে হতাশ হবেন না।
এতো না ভেবে আপনার পছন্দের ক্রিমটা ব্যবহার করতে থাকুন, ফল ঠিকই পাবেন।
আমাদের আজকের ফর্সা হওয়ার সেরা ক্রিমের তালিকাটি এখানেই শেষ হল।
এর মধ্যে কোন ক্রিমটা আপনার স্কিনের সাথে ভালোভাবে কাজ করছে, তা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।