স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব শুরু করার উপায়: ২০২৪

স্টুডেন্টদের জন্য অনলাইনে পার্ট টাইম জব শুরু করার ক্ষেত্রে কি কি অনলাইন সুযোগ বা লাভজনক উপায় গুলো রয়েছে, সেটা খুঁজে বের করাটা তেমন একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয় মোটেও না।

আবার, রেগুলার classes, homework এবং extracurricular activities-এর পর, পার্ট-টাইম অনলাইন কাজ গুলো করে টাকা ইনকাম করার বিষয়টা এতটা সোজা অবশই না।

তবে, বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের ব্যবহার ও জনপ্রিয়তা দিনে দিনে যত বাড়ছে, ছাত্রদের জন্যে অনলাইনে ইনকাম করার অগণিত সুযোগ গুলিও তৈরি হচ্ছে।

Freelancing থেকে শুরু করে online selling, blogging, affiliate marketing ইত্যাদি অনলাইনে ইনকাম করার এরকম প্রচুর উপায় গুলো রয়েছে, যার দ্বারা ছাত্ররা বর্তমানে নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি কার্যকর ও লাভজনক ভাবে পার্ট-টাইম ইনকামের সুযোগ পাচ্ছেন।

তাই, যদি আপনিও ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার সুযোগ গুলো খুঁজছেন, তাহলে আপনাকে নিজের পড়াশোনার সাথে কোনোভাবেই কম্প্রোমাইজ করতে হবেনা।

আজকের এই আর্টিকেলের দ্বারা আমি আপনাদের স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম করার বিভিন্ন অনলাইন আয়ের সুযোগ গুলোর বিষয়ে বলবো।

অবশই পড়ুন: ইন্টারনেট থেকে মোবাইলে ফ্রি কল করার সাইট গুলো

স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব শুরু করার লাভজনক উপায় গুলো কি?

স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব
Best and profitable online part-time jobs/income method for students.

কলেজে পড়াশোনা করা ছাত্রদের ক্ষেত্রে এই বিভিন্ন অনলাইন ইনকাম টিপস বা উপায় গুলো প্রচুর লাভজনক হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

কেননা, পার্ট-টাইম জব করার ক্ষেত্রে এই অনলাইন উপায় গুলো ব্যবহার করে ছাত্ররা পড়াশোনা এবং অন্যান্য দায়িত্বের ভারসাম্য বজায় রেখে টাকা আয় করার সুযোগ পাচ্ছেন।

এর দ্বারা ছাত্ররা নিজের ঘরে বসে নিজের পছন্দের সময় মতো কাজ করে ইনকাম করতে পারছেন।

টাকা ইনকাম করার বিষয়টি ছাড়াও স্টুডেন্ট লাইফে পার্ট-টাইম ইনকাম করার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ লাভ গুলো রয়েছে। যেমন ধরুন, ছাত্রজীবনে এই কাজ গুলো করার দ্বারা আপনারা নতুন নতুন কৌশল / দক্ষতা গুলো শিখতে ও অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারবেন।

আর এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে নিজের ক্যারিয়ার বা ব্যবসা তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনার কাজে আসতে পারে।

এছাড়া, অনলাইন ইনকাম এর সুযোগ গুলো একজন ছাত্রর জন্যে টাকা ইনকাম করার সাথে সাথে, নিজের interests এবং passions অনুসরণ করার দারুন উপায়ও হতে পারে।

তাই, যদি আপনিও একজন ছাত্র এবং ছাত্রদের জন্য অনলাইনে টাকা আয় করার লাভজনক উপায় গুলোর বিষয়ে জেনেনিতে চাইছেন, তাহলে নিচে দেওয়া উপায় গুলো দেখে নিন।

১. ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) দ্বারা অনলাইন ইনকাম

Freelancing হলো এমন একটি কাজ এর প্রক্রিয়া যেখানে আপনি স্বাধীন ভাবে project-by-project basis-হিসেবে কাজ করবেন।

মানে, এক্ষেত্রে আপনাকে কোনো company বা firm-এর কর্মচারী হয়ে কাজ করতে হবেনা। আপনি নিজের সুবিধে এবং সময় বুঝে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারবেন।

মনে রাখবেন, যেই ব্যক্তিরা এই freelancing-এর কাজ করে থাকেন, তাদের বলা হয় “Freelancers”।

Freelancers-রা মূলত স্ব-নিযুক্ত ব্যক্তি (self-employed individuals), যারা গ্রাহকদের/ক্লায়েন্টদের তাদের পরিষেবা গুলি প্রদান করে থাকেন।

একজন freelancer হিসেবে আপনাকে এই সেবা গুলো short-term বা project basis হিসেবেই দিতে হবে। মানে, কাজ গুলো করার একটি সীমিত বা নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকবে।

Freelancers-রা সাধারণত writing, graphic design, programming, consulting, coding, marketing ইত্যাদি বিভিন্ন আলাদা আলাদা কাজ গুলো করে থাকেন।

তাই, এক্ষেত্রে আপনার এমন একটি বিশেষ দক্ষতা (skill) জানা থাকতে হবে যেটিকে কাজে লাগিয়ে freelancing করবেন।

Freelancing কিন্তু একজন ছাত্রের জন্যে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার একটি দুর্দান্ত এবং কার্যকর উপায় হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।

কারণ এক্ষেত্রে ছাত্ররা কেবল সেই প্রজেক্টস গুলোতে কাজ করার স্বাধীনতা পাচ্ছেন যেগুলোর ওপর তাদের আগের থেকেই ইন্টারেস্ট ও অভিজ্ঞতা রয়েছে।

একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ছাত্ররা নিজের কাজ করার সময় এবং জায়গা নিজের হিসেবে সিলেক্ট করতে পারবেন। তাই, পড়াশোনার সাথে সাথে নিজের খালি সময়ে কাজ করে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে “Freelancing” একটি অনেক কার্যকর উপায়।

Freelancing করার মাধ্যমে একজন ছাত্র মূল্যবান অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা অর্জন করার সুযোগ পেয়ে থাকেন যেগুলো তাদের ভবিষ্যতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে।

যেমন, যদি আপনি একজন writer হিসেবে freelancing করছেন তাহলে লেখালেখির (writing) অভিজ্ঞতা লাভ করবেন।

সেভাবেই, যেই ছাত্ররা একজন designer হিসেবে freelancing করছেন, তারা graphic design এবং branding-এর অভিজ্ঞতা লাভ করবেন।

আবার, যেই ছাত্ররা একজন developer হিসেবে freelancing-এর কাজ করছেন, তারা coding এবং web development-এর অভিজ্ঞতা লাভ করবেন।

তাই freelancing, ছাত্রদেরকে সম্পূর্ণ নিজের হিসেবে টাকা ইনকাম করার সুযোগ প্রদান করে থাকে যেখানে উচ্চ উপার্জনের সম্ভাবনা থাকছে।

ছাত্ররা কোন কোন ফ্রিল্যান্সিং পরিষেবা গুলো দিতে পারবেন ?

বর্তমান সময়ে এরকম অসংখ্য ফ্রিল্যান্সিং পরিষেবা গুলো রয়েছে যেগুলো একজন ছাত্র হিসেবে আপনি অনলাইনে দিতে পারবেন। তবে, নিচে আমি জনপ্রিয় ও কার্যকর ফ্রিল্যান্সিং পরিষেবা গুলোর মধ্যে কিছুটার বিষয়ে নিচে বলে দিচ্ছি।

Writing:

ছাত্রদের জন্যে অনলাইনে ইনকাম করার একটি অনেক জনপ্রিয় ও কার্যকর উপায় হলো, “Freelance writing”। এখানে অন্তর্ভুক্ত থাকছে, blog posts লেখা, articles, web content, product descriptions ইত্যাদি লেখা।

Graphic Design:

যদি আপনার মধ্যে গ্রাফিক ডিজাইনের প্রতিভা রয়েছে, তাহলে একজন freelancer হিসেবে আপনি নিজের গ্রাফিক ডিজাইনিং পরিষেবা প্রদান করতে পারেন।

এখানে অন্তর্ভুক্ত থাকছে, logos, brochures, posters, social media graphics ইত্যাদি তৈরি করা।

Programming:

যেই ছাত্রদের কাছে computer science, coding বা programming-এর অভিজ্ঞতা ও কৌশল রয়েছে তারা freelancer হিসেবে নিজের পরিষেবা দিতে পারেন।

এখানে থাকছে, website development, app development, software development ইত্যাদি।

Translation:

যেই ছাত্ররা একাধিক ভাষা গুলো ভালো করে বুঝতে, লিখতে ও বলতে পারেন তারা বিভিন্ন businesses বা individuals-দের অনুবাদ সেবা (translation service) প্রদান করতে পারবেন।

Video editing or production:

যদি আপনার মধ্যে video editing ও video বানানোর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাহলে এই ধরণের সেবা একজন ফ্রীল্যান্সার হিসেবে ছাত্ররা দিতে পারেন।

এক্ষেত্রে, আপনাকে বিভিন্ন businesses, YouTube channels বা social media platforms গুলোর জন্যে video তৈরি ও এডিট করতে হবে।

Audio production:

যেই ছাত্রদের মধ্যে অডিও উৎপাদন দক্ষতা ও কৌশল রয়েছে তারা নিজের পরিষেবা একজন ফ্রীল্যান্সার হিসেবে দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্যক্তিদের জন্যে podcasts, audio books ইত্যাদি তৈরি করতে হয়।

Voiceover:

যদি আপনার আওয়াজ (voice) ভালো তাহলে আপনি voiceover artist হিসেবে ফ্রীল্যাংসিং পরিষেবা প্রদান করতে পারেন। আপনি বিভিন্ন commercials, audiobooks, podcast ইত্যাদি projects গুলোর জন্যে কাজ করতে পারবেন।

Photography: 

যদি আপনি ফটোগ্রাফিতে দক্ষ এবং প্রফেশনাল ভাবে ফটোগ্রাফি করার কৌশল আপনার মধ্যে রয়েছে, তাহলে নিজের পরিষেবা গুলো ফ্রীল্যান্সার হিসেবে প্রদান করুন।

বিভিন্ন অনলাইন stock image website গুলো রয়েছে যেখানে আপনারা নিজের তোলা ছবি সরাসরি বিক্রি করতে পারবেন। ওপরে আমি জনপ্রিয় freelancing work-গুলোর কেবল কিছু উদাহরণ মাত্র দিয়েছি।

বর্তমানে এরকম প্রচুর freelance services গুলো রয়েছে যেগুলো একজন ছাত্র হিসেবে আপনি প্রদান করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি কি ধরণের পরিষেবা (services) প্রদান করবেন সেটা আপনার skills এবং interests এর ওপর নির্ভর করবে।

ছাত্ররা কিভাবে পাবেন ফ্রিল্যান্সিং কাজ ?

Freelancing-এর জনপ্রিয়তা বর্তমানে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। নিজের ছাত্রজীবন থেকেই যদি freelancing কাজ করার কথা ভাবছেন, তাহলে ভবিষ্যতে সফলতা পাওয়ার সুযোগ অবশই থাকছে।

তাই, চলুন, এখন আমরা সরাসরি জেনেনেই, কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং কাজ খুজবেন।

নেটওয়ার্কিং:

আপনার আসে পাশে থাকা ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করুন কথা বলুন দেখুন কেও আপনার পরিষেবা নিতে চাইছে কি না। অনেক সময় আমাদের আসে পাশে থাকা ব্যক্তিদের থেকেই আপনি কাজ পাবেন।

যেমন, logo design, editing, app / website development-এর মতো কাজ গুলো বর্তমানে অনেক সহজেই পাবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া:

Facebook, Instagram, LinkedIn এর মতো social media platform গুলোর থেকে অনেক সহজেই freelancing কাজ পাওয়া সম্ভব। আজকাল ছোট বড় প্রত্যেক company এবং firm গুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয় থাকেন।

এবং, মূলত ব্র্যান্ডিং এবং দক্ষ কর্মচারীদের খুঁজে বের করার জন্যে তারা সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার করেন।

আপনি মূলত বিভিন্ন Facebook job groups গুলোতে গিয়ে কাজ খুঁজতে পারবেন। এছাড়া, LinkedIn এর মধ্যে আপনারা প্রচুর HR এবং কোম্পানির লোকেদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন।

আপনি যেই কাজ জানেন সেটা লিখে social media গুলোতে search করুন। যেমন, “freelance tutoring” বা “freelance software developer” ইত্যাদি।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস:

Freelancing.com, Fiverr, Toptal, Upwork, Flexjobs, SimplyHired, Guru, ইত্যাদির মতো প্রচুর ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট রয়েছে।

এই ধরণের ওয়েবসাইট গুলো গিয়ে নিজের একটি ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট তৈরি করতে হয়।

তারপর, আপনি যেই কাজ পারেন সেই কাজ বা প্রজেক্ট গুলো খুজুন এবং এপ্লাই করুন। আপনি প্রত্যেক কাজের জন্যে কমেও $5 থেকে $20 ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।

তবে, কাজটি করতে কত সময় লাগবে, কাজের প্রকৃতি, ধরণ ইত্যাদি কাজের ওপর নির্ভর করেই আপনি টাকা দাবি করতে পারবেন।

সেরা freelancing website কিছু হলো:

LinkedIn

নিজের দেশ হোক বা অন্যান্য দেশ থেকেই হোক, যেকোনো ধরণের Freelancing কাজ খুজার ও পাওয়ার জন্যে LinkedIn ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন।

এটা এমন একটি জনপ্রিয় social media platform যেখানে কাজের সাথে জড়িত অনেক বড় network রয়েছে। এখানে আপনারা বিভিন্ন জনপ্রিয় ও বিখ্যাত news, social media, brands ইত্যাদির থেকে কাজ পাবেন।

Voiceover, content writing, script writing, translation, app development-এর মতো কাজ গুলো এখানে বেশিরভাগ পাওয়া যাবে। এখানে আপনি বিভিন্ন network ও groups গুলোতে join হয়ে কাজের খোঁজ নিতে পারবেন।

এছাড়া, আপনি কি করতে পারবেন সেটা নিয়ে একটি পোস্ট করে সেটার মাধমেও কাজ চাইতে পারবেন।

শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং কাজের সুবিধা:

একজন ছাত্র হিসেবে freelancing কাজ করে টাকা ইনকাম করার সুবিধে প্রচুর রয়েছে। আর নিচে দেওয়া কারণ গুলোর জন্যই বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ ছাত্ররা freelancing করে প্রচুর ইনকাম করছেন।

১. সময় ব্যবস্থাপনা:

একজন স্টুডেন্ট হিসাবে কাজ করার ক্ষেত্রে আপনাকে সঠিক ভাবে সময় ব্যবস্থাপনা করতে জানতে হবে। এক্ষেত্রে, যদি আপনি একজন ছাত্র তাহলে freelancing-এর কাজে অনেক সুবিধা পাবেন।

আপনি যেকোনো জায়গার থেকে freelancing work গুলো করতে পারবেন। এছাড়া, আপনি কখন কখন কাজ করবেন, কখন পড়াশোনা করবেন সেটা সম্পূর্ণটা থাকছে আপনার ওপর।

২. অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা:

Freelancing-এর কাজের দ্বারা ছাত্ররা জীবনে প্রচুর মূল্যবান অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা গুলো অর্জন করে থাকেন। এই মূল্যবান অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা গুলো তাদেরকে ভবিষ্যতে প্রচুর সহায়তা করে থাকেন।

প্রাপ্ত করা এই অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা গুলো ছাত্রদের চাকরি পেতেও সাহায্য করতে পারে।

৩. সম্ভাব্য আয়:

Freelancing-এর কাজ করে ছাত্ররা অনলাইনে নিজস্ব শর্তে কাজ করার ও কাজ করে টাকা উপার্জন করার সুযোগ পেয়ে থাকেন।

তাই, ছাত্রছাত্রীদের জন্য পার্ট টাইম জব করার ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং আমার হিসেবে একটি সেরা মাধ্যম। এখানে টাকা উপার্জনের সম্ভাবনা অনেক বেশি হতে পারে যদি আপনার প্রোফাইল অনেক শক্তিশালী হয়।

ফ্রীল্যান্সার হিসেবে নিজের একটি শক্তিশালী প্রোফাইল তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনাকে নিয়মিত কাজ / প্রজেক্ট গুলো করতে হবে। কাজ গুলো সঠিক ভাবে সঠিক সময়ে করে জমা দিতে হবে।

ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা ও কৌশল অর্জন করার সাথে সাথে আপনার প্রোফাইল শক্তিশালী ও মজবুত হতে থাকবে।এখানে, ছাত্ররা নিজের কাজের বিপরীতে নিজের ইচ্ছে হিসেবে টাকা চার্জ করতে পারেন।

৪. স্বাধীনতা:

কোনো কোম্পানির কর্মচারী হয়ে কাজ করলে আপনি স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারবেননা।

তবে, একজন ফ্রীল্যান্সার স্বাধীনতার সাথে নিজের ইচ্ছে হিসেবে কাজ করতে পারেন। Freelancing-এর দ্বারা ছাত্ররা নিজেই নিজের মালিক হয়ে কাজ করা সুযোগ এবং অনুভব পেয়ে থাকেন। এছাড়া, নিজের ব্যবসা পরিচালনা করার কৌশল ও সুযোগ ছাত্ররা পান।

সোজা ভাবে যদি বলা যায় তাহলে ছাত্রদের জন্যে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার একদি দারুন ও কার্যকর উপায় হতে পারে ফ্রিল্যান্সিং।

এর দ্বারা ছাত্ররা নিজের পড়াশোনা এবং অন্যান্য দায়িত্বের ভারসাম্য বজায় রাখার সাথে সাথে প্রচুর অভিজ্ঞতা (experience) লাভ করবেন।

তবে, মনে রাখতে হবে যে, ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্যে আবার প্রত্যেক ছাত্ররা উপযুক্ত নাও থাকতে পারে।

স্টুডেন্টদের জন্য অনলাইনে পার্ট টাইম জব করে ইনকাম করার জন্যে ফ্রিল্যান্সিং একটি দারুন উপায় হলেও এই কাজ এতটা সোজা ও সহজ না। এর জন্য কঠোর পরিশ্রম করার সাথে সাথে এতে অনেক সময় বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে।

ছাত্রদের জন্য অনলাইনে পার্ট টাইম জব করার অন্যান্য উপায়:

নিচে আমি আরো কয়েকটি online income ways গুলোর বিষয়ে বলে দিচ্ছি যেগুলো স্টুডেন্টদের জন্যে কার্যকর এবং প্রমাণিত।

১. Affiliate marketing:

ছাত্ররা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে products এবং services গুলোকে এফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে প্রচার করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তারা এই affiliate link গুলোকে নিজের website, social media pages ইত্যাদিতে প্রচার করে কমিশন আয় করতে পারবেন।

যখনি কোনো ইউসার আপনার এফিলিয়েট লিংকে ক্লিক করে কিছু কিনে থাকেন, আপনি সেই বিক্রির বিপরীতে কমিশন পাবেন।

২. Blogging

একজন ছাত্র অনেক সহজেই নিজের একটি ব্লগ তৈরি করে সেখান থেকে প্রচুর টাকা অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। ব্লগিং জেকেও করতে পারে এবং বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ লোকেরা ব্লগিং করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা অনলাইনে আয় করছেন।

মূলত ছাত্রদের জন্যে এই ব্লগিং ব্যবসা দারুন কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে। নিজের ব্লগ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে ইনকাম করার সুযোগ আপনি পাবেন। যেমন, advertising, sponsorships, and affiliate marketing ইত্যাদি।

ব্লগিং এর দ্বারা ছাত্ররা নিজের আগ্রহ এবং প্যাশন লোকেদের সাথে শেয়ার করার সাথে সাথে অনলাইন ইনকামের দারুন সুযোগ পান।

৩. Stock trading:

যেই ছাত্রদের finance-এর ওপরে রুচি রয়েছে তারা অবশই stock এবং trading-এর বিষয়ে জ্ঞান নিয়ে স্টক মার্কেটে টাকা নিবেশ করতে পারেন।

তবে এই ধরণের ইনভেস্টমেন্টে ঝুঁকি অধিক থাকছে যদিও ছাত্রদের জন্যে অতিরিক্ত টাকা আয় করার এটা একটি দারুন উপায়।

স্টক মার্কেট কিভাবে কাজ করে এই বিষয়ে আপনাকে সঠিক জ্ঞান এবং শৃঙ্খলা রেখে সঠিক বিবেচনার সঙ্গে বিনিয়োগ করতে হবে।

৪. Online games or apps:

ছাত্ররা যদি ভালো মানের টাকা অনলাইনে ইনকাম করতে চান, তাহলে নিজের online games / apps তৈরি ও বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন।

এছাড়া, বর্তমান সময়ে এরকম অনেক online gaming apps / website গুলো রয়েছে, যেগুলোর online competitions এবং tournaments গুলোতে অংশগ্রহণ করে ছাত্ররা এক্সট্রা ইনকাম করতে পারবেন।

৫. Online courses:

একজন স্টুডেন্ট হিসেবে অনলাইন পার্ট টাইম ইনকাম করার এটা একটি অনেক দারুন ও কার্যকর উপায়। ছাত্ররা নিজের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন online courses গুলো তৈরি করতে পারেন।

তৈরি করা online course গুলো ছাত্ররা social media, YouTube, paid ads, website ইত্যাদি বিভিন্ন মাধ্যমে অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন।

৬. Online tutoring / coaching:

একজন স্টুডেন্ট হিসেবে ইন্টারনেট থেকে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় গুলোর মধ্যে আরেকটি হলো “online tutoring“। আপনার মধ্যে যদি কোনো বিশেষ দক্ষতা বা জ্ঞান রয়েছে যেগুলো আপনি টিউশনির মাধ্যমে শেখাতে পারবেন,

তাহলে অনলাইনে কোর্স বা লাইভ ক্লাস এর মাধ্যমে সেগুলো লোকেদের শিখিয়ে টাকা ইনকাম করা যাবে। Language, music, test preparation, বা academic subjects ইত্যাদি এই ধরণের বিষয় গুলো আপনি শেখাতে পারবেন।

৭. YouTube channel:

একজন স্টুডেন্ট হিসেবে আপনি অনেক সহজেই ৩ থেকে ৪ ঘন্টা খালি সময় প্রতিদিন অবশই পেয়ে যাবেন। এই খালি সময়টিকে কাজে লাগিয়ে আপনি চাইলে নিজের একটি YouTube channel তৈরি করে সেখানে নিয়মিত কাজ করতে পারবেন।

মনে রাখবেন, বেশিরভাগ বড় বড় ইউটিউব চ্যানেল গুলিতে শুরুতে পার্ট-টাইম হিসেবেই কাজ শুরু করা হয়েছিল।

কেননা, নিয়মিত ভালো ভালো ভিডিও গুলি বানিয়ে নিজের চ্যানেলে আপলোড দিতে থাকলে, ধীরে ধীরে subscribers এবং views অবশই বাড়বে।

আর একবার subscribers/views বাড়ার পর, আপনি নানান মাধ্যমে নিজের চ্যানেল থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

স্টুডেন্ট বা ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে সেখানে কাজ করাটা অনেক লাভজনক এবং সুবিধাজনক প্রমাণিত হয়েছে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং, পেইড প্রমোশন, গুগল এডসেন্স, ইত্যাদি নানান উপায় গুলিকে কাজে লাগিয়ে আপনি নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে নিয়মিত ইনকাম করতে পারবেন।

FAQ: স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম

প্রশ্ন: স্টুডেন্টদের জন্য সেরা অনলাইন পার্ট টাইম জব গুলি কি?

স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট-টাইম কাজ করে অনলাইনে ইনকাম করার সেরা উপায় গুলো হলো, freelancing, content/article writing, blogging, video editing, social media management, অনলাইন টিউশনি, ইত্যাদি।

প্রশ্ন: ছাত্ররা অফলাইনে কি কি মাধ্যমে ইনকাম করবেন?

একজন ছাত্র হিসেবে আপনি নানান অফলাইন জব গুলো করার মাধ্যমে ভালো মানের পার্ট-টাইম ইনকাম করতে পারবেন। যেমন ধরুন, টিউশনি করানো, কম্পিউটার বা মোবাইল রিপেয়ারিং কাজ গুলো করে, একটি পার্ট-টাইম ছোট ব্যবসা শুরু করে বা ঘরে বসে হাতের কাজ গুলো করে।

প্রশ্ন: অনলাইনে কাজ করার জন্য কি টাকা ইনভেস্ট করতে হবে?

না, উপরে বলে দেওয়া উপায় গুলিকে কাজে লাগিয়ে ছাত্রছাত্রীরা কোনো ধরণের টাকা ডিপোজিট না করে বা ইনভেস্টমেন্ট ছাড়া অনলাইনে পার্ট-টাইম ইনকামের সুযোগ পেতে পারবেন।

উপসংহার

স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম টিপস গুলো নিয়ে লিখা আমাদের আজকের আর্টিকেল এখানেই শেষ হলো।

স্টুডেন্টদের জন্য ঘরে বসে অনলাইনে পার্ট টাইম জব করে কিছু অতিরিক্ত টাকা ইনকাম করার বিষয়টি বর্তমানে অনেক চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দেখুন, ছাত্র হিসেবে যদি লংটার্ম এবং কার্যকর ভাবে টাকা উপার্জন করার কথা ভাবছেন, তাহলে আমি পরামর্শ দিবো, freelancing বা blogging এর মতো কাজ গুলো করুন।

এগুলোর দ্বারা আপনারা টাকা আয় করার সাথে সাথে নতুন নতুন বিষয়ে নিয়মিত শিখতে থাকতে পারবেন।

এছাড়া, বর্তমান সময়ে YouTube channel তৈরি করে video upload করে টাকা ইনকাম করার বিষয়টি দারুন জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

তাই, আমি আমার আগের আর্টিকেল ইউটিউব থেকে আয় করার ৫টি উপায় আপনাদের বলেছি। এক্ষেত্রে, ইউটিউবে কাজ করেও ছাত্ররা ভালো পরিমানে টাকা উপার্জন করার সুযোগ পাবেন।

Leave a Comment

error: