Fiverr কি? কিভাবে ফাইবার থেকে টাকা ইনকাম করবে? (২০২৫)

What is Fiverr How to Earn Money with Fiverr: বর্তমানের এই ডিজিটাল যুগে যদি সঠিক প্লাটফর্ম গুলোকে কাজে লাগানো যায়, তাহলে অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করাটা অবশই অনেকটা সহজ এবং সুবিধাজনক কাজ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর এমনই একটি প্লাটফর্ম হলো ফাইবার (Fiverr )। এখানে আপনারা মূলত নিজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা গুলিকে পরিষেবা হিসেবে অফার করে অর্থ উপার্জনের সুযোগ পাবেন।

Fiverr-এ কাজ করে টাকা ইনকামের কৌশল গুলো জানা থাকলে, আপনাকে শুধুমাত্র নিজের ৯-৫ চাকরির উপর ভরসা করে বসে থাকতে হয়না। এই মার্কেটপ্লেস থেকে আপনি ভালো পরিমান টাকা পার্ট – টাইম কাজ করে আয় করে নিতে পারবেন। তবে কিভাবে? আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে, আমি আপনাদের, Fiverr কি, ফাইবার কিভাবে কাজ করে এবং fiverr থেকে ইনকাম কিভাবে করবেন, এই সম্পূর্ণ বিষয়ে বুঝিয়ে বলবো।

Fiverr কি?

Fiverr হলো একটি online marketplace ওয়েবসাইট যেখানে ফ্রি একাউন্ট তৈরি করে আপনি একজন freelancer হিসেবে বিশ্বজুড়ে নানান clients-দের সাথে যোগাযোগ ও সংযুক্ত হতে পারবেন। এই প্লাটফর্ম এর মধ্যে প্রতিদিন নানান নতুন নতুন projects (যেগুলো Gigs হিসেবে পাবলিশ করা হয়) নানান ক্লায়েন্টদের দ্বারা পাবলিশ করা হয়ে থাকে। আপনি কি সার্ভিস দিতে চাইছেন, চাইলে সেটাও গিগ হিসেবে পাবলিশ করা যাবে।

এবার, একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে এখানে আপনি কাজ গুলো সম্পূর্ণ করার জন্য আবেদন জানাতে পারেন। ২০১০ সালে চালু হওয়া এই সেরা Freelancing Marketplace Site-টি বর্তমানে একটি বৃহত্তম ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে একটি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই ওয়েবসাইটটির প্রাথমিক ধারণা হিসেবে এখানে শুধুমাত্র $5 দিয়ে যেকোনো পরিষেবা গুলো দেওয়া কথা ছিল। আর এই ধারণার থেকেই ওয়েবসাইটটির নাম “Fiverr” দেওয়া হয়ে থাকে।

তবে বর্তমান সময়ে, কাজের ধরণ, জটিলতা এবং প্রতিযোগিতার উপর ভিত্তি করে পরিষেবা গুলোর জন্য $5 থেকেও অধিক চার্জ করা হয়ে থাকে।

Fiverr থেকে টাকা ইনকাম কিভাবে করবেন?

How To Earn Money With Fiverr?
How To Earn Money With Fiverr?

ভালো করে বুঝতে পারলে Fiverr থেকে income করার বিষয়টা কিন্তু এতটা জটিল না। যা আমি আগেই বলেছি, Fiverr হলো একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সাইট। তাই, এই সাইট থেকে টাকা উপার্জন করার জন্য আপনাকে নিজের যেকোনো একটি বা একাধিক পরিষেবাগুলিকে ক্লায়েন্টদের কাছে অফার করতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ: কনটেন্ট রাইটিং, ওয়েব ডিজাইনিং, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, SEO, ভিডিও এডিটিং, বা যেকোনো অন্য পরিষেবা আপনি এখানে অফার করতে পারবেন।

মনে রাখবেন, নিজের পরিষেবা (services) গুলোকে অফার করার জন্য আপনাকে শুরুতে একটি Fiverr account তৈরি করে নিজের প্রোফাইল সেটআপ করতে হবে। শেষে, আপনি কি কি পরিষেবা অফার করতে চাইছেন সেগুলিকে ‘Gigs’ হিসেবে Fiverr-এ পাবলিশ করতে হবে। এবার, যদি কোনো ক্লায়েন্ট আপনার থেকে কাজ করাতে আগ্রহী থাকেন, সে আপনার সাথে সরাসরি ফাইবারেই যোগাযোগ করে নিতে পারবেন।

মনে রাখবেন, কাজ গুলো সঠিক ভাবে এবং সময়মতো সম্পূর্ণ করে জমা দিতে পারলেই আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে আপনার দেওয়া পরিষেবার জন্য টাকা দিবেন। তাহলে বুঝলেন তো, এভাবেই আপনি নিজের দক্ষতা এবং কৌশল গুলোকে Fiverr-এর মতো প্লাটফর্ম এর দ্বারা পরিষেবা হিসেবে অন্যান্য ব্যক্তিদের অফার করে ফাইবার থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

Fiverr কিভাবে কাজ করে? কিভাবে কাজ করবেন?

আসলে Fiverr হলো এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে একজন freelancer হিসেবে আপনাকে “Gigs” গুলো তৈরি করতে হয়। Gigs, অন্য কিছুইনা তবে এগুলো হলো আপনার দ্বারা অফার করা নানান পরিষেবা গুলো। Gigs আপনি একাধিক ক্যাটাগরিতেই তৈরি ও পাবলিশ করতে পারবেন। যেমন ধরুন, writing, graphic design, digital marketing, programming, video editing, এবং আরো নানান রয়েছে।

এবার, যারা কাজ করানোর জন্য Fiverr-এর মধ্যে একজন সঠিক ব্যক্তি খোঁজেন তাদেরকে Buyer বা clients বলা হয়ে থাকে। Buyer বা client-রা তাদের প্রয়োজন হিসেবে Fiverr-এর মধ্যে freelancers-দের খুঁজে থাকেন। আর এক্ষেত্রে তাদের marketplace-এর মধ্যে উপলব্ধ নানান Gigs গুলো ব্রাউজ করতে হয়। শেষে, একজন buyer বা ক্লায়েন্ট যখন তার পছন্দমতো Gig/Freelancer-কে খুঁজে পেয়ে থাকেন তখন Freelancer এবং Buyer এর মধ্যে কথা-বার্তা চলে এবং ফ্রিল্যান্সার ক্লায়েন্ট এর নির্দেশ মতো কাজটি সঠিক ভাবে সঠিক সময়ে সম্পূর্ণ করে জমা দিতে হয়।

এক্ষেত্রে Fiverr একটি মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করে থাকে, যাতে একজন ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লায়েন্ট সঠিকভাবে এবং সুবিধাজনকভাবে পরস্পরে যোগাযোগ করতে পারেন পাশাপাশি তাদের মধ্যে নিরাপদে লেনদেন নিশ্চিত করা করা যেতে পারে।

১. Fiverr Profile Setup করা:

ফাইবার থেকে ইনকাম শুরু করার জন্য সবচেয়ে আগেই আপনাকে একটি Fiverr Profile তৈরি ও সেটআপ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে কোন কোন বিষয়ে নজর দিতে হবে, নিচে বলা হয়েছে।

  • Profile Picture: আপনাকে একটি প্রফেশনাল প্রোফাইল পিকচার দিতে হবে।
  • Description: একদম পরিষ্কার করে নিজের বিষয়ে এবং আপনি কি পরিষেবা অফার করেন, সেই বিষয়ে লিখতে হবে।
  • Skills: আপনার প্রাসঙ্গিক দক্ষতা এবং কোন কোন কৌশল গুলো জানেন সেগুলির একটি তালিকা তৈরি করুন।
  • Portfolio: বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করার জন্য নিজের পূর্ববর্তী কাজ এবং সেগুলোর অভিজ্ঞতার বিষয়ে লিখুন।
  • Certifications: অফার করা পরিষেবার সাথে রিলেটেড কোন প্রাসঙ্গিক সার্টিফিকেশন বা যোগ্যতা থাকলে সেগুলো হাইলাইট করুন।

২. Gigs তৈরি এবং অপ্টিমাইজ করা:

Gigs তৈরি না করলে আপনি কোনো ভাবেই Fiverr থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেননা। আপনার Fiverr profile-এর আসল আকর্ষণটাই হলো এই Gigs, কেননা গিগস গুলোর মাধ্যমেই যেকোনো buyer বা client, আপনার প্রোফাইলে ভিজিট করে থাকেন। আর তাই, নিজের ফাইবার গিগস গুলোকে কিভাবে অপ্টিমাইজ করবেন, সেটা আগের থেকে জেনে রাখাটা আপনার জন্য অনেকটাই জরুরি।

  • Title: গিগস গুলোর একটি ক্লিয়ার এবং আকর্ষক টাইটেল তৈরি করতে হবে যা আপনার পরিষেবাকে সঠিকভাবে বর্ণনা করবে।
  • Description: আপনি কি পরিষেবা অফার করবেন তার একটি পরিষ্কার বর্ণনা দিতে হবে।
  • Pricing: অফার করা পরিষেবা গুলোর জন্য প্রতিযোগিতামূলক দাম (প্যাকেজ) সেট করুন। যেমন, Basic, Standard, Premium ইত্যাদি। এতে আলাদা আলাদা প্রয়োজন হিসেবে আলাদা আলাদা ক্লায়েন্টরা আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।
  • Tags: গিগস গুলোতে ট্যাগ ব্যবহার করতে কিন্তু ভুলবেননা। সঠিক এবং প্রাসঙ্গিক Tags ব্যবহার করে ফাইবার সার্চ ফলাফলে নিজের গিগের দৃশ্যমানতা উন্নত করে নিতে পারবেন।
  • Gallery: নিজের ফাইবার গ্যালারিতে নিজের কাজের high-quality images, videos, এবং samples গুলো অবশই রাখবেন।

৩. Gigs প্রোমোট করা:

Fiverr থেকে অর্থ উপার্জন করতে হলে শুধুমাত্র Gigs তৈরি ও পাবলিশ করলেই কাজ হবেনা। আপনাকে নিয়মিত নিজের গিগ গুলোকে নানান মাধ্যমে প্রোমোট করতে থাকতে হবে। নিয়মিত প্রমোশন এর দ্বারা আপনি আপনার Gig গুলোকে অধিক clients-দের নজরে নিয়ে আসতে পারবেন।

  • Social Media: তৈরি ও পাবলিশ করা Gigs গুলোকে আপনি নানান social media platforms যেমন LinkedIn, Twitter, Facebook ইত্যাদিতে শেয়ার করতে হবে।
  • SEO: তৈরি করা Gig গুলোর description, Title এবং নিজের profile-টি search engine এর জন্য অপ্টিমাইজ করতে হবে। এতে free organic traffic-এর সাহায্যে অতিরিক্ত clients পাওয়ার সুযোগ বাড়বে।

৪.  Fiverr থেকে টাকা আয় করার অ্যাডভান্স কিছু টিপস:

Fiverr প্লাটফর্মটির সাথে সঠিক ভাবে এডজাস্ট হয়ে গেলে এবং মোটামোটি কয়েকজন ক্লিনেট এর জন্য কাজ করার পর, এবার আপনি কিছু অ্যাডভান্স টিপস এবং স্ট্রাটেজি গুলোকে এপ্লাই করে ফাইভার থেকে অধিক ইনকামের রাস্তা তৈরি করতে পারবেন।

  • Expand Your Services: ফাইভার থেকে অধিক অর্থ উপার্যন করতে হলে একসাথে একাধিক পরিষেবা (Gigs) গুলো অফার করুন।
  • Increase Prices: শুরুতে শুধুমাত্র $5 নিয়ে কাজ করলেও ধীরে ধীরে দাম বাড়াতে থাকুন। কাজের অভিজ্ঞতা, প্রোফাইল রেটিং এবং আপনার কাজের ডিমান্ড বাড়তে শুরু হলে অধিক টাকা দিয়েও আপনার থেকে অনেকেই কাজ নিতে চাইবেন।
  • Improve skills: সময়ের সাথে সাথে নিজেকে আপডেট করুন। নিজের skills গুলোকে কিভাবে আরো উন্নত করবেন সেই দিকে নিয়মিত নজর দিতে থাকলে ধীরে ধীরে আপনি একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজের ডিমান্ড এবং ইমেজ তৈরি করতে পারবেন।

Fiverr থেকে টাকা কিভাবে তুলতে হয়?

Fiverr-এর মধ্যে যেকোনো কাজ (order) সঠিক এবং সফলতাপূর্বক সম্পূর্ণ করতে পারলে এবার কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার ১৪ দিন পর আপনি সেই কাজের জন্য পাওয়া টাকা ফাইবার থেকে তুলে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে ফাইবার দ্বারা ১৪ দিন হাতে রাখার কারণও আছে। আসলে আপনার সম্পূর্ণ করা কাজের সাথে রিলেটেড যেকোনো সম্ভাব্য বিরোধ বা সমস্যা সমাধানের উদেশ্যে এই ১৪ দিন ফাইবার দ্বারা হাতে রাখা হয়।

এরপর, একবার টাকা গুলো আপনার একাউন্টে উপলব্ধ হয়ে গেলে এবার আপনি আপনার পছন্দমতো পেমেন্ট অপসন সিলেক্ট করে ফাইবার থেকে টাকা তুলে নিতে পারবেন। Fiverr থেকে টাকা তোলার জন্য আপনারা PayPal, Fiverr Revenue Card, বা Bank Transfer-এর মতো অপসন গুলো ব্যবহার করতে পারবেন।

এর সোজা মানে এটাই যে, ফাইবারের মধ্যে যদি আজকের দিনে আপনি কোনো অর্ডার সম্পূর্ণ করছেন, তাহলে সম্পূর্ণ করা এই অর্ডারের টাকা আপনি ১৪ দিন পর নিজের একাউন্টে দেখতে পাবেন।

Fiverr থেকে টাকা তোলার নিয়ম অনেক সোজা:

  1. সবচেয়ে প্রথমে আপনাকে নিজের Fiverr একাউন্ট-এ লগইন করে Selling menu-তে চলে যেতে হবে।
  2. এবার সরাসরি Earnings এর section-এ চলে আসুন।
  3. Earning-এর সেকশনে আপনারা একটি Withdraw balance button, যেখানে click করতে হবে।
  4. এবার আপনাকে নিজের পছন্দমতো withdrawal method সিলেক্ট করতে হবে।
  5. Withdrawal method হিসেবে আপনি PayPal, Fiverr Revenue Card, Bank Transfer, Direct Deposit বা Payoneer Account সিলেক্ট করতে পারবেন।
  6. মনে রাখবেন, ফাইবারে উপলব্ধ withdrawal method গুলো আলাদা আলাদা দেশ বা লোকেশন হিসেবে আলাদা আলাদা হতে পারে।

Fiverr থেকে কত টাকা ইনকাম করা যায়?

Fiverr থেকে আপনি কত টাকা আয় করতে পারবেন সেটা বিভিন্ন বিষয় গুলোর উপর নির্ভর করে। যেমন ধরুন, আপনি যেই পরিষেবাটি অফার করছেন সেই পরিষেবার ডিমান্ড কতটা আছে, নিজের কাজে আপনি কতটা দক্ষ, আপনার কাজের কোয়ালিটি, প্রতি মাসে কতটা কাজ সম্পূর্ণ করছেন, আপনার ফাইবার প্রোফাইল রেটিং কতটা ভালো, ইত্যাদি।

বর্তমান সময়ে এমন প্রচুর freelancers-রা আছেন যারা ফাইবারে পার্ট-টাইম কাজ করে প্রতি মাসে কয়েক হাজার টাকা এক্সট্রা ইনকাম করে নিচ্ছেন। আবার, বিশ্বজুড়ে এমনও অনেক freelancers আছেন যারা ফাইবারে ছোট ছোট গিগস গুলো সম্পূর্ণ করার থেকে শুরু করে আজ এই প্লাটফর্মে ফুল-টাইম কাজ করে হাজার হাজার ডলার প্রতিমাসে ইনকাম করছেন।

বিগিনার হিসেবে ফাইবার থেকে কিভাবে কাজ পাবো?

একজন বিগিনার হিসেবে ফাইবার থেকে কাজ পাওয়াটা খানিকটা চ্যালেঞ্জিং হতেই পারে, তবে অসম্ভব না। ফাইবারে কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে নিজের ফাইবার প্রোফাইল এবং গিগ তৈরির উপর যথেষ্ট নজর দিতে হয়। শুরুতে আপনার প্রোফাইল রেটিং কিছুই থাকবেনা। তাই, এক্ষেত্রে আপনাকে একেবারে কম প্রাইস সেট করে কাজ গুলো করতে হবে।

ক্লায়েন্টদের নজর আকর্ষণ করতে Gigs গুলো তৈরি করার সময় সঠিক এবং স্পষ্ট ভাবে টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন লিখতে হবে। আপনার Gigs গুলো পড়েই যাতে সেগুলিতে আপনার আত্মবিশ্বাস এবং কাজের দক্ষতার বিষয়ে অনুমান লাগানো যেতে পারে, সেটা ধ্যান রাখবেন।

কম টাকা চার্জ করে যেই কাজ গুলোই করবেন সেগুলোকে একেবারে পারফেক্ট ভাবে করার চেষ্টা করবেন। এতে ধীরে ধীরে আপনার ফাইবার প্রোফাইল রেটিং বাড়বে এবং আপনি নিয়মিত কাজও পেতে শুরু করবেন।

এগুলো ছাড়াও, নিজের একটি আকর্ষণীয় প্রোফাইল তৈরি করা, পূর্বে করা কাজের পোর্টফোলিও যুক্ত রাখা, কাজের স্যাম্পল এবং নানান ইমেজ ও ভিডিও এটাচমেন্ট গুলো প্রোফাইলে যুক্ত রাখা, আপনার ফাইবার প্রোফাইলের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে সাহায্য করবে। এতে কাজও অধিক পাবেন।

ফাইবারে কোন কাজের চাহিদা বেশি?

এমনিতে যেকোনো ধরণের কাজের চাহিদা ফাইভারে থেকেই থাকে। তবে হ্যা, এমন কিছু কিছু ইন্ডাস্ট্রি বা কাজের ক্যাটাগরি রয়েছে যেগুলোর চাহিদা অনলাইন মার্কেটে বা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে অনেকটাই বেশি।

  1. লোগো ডিজাইন,
  2. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং,
  3. কনটেন্ট রাইটিং/কপি রাইটিং,
  4. ভিডিও এডিটিং,
  5. ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট,
  6. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট,
  7. ভয়েসওভার,
  8. ট্রান্সলেশন,
  9. ট্রান্সক্রিপশন,
  10. ডাটা এন্ট্রি জবস, এবং আরো আছে।

আজকে আমরা কি শিখলাম?

Fiverr হলো এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে একজন freelancer হিসেবে আপনি নিজের দক্ষতা এবং কৌশল গুলোকে কাজে লাগিয়ে টাকা ইনকাম করার দারুন একটি সুযোগ পেতে পারবেন। অনলাইনে কাজ পাওয়ার সুবিধার কারণে এখানে আপনি দেশ বা বিদেশ থেকেও নানান ক্লায়েন্টস পেয়ে যাবেন। আর আমি যতটা জানি, বিদেশী clients-রা ছোট ছোট কাজের জন্যেও অধিক টাকা পেমেন্ট করে থাকেন।

নিজের একটি আকর্ষণীয় প্রোফাইল তৈরি করে, Gigs গুলোকে তৈরি ও অপ্টিমাইজ করে, নিজের পরিষেবা গুলোর প্রচার করে ফাইবারে আপনি নিজের একটি freelance business চালাতে পারবেন। তবে হ্যা, এটা এক দিনের কাজ মোটেও না। তাই, যদি আপনিও Fiverr থেকে ইনকাম করতে চাইছেন, তাহলে সঠিক কৌশল এবং নিয়ম গুলোকে ফলো করে এখান থেকে রেগুলার অর্থ উপার্জন অবশই করতে পারবেন।

অবশই পড়ুন:

 

Leave a Comment

error: