অনলাইনে দৈনিক ৪০০-৫০০ টাকা ইনকাম করুন: মিস করলেই লস

বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে দৈনিক ৪০০-৫০০ টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন উপায় গুলো রয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, কেউ হয়তো চাকরির পথ বেছে নেন আবার কেউ হয়তো স্বাধীনভাবে ব্যবসা করার উপর অধিক জোর দেয়। এক্ষেত্রে এমন অনেকেই আছেন যারা বসের অধীনে থেকে ৯টা-৫টা চাকরি করতে আগ্রহী নয়, আবার ব্যবসা শুরু করার মতো আর্থিক সামর্থও তাদের নেই।

দৈনিক ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম
How to earn 400-500 daily? best online income method.

আপনিও যদি এমনই একজন ব্যক্তি যে নাকি কোনো ধরণের বিনিয়োগ না করেই ঘরে বসে নিজের খালি সময়ে অনলাইনে কাজ করে দিনে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করার কথা ভাবছেন, তাহলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি অবশই আপনার কাজে লাগবে।

আজকে আমরা, বাড়িতে বসে অনলাইনে কাজ করে দৈনিক টাকা ইনকাম করার এমন কিছু পথ বা বিকল্পের বিষয়ে আপনাদের বলেছি যেগুলোকে জেকেও যেকোনো সময় শুরু করতে পারবেন।

তবে এর জন্য আপনার শুধু, কম্পিউটারে মৌলিক দক্ষতা এবং ইন্টারনেট অ্যাক্সেস থাকা দরকার। এই দুটি শর্ত পূরণ করলেই, যেকোনো মুহূর্তেই এই কাজ গুলো আপনি শুরু করতে পারবেন।

দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো কি কার্যকর?

পড়াশোনার বা চাকরির পাশাপাশি নিজের খালি সময়ে ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার বিষয়টা কিন্তু নতুন না। আজ স্কুল কলেজে পড়াশোনা করা ছাত্রছাত্রীরাও স্টুডেন্টদের জন্য থাকা নানান অনলাইনে পার্ট টাইম জব গুলো করার মাধ্যমে ভালো মানের ইনকাম করে নিতে পারছেন।

এছাড়া, মহিলারা, রিটায়ার্ড ব্যক্তিরা ইত্যাদি প্রচুর লোকেরাই ইন্টারনেট থেকে টাকা ইনকামের সুযোগ গুলোর প্রচুর লাভ নিয়ে নিচ্ছেন। অনলাইন ইনকামের এমন নানান লাভজনক ও দুর্দান্ত উপায় কিছু রয়েছে যেগুলিকে কাজে লাগিয়ে দিনে অন্তত ৫০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করাটা আপনার জন্যে অনেক সহজ বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।

আমি নিজেই চাকরির পাশাপাশি নিজের খালি সময়ে Blogging করছি এবং আমার শুধুমাত্র একটি ব্লগের মাধ্যমে আমি সহজেই প্রতিদিন কমেও ১০০০ টাকা ইনকাম করে নিতে পারছি।

দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করার জন্য কি কি লাগবে?

এক্ষেত্রে আপনার কাছে থাকতে হবে একটি computer/laptop এবং ভালো ইন্টারনেট কানেকশন এর। এছাড়া, কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের সাধারণ নলেজও থাকতে হবে।

আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো ভাবছেন, এই অনলাইন কাজ গুলো কি মোবাইল দিয়ে করা যাবেন নাকি, ভাবছেন তো?

তবে জানিয়ে রাখি, বেশিরভাগ কাজ গুলো একটি স্মার্টফোন ব্যবহার করে করা যাবে।

তবে স্মার্টফোনে এই কাজ গুলো সুবিধাজনজ ভাবে করা যাবেনা। মোবাইলের স্ক্রিন কম্পিউটারের তুলনায় অনেক ছোট হওয়ার কারণে, কাজে প্রচুর ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও থেকে থাকে।

এছাড়া, প্রতিদিন অন্তত কিছু ভালো অংকের টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনাকে এমন একটি প্রমাণিত ও বিশ্বস্ত উপায় ব্যবহার করতে হবে যেটি নিয়ে আপনার কিছুটা জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও ইন্টারেস্ট আগের থেকেই রয়েছে।

এক্ষেত্রে, নিচে দিয়ে দেওয়া নানান কার্যকর ও প্রমাণিত অনলাইন ইনকামের উপায় গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

অবশই পড়ুন: স্টুডেন্টদের জন্য অনলাইনে পার্ট টাইম জব করার উপায়

ডেইলি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করার ৮টি কার্যকরী উপায়:

YouTube-এর মধ্যে সার্চ করে আপনারা এমন প্রচুর ব্যক্তিদের বিষয়ে জেনেনিতে পারবেন যারা এই উপায় গুলোকে কাজে লাগিয়ে প্রতিদিন ভালো মানের টাকা ইনকাম করে নিচ্ছেন।

সঠিক নিয়ম গুলো অনুসরণ করে কাজ করতে পারলে আপনি অবশই নিচে বলে দেওয়া উপায় গুলোর থেকে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

১. ব্লগিং করে দৈনিক টাকা ইনকাম:

বাড়িতে বসে অর্থোপার্জনের জন্য ব্লগিং হলো একটি অন্যতম এবং জনপ্রিয় সেরা উপায়।

এক্ষেত্রে আপনি দিনের কয়েক ঘন্টা নির্দিষ্ট কোনো বিষয়কে কেন্দ্র করে নিজের ব্লগে আর্টিকেল লেখার কাজ করে রোজগারের সুযোগ তৈরি করতে পারবেন। আপনার লেখা আর্টিকেল গুলো যত অধিক পাঠকরা ভিউ করবেন এবং সেগুলোকে শেয়ার করবে, ততই পকেট ভরবে আপনার।

টপিক হিসাবে আপনি – লাইফস্টাইল, মুভি, খাবার, কসমেটিক্স বা সাজসজ্জার সরঞ্জাম, ভ্রমণ, মিউজিক বা বই রিভিউ ইত্যাদি বেছে নিতে পারেন। আবার নিজের জীবনে প্রত্যহ ঘটা ঘটনাগুলিকে পার্সোনাল ডাইরি বা ব্লগ হিসাবেও পোস্ট করে অন্যদের মনোরঞ্জন করতে পারেন।

বিনামূল্যে ব্লগ সেট আপ করতে আপনি Google -এর blogger.com ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া আপনি যেকোনো কোম্পানি থেকে হোস্টিং এবং ডোমেইন কিনে সহজেই একটি ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগও সেট আপ করতে পারেন।

আমার হিসেবে, অনলাইন মাধ্যমে কাজ করে প্রতিদিন ৪০০-৫০০ টাকা উপার্জন করার যেকোনো অন্য উপায় গুলোর তুলনায় ব্লগিং সব থেকে বিশস্ত এবং লাভজনক উপায় গুলোর মধ্যে একটি।

ব্লগিং করে কিভাবে ইনকাম করবেন?

  • একটি ব্লগ সাইট তৈরি করুন।
  • আপনার ইন্টারেস্ট আছে এমন একটি নির্দিষ্ট বিষয় বেছে নিন।
  • প্রতিদিন বা সপ্তায় কমেও ৪টি আর্টিকেল লিখে ব্লগে পাবলিশ করুন।
  • নিজের ব্লগ সাইটটিকে Google Search Console-এ জমা দিন।
  • ধীরে ধীরে ব্লগে ভিউস হতে শুরু হলে এবার Google AdSense-এর জন্যে এপ্লাই করুন।
  • Google AdSense দ্বারা এপ্রুভাল পাওয়ার পর, নিজের ব্লগে বিজ্ঞাপন যুক্ত করুন।
  • এবার, আপনার ব্লগে দেখানো বিজ্ঞাপন গুলোর মাধ্যমে প্রতিদিন ডলারে টাকা ইনকাম করুন।

২. রেফার করুন এবং দৈনিক উপার্জন করুন:

ইন্টারনেটে এমন প্রচুর ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস গুলো রয়েছে যেগুলোর একটি রেফারেল প্রোগ্রাম থাকে। এবার এই refer & earn program গুলিকে কাজে লাগিয়েও অনেক সহজেই দৈনিক কিছু টাকা হলেও ইনকাম করা যাবে।

এক্ষেত্রে, আপনাকে apps বা website গুলিকে অন্যান্য ব্যক্তিদের কাছে রেফার করতে হয় এবং যদি কোনো ব্যক্তি আপনার রেফারেল লিংক বা কোড ব্যবহার করে app-টি তাদের মোবাইলে install করে থাকেন বা কোনো ওয়েবসাইটে একাউন্ট তৈরি করে থাকেন, তাহলে আপনাকে সামান্য কিছু টাকা রেফারেল ইনকাম হিসেবে দিয়ে দেওয়া হয়।

আপনাকে এমন একটি app বা website খুঁজে বের করতে হবে যেখানে প্রতিটি রেফার এর জন্যে অনেক বেশি টাকা দেওয়া হয়। উদাহরণ স্বরূপ, Google Pay এমন একটি app যেটিকে রেফার করে প্রতি রেফারের বিপরীতে ১০০ টাকা ইনকাম করা যাবে।

এভাবেই, ইন্টারনেটে এমন প্রচুর apps এবং website আছে যেগুলিকে রেফার করার মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন।

তবে এই মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার জন্যে প্রচুর ফলোয়ার্স সহ আপনার একটি অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া পেজ, ব্লগ সাইট বা ইউটিউব চ্যানেল থাকা দরকার। এগুলোর দ্বারা apps/website গুলো রেফার করার জন্য প্রতিদিন নতুন নতুন ইউসারদের পেতে পারবেন।

রেফার করে ইনকাম করার সেরা ওয়েবসাইট গুলো:

  • InboxDollars
  • MyPoints.com
  • ySense
  • Swagbucks

৩. ট্রান্সলেটর:

আপনি যদি একাধিক ভাষায় দক্ষ হন, তাহলে ট্রান্সলেটর বা অনুবাদক হিসেবে কাজ করার কথা বিবেচনা করতে পারেন। আজকালকার সময়ে, বহু কোম্পানি, লেখক এবং শিক্ষাবিদরা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষের কাছে পৌঁছতে ‘ট্রান্সলেটর’ বা অনুবাদকদের উপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল।

এক্ষেত্রে আপনাকে – নির্দিষ্ট কোনো পাঠ্য, ইমেল, মেল বা সাবটাইটেল, বই, চিঠিপত্র বা অডিও ক্লিপ অনুবাদ করার জন্য বলা হবে। আর অনুবাদিত শব্দের পরিমাণ এবং আপনার দক্ষতার উপর ভিত্তি করে কোম্পানি অর্থ প্রদান করবে।

এই কাজ আপনি সম্পূর্ণ ঘরে বসে করতে পারবেন এবং এই ধরনের অনেক চাকরিও মার্কেটে এখন উপলব্ধ।

জানিয়ে রাখি – Upwork, Fiverr, Gengo, TranslatorsCafe এবং OneHourTranslation.com-এর মতো ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্মে ট্রান্সলেটর এর চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন আপনি।

৪. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট:

ব্যক্তিগত সহকারী বা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট (সংক্ষেপে VA) হল একজন স্ব-নিযুক্ত পেশাদার, যিনি ছোট, বড়, মাঝারি ব্যবসায়িক কোম্পানির হয়ে অনলাইন মোডে তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পাদন ও সম্পন্ন করতে সহায়তা করে থাকেন।

একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট হিসাবে আপনাকে – ক্লায়েন্টের হয়ে মিটিং শিডিউল বা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারণ করা, প্রেজেন্টেশন বানানো, ফোন কল রিসিভ এবং ওয়েবসাইট পরিচালনা করতে হতে পারে। তবে কাজের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ রূপে নির্ভর করবে ক্লায়েন্টের প্রয়োজনীয়তা উপর।

এছাড়া ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট হওয়ার জন্য কয়েকটি গুন থাকা আবশ্যক,

যেমন – ভাল কমিউনিকেশন স্কিল, মাইক্রোসফ্ট অফিসে পারদর্শিতা এবং যথাযথ টাইম মেনেজমেন্ট স্কিল। আপনি – MyTasker, Zirtual, uAssistMe, freelancer.com, Fiverr, Guru, 123Employee -এর মতো ওয়েবসাইটে গিয়ে এই কাজের জন্য আবেদন জমা দিতে পারেন।

৫. ডেটা এন্ট্রি:

বর্তমান সময়ে বাড়িতে বসে প্রতিদিন একটি ভালো অংকের টাকা ইনকাম করার সর্বোত্তম উপায় গুলোর মধ্যে একটি হলো ডেটা এন্ট্রির কাজ।

এখন দেশি-বিদেশী প্রায় প্রত্যেকটি কোম্পানিই দৈনিক ডেটা ট্রান্সফারের কাজ করে থাকে। আর তাই এই কোম্পানিগুলির এমন ব্যক্তিদের প্রয়োজন হচ্ছে, যারা ডেটা ট্রান্সফারের কাজ পরিচালনা করতে এবং সিস্টেমে সেই ডেটা এন্টার করাতে দক্ষ।

এর জন্য আপনার কাছে একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার, ইন্টারনেট কানেকশন এবং মাইক্রোসফ্ট অ্যাপ্লিকেশনগুলি থাকা আবশ্যক। সর্বোপরি ডেটা এন্ট্রির কাজ এখন এতই জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে, ব্যাপক পরিমাণে লোক নিয়োগ করা হচ্ছে।

আপনি যদি স্নাতক বা স্নাতকোত্তর হন এবং হাই টাইপিং স্পিডে মাইক্রোসফ্ট এমএস অফিসে কাজ করতে সক্ষম হন তবে এই ‘ক্লারিক্যাল জব’ -টি আপনার জন্য সেরা হবে। এক্ষেত্রে আপনি – Guru, Freelancer, Axion Data Entry Services, বা Data Plus সাইটের মাধ্যমে এই কাজ করতে পারেন।

যেই কোম্পানির হয়ে আপনি কাজ করবেন, তারা আপনাকে ইমেল বা ডেটা সোর্স লিঙ্ক পাঠানোর মাধ্যমে কী করতে হবে তা নির্দেশ দিয়ে দেবে।

৬. অনলাইনে ছবি বিক্রি করুন:

আপনি যদি ছবি তুলতে পছন্দ করেন বা পেশাদার ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন তবে অনলাইনে নিজের তোলা ছবি বিক্রি করে টাকা রোজগার করতে পারেন। এর জন্য অর্থ বিনিয়োগ করার কোনো প্রয়োজন নেই।

তবে হ্যাঁ, আপনার তোলা ছবিগুলি হাই কোয়ালিটির হওয়াটা এক্ষেত্রে আবশ্যক। তা বলে আপনাকে যে DSLR ব্যবহার করেই ফটোগ্রাফি করতে হবে এমন নয়।

আজকাল উন্নত এবং শক্তিশালী জুম যুক্ত ক্যামেরা সহ একাধিক স্মার্টফোন গুলো বাজারে উপলব্ধ রয়েছে, সেগুলি ব্যবহার করেই হাই কোয়ালিটির ছবি গুলো তুলতে পারবেন।

তাই, একাধিক স্টক ইমেজ ওয়েবসাইট গুলিতে ছবি বিক্রি করেও আপনি প্রতিদিন ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করার সুযোগ পেতে পারবেন।  অনলাইনে ছবি বিক্রির জন্য এই সাইট গুলো ব্যবহার করতে পারেন:

  • Shutterstock
  • Etsy
  • Fotomoto
  • Pixabay
  • Adobe Stock

৭. কনসাল্টিং ও ট্রেনিং:

আপনি যদি স্টক মার্কেট সম্পর্কে বিজ্ঞ হন বা মানি ম্যানেজমেন্ট, মোটিভেশন মূলক বক্তৃতা, নিউট্রিশন, এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ বা অন্য কোনো বিষয় সম্পর্কে জ্ঞানী হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি নিজেস্ব কনসাল্টিং ও ট্রেনিং পরিষেবা শুরু করতে পারেন।

এক্ষেত্রে অনলাইনে অর্থাৎ ফেসবুক, ইউটিউব বা ইনস্টাগ্রামে প্রোগ্রাম বা কোর্স বিক্রি করে প্রচুর পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।

এছাড়া গুগল সার্চ সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভিডিও শেয়ার করার মাধ্যমে কোনো বিনিয়োগে ছাড়া ট্রাফিক পেতে পারেন এবং দৈনিক ৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।

৮. অনলাইন সার্ভে (Online Surveys) :

অনলাইনে নানান প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিয়ে এবং নিজের মতামত গুলো শেয়ার করে দৈনিক টাকা ইনকাম করার এটা একটি অনেক জনপ্রিয় ও কার্যকর উপায়।

আপনি যদি নিজের ফিডব্যাক শেয়ার করে অনলাইন মাধ্যমে দৈনিক কিছুটা টাকা রোজগার করতে চান, তাহলে অনলাইন সার্ভের কাজ গুলো করতে পারেন।

এক্ষেত্রে – Timebucks, PrizeRebel, Opinion World, ySense, Your Surveys, Swagbucks, SurveyJunkie, TimeBucks Rewards, LifePoints, Zen Surveys -এর মতো একাধিক মার্কেট রিসার্চ কোম্পানির ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন সার্ভে গুলো করতে পারেন।

এর জন্য উল্লেখিত সাইটগুলিতে গিয়ে সাইন-ইন করে একটি বা একাধিক উপযুক্ত সমীক্ষা বা সার্ভে খুঁজুন এবং কয়েকটি সহজবোধ্য প্রশ্নের উত্তর দিন। পরিবর্তে আপনি সার্ভে প্রতি প্রায় ২০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বা তার থেকেও অধিক উপার্জন করতে পারবেন।

মনে রাখবেন, কিছু সাইট আবার অর্থের বদলে কিন্তু গিফট কার্ড বা অন্যান্য রিওয়ার্ড গুলিও অফার করে থাকে। তাই, কোন সাইটে সার্ভে সম্পূর্ণ করে কি কি ইনকাম করা যাবে, সেটা আগেই জেনেনিবেন।

FAQ:

১. প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করার সেরা উপায় গুলো কি?

বর্তমান সময়ে অনলাইনে কাজ করে ডেইলি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা ইনকাম করার সব থেকে ট্রাস্টেড এবং জনপ্রিয় উপায় গুলো হলো, blogging, affiliate marketing. YouTube, online course selling business, এবং আরো আছে।

২. অনলাইনে কি সত্যি টাকা ইনকাম করা যায়?

যতটা আমি বুঝেছি, অনলাইন মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের নানান উপায় গুলো রয়েছে। আর সত্যি বলতে এদের মধ্যে এমন নানান উপায় গুলো আছে যেখান থেকে সত্যি নিয়মিত অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ, ফেসবুক ইন-স্ট্রিম এড, গুগল এডসেন্স, গুগল প্লে স্টোর থেকে, ব্লগিং করে, টুইটার বিজ্ঞাপন থেকে, ইত্যাদি।

৩. অনলাইনে দৈনিক ৪০০-৫০০ টাকা ইনকাম করাটা কতটা সহজ?

সত্যি বলতে আপনি যতটা সহজ ভাবছেন ততটা সহজ মোটেও না। তবে হ্যা, blogging, Facebook এবং YouTube-এর মতো প্লাটফর্ম গুলোকে কাজে লাগিয়ে সঠিক ভাবে এবং নিয়মিয়তা বজায় রেখে কাজ করতে পারলে, মোটামোটি ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে প্রতিদিন কিছুটা অন্তত ইনকাম আপনার শুরু হয়ে যেতে পারে।

উপসংহার:

তাহলে বন্ধুরা, কিভাবে ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করে দিনে কমেও ৫০০ টাকা ইনকাম করা যাবে বা দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করার কি কি অনলাইন উপায় গুলো রয়েছে, সেই বিষয়ে ভালো করেই জেনেনিতে পেরেছেন বলে আশা করছি। তবে, অনলাইনে কাজ করে প্রতিদিন টাকা ইনকাম করা যাবে এমন কি কি কার্যকর উপায় গুলো রয়েছে সেই বিষয়ে আপনাদের জানানোটাই আমাদের এই আর্টিকেলের মূল উদেশ্য ছিল।

আপনি যদি উপরে বলা উপায় গুলো কাজে লাগিয়ে দৈনিক ইনকামের কথা ভাবছেন, তাহলে আগে বিষয় গুলি নিয়ে ভালো করে রিসার্চ করে নিবেন এবং উপায় গুলো কি সত্যি কার্যকর সেই বিষয়ে জেনেনিবেন।

ইন্টারনেটে উপলব্ধ নানান ইউসার রিভিউ গুলো পড়ার মাধমেও দৈনিক ইনকামের এই উপায় গুলোর কার্যকারিতা ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।

শেষে, যদি আমাদের আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকে, তাহলে সেটা নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। এছাড়া, আর্টিকেলটি ভালো লাগলে সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার অবশই করবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error:
Scroll to Top