ছাত্রজীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থ উপার্জনের ৯টি উপায় – ২০২৪

পড়াশোনা ও অনলাইন ইনকাম, এই দুটো বিষয়ই আজ বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীদের জন্য অনেক জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা, একজন ছাত্র হিসেবে আপনাকে একসাথে নানান কাজ এবং দায়িত্ব গুলিকে বজায় রেখে সবদিকে মিলিয়ে চলতে হয়।

আমিও এক সময় একজন স্টুডেন্ট ছিলাম আর তাই বিষয়টা আমিও অনেক ভালো করেই বুঝতে পারি। ছাত্র/ছাত্রী হিসেবে আপনাকে নিজের পড়াশোনা, কলেজ, ক্লাস, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, সামাজিক জীবন, ইত্যাদি সব দিকেই নজর দিতে হয়।

তবে অনেক সময় বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীদের জীবনেই নানান কারণে আর্থিক চাপ বা আর্থিক সমস্যার বিষয়টা চলে আসতে পারে। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু এক্সট্রা টাকা আয় করার উপায় গুলি খুঁজে থাকেন।

বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের উত্থানের সাথে সাথে ছাত্রদের জন্য অনলাইন মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার প্রচুর কার্যকর উপায় গুলি তৈরি হয়েছে। এতে, পড়াশোনার সাথে কাজ করাটা অকেন সহজ ও সুবিধাজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

হতে পারে আপনি নিজের টিউশন বা কলেজের ফী দেওয়ার জন্য, দৈনন্দিনের খরচ বা ছাত্র হিসেবে কেবল কিছু এক্সট্রা টাকা ইনকাম করতে চাইছেন, প্রত্যেক ক্ষেত্রেই ছাত্রদের জন্য থাকা এই অনলাইন টাকা ইনকামের উপায় গুলি প্রচুর কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।

আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে আমি আপনাদেরকে, ছাত্রদের জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি করার মতো সেরা ৯টি অনলাইন ইনকামের উপায় গুলি বলবো যেগুলির দ্বারা পড়াশোনা এবং পার্ট-টাইম কাজ, দুটোই সুন্দর ভাবে মিলিয়ে চলতে পারবেন।

অবশই পড়ুন: কপি পেস্ট করে ইনকাম করার কাজ গুলি কি?

ছাত্রজীবনে পড়াশোনার সাথে সাথে অর্থ উপার্জনের ৯টি উপায়:

চলুন, আর সময় নষ্ট না করে নিচে আমরা, পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার উপায় গুলি জেনেনেই। মনে রাখবেন, আপনাকে কেবল সেই উপায় গুলি নিয়েই কাজ করতে হবে যেগুলির সাথে জড়িত সামান্য জ্ঞান আপনার আছে এবং কাজের ধরণ আপনি পছন্দ করেন।

পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার উপায়
How students can earn money while studying?

এমনিতে, নিচে বলে দেওয়া ইনকামের উপায় গুলির বিষয়ে আপনারা Google Search বা YouTube-এর মাধ্যমে ভালো করে জেনেনিতে পারবেন।

  1. Create YouTube Channel,
  2. Online Income With Blogging,
  3. Course Selling,
  4. Sell Images Online,
  5. Online Paid Survey Jobs,
  6. Freelancing,
  7. Sell Digital Products,
  8. Affiliate Marketing,
  9. Micro Jobs Sites.

চলুন, নিচে আমরা প্রত্যেকটি উপায়ের বিষয়ে বিস্তারিত জেনেনেই।

১. পড়াশোনার সঙ্গে ইউটিউব চ্যানেল:

বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীরা কিন্তু ইউটিউব চ্যানেলের দ্বারা অনেক তাড়াতাড়ি এবং সহজেই অনলাইন মাধ্যমে টাকা আয় করার সুযোগ পাচ্ছেন।

জেকেও সম্পূর্ণ ফ্রীতে নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে, সেখানে নিয়মিত ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করে ইনকাম করতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনার চ্যানেলে ভালো সংখ্যায় subscribers এবং views হতে হবে।

আপনি যেই বিষয়ে জানেন, অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান রয়েছে, সেই বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতে পারেন। যেমন ধরুন, টিউটোরিয়াল, ইতিহাস, কোনো কিছু শেখানো, কমেডি ভিডিও, ইত্যাদি।

এছাড়া, ইউটিউব থেকে নানান মাধ্যমে ইনকাম করার সুবিধাও রয়েছে যেগুলির মধ্যে গুগল এডসেন্স সেরা এবং প্রচুর কার্যকর। তাই, ইউটিউব আমার হিসেবে পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার একটি দারুন এবং কার্যকর উপায়।

২. পড়াশোনার সাথে ব্লগিং করে আয় করুন:

YouTube-এর মতোই blogging-ও কিন্তু ছাত্রজীবনে পার্ট-টাইম কাজ করে টাকা ইনকামের একটি অনেক দারুন ও কার্যকর উপায় গুলির মধ্যে একটি।

ইউটিউব চ্যানেলের ক্ষেত্রে আপনাকে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে হয়। তবে ব্লগিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে মূলত টেক্সট আর্টিকেল গুলি লিখে পাবলিশ করতে হয়। অবশই, আপনার আর্টিকেল গুলিতে ভিডিও, ছবি, অডিও ইত্যাদি যুক্ত থাকতেই পারে।

ব্লগিং করে আমি নিজেই প্রতি মাসে অনলাইনে ভালো পরিমানে ইনকাম করতে পারছি, সেটাও ডলারে। তাই এক্ষেত্রে মন দিয়ে এবং সঠিক নিয়ম গুলি অনুসরণ করে কাজ করলে যে ইনকাম হবেই, সেটা আমি নিজেই বলতে পারবো।

এখানেও নিজের ব্লগ থেকে আপনি নানান মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। যেমন, গুগল এডসেন্স, এফিলিয়েট মার্কেটিং, নিজের ডিজিটাল পণ্য বিক্রি, রেফার করে ইনকাম, ইত্যাদি।

তবে মনে রাখবেন, ব্লগ থেকে নিয়মিত ইনকাম করার জন্য আপনার ব্লগে প্রতিদিন কমেও ১০০০ থেকে ২০০০ ইউনিক ভিসিটর্স অবশই আসতে হবে। এই পরিমানে ভিসিটর্স আসলে, ব্লগ থেকে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে প্রতিমাসে ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা আরামে ইনকাম করা যাবে।

৩. নিজের অনলাইন কোর্স বানান:

যদি আপনার মধ্যে কোনো বিশেষ বিষয় নিয়ে ভালো জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা রয়েছে তাহলে সেই বিষয়টি নিয়ে একটি অনলাইন ভিডিও কোর্স তৈরি করে সেটিকে ইন্টারনেটে নানান মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন।

অনেকেই দেখবেন ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে অনলাইনে, ডিজিটাল মার্কেটিং, গিটার, কোডিং, SEO, ব্লগিং, ইত্যাদি নানান ধরণের কোর্স গুলি বিক্রি করে থাকেন।

এক্ষেত্রে কিছু দিন নিয়মিত কাজ করলে এবং প্রতিদিন ২-৩ ঘন্টা সময় দিয়ে আপনি নিজের ফ্রি টাইমে এই ধরণের কোর্স তৈরি করতে পারবেন।

এছাড়া, তৈরি করা কোর্স গুলি অনলাইনে বিক্রি করার জন্য আপনারা নানান প্লাটফর্ম গুলিকে কাজে লাগাতে পারবেন। যেমন, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, ব্লগ, পেইড বিজ্ঞাপন ইত্যাদি।

৪. পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে ছবি বিক্রি:

ছবি তুলতে পছন্দ করেন? ছবি তোলার সাধারণ কৌশল গুলি জানা আছে? এক্ষেত্রে পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা আয় করার জন্য অনলাইনে ছবি বিক্রি করার নানান প্লাটফর্ম/ওয়েবসাইট গুলি ব্যবহার করতে পারবেন আপনি।

500px, Foap, Getty Images, Shutterstock, Adobe Stock, ইত্যাদি এই ধরণের প্রচুর ভালো ভালো ওয়েবসাইট গুলি আছে, যেখানে গিয়ে নিজের একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করে তোলা ছবি গুলি আপলোড করতে পারবেন।

যখনই আপনার আপলোড ছবি গুলি বিক্রি হবে, কেও কিনে নিবেন, আপনাকে সেই বিক্রির কিছু শতাংশ অংশ (%) কমিশন হিসেবে দিয়ে দেওয়া হবে। আপনি চাইলে একই ছবি একাধিক সাইট গুলিতেও আপলোড করতে পারবেন।

৫. অনলাইন পেইড সার্ভের পার্ট-টাইম কাজ:

সার্ভে মানে জানেন? সার্ভে হলো এমন এক প্রক্রিয়া যেখানে একটি নির্দিষ্ট বিষয়, জায়গা, পণ্য, ব্র্যান্ড, কোম্পানি, ইত্যাদির উপরে একটি বা একাধিক প্রশ্ন করার মাধ্যমে, আপনার থেকে আপনার পরামর্শ এবং মতামত অর্জন করা হয়।

এখন, ইন্টারনেটে এমন নানান পেইড সার্ভে ওয়েবসাইট আছে যেগুলিতে গিয়ে একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। একাউন্ট তৈরি করার পর, আপনাকে একাধিক সার্ভে গুলি করার জন্য বলা হবে, যেগুলি সম্পূর্ণ করার পর আপনাকে কিছু টাকা রিওয়ার্ড হিসেবে দেওয়া হয়।

আলাদা আলাদা সার্ভে গুলি আলাদা আলাদা বিষয়ের উপর হতে পারে। এছাড়া, কিছু সার্ভে সম্পূর্ণ করতে অনেক কম সময় লাগতে পারে, আবার কিছু কিছু সার্ভে সম্পূর্ণ করতে ১৫ থেকে ২৫ মিনিটেরও সময় লাগে।

তবে, যত বড় সার্ভে ততটাই অধিক রিওয়ার্ড পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

Swagbucks, Survey Junkie, Opinion Outpost, InboxDollars, PrizeRebel, ySense, ইত্যাদি এই ধরণের কিছু সাইট যেগুলিতে পেইড সার্ভে সম্পূর্ণ করে টাকা ইনকাম করার সুযোগ দেওয়া হয়।

অবশই পড়ুন: ক্যাপচা পুরন করে ইনকাম করুন

৬. পড়াশোনার সঙ্গে র্সিংফ্রিল্যান্সিং:

স্কুল বা কলেজে পড়াশোনা করার পাশাপাশি ছাত্রদের জন্য পার্ট-টাইম টাকা ইনকাম করার আরেকটি দারুন উপায় হলো, ফ্রিল্যান্সিং।

সত্যি বলতে, এটা টাকা ইনকামের একটি অনেক সহজ এবং ফ্লেক্সিবল উপায়।

কেননা, আপনি নিজের ফ্রি টাইম হিসেবে কাজ করতে পারবেন, দিনে কতটুকু কাজ করতে পারবেন, কয়টা প্রজেক্টে কাজ করবেন এবং কোথায় বসে কাজ করবেন, সবটাই আপনার হাতে থাকছে।

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার এমন একটি কাজ জানা থাকতে হবে যেটিকে পরিষেবা হিসেবে অন্যান্য ব্যক্তি বা কোম্পানিদের দিয়ে, মোটামোটি ভালো পরিমানে আয় করা যাবে।

যেমন ধরুন, গ্রাফিক্স ডিজানিং, লোগো ডিজাইন, কোডিং, অ্যাপ তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরি, কনটেন্ট রাইটিং, এডিটিং, ইত্যাদি যেকোনো ধরণেরই কাজ হতে পারে।

Fiverr, Upwork, Freelancer.com, Guru.com, PeoplePerHour, ইত্যাদি এগুলি হলো কিছু সেরা ও জনপ্রিয় সাইট, যেখানে গিয়ে একটি ফ্রি একাউন্ট তৈরি করে নানান freelancing কাজ গুলি খুঁজতে ও করতে পারবেন।

৭. অনলাইনে ডিজিটাল পণ্য বিক্রি:

অনলাইনে বিক্রি হয় এমন প্রচুর ডিজিটাল পণ্য বা পরিষেবা গুলি রয়েছে। যেমন, mobile game, app, online course, e-book, tools, software, photo, video ইত্যাদি।

যদি আপনিও এমন একটি ডিজিটাল পণ্য তৈরি করতে পারেন যার চাহিদা প্রচুর রয়েছে, সেক্ষেত্রে পড়াশোনা করার পাশাপাশি বা যেকোনো অন্য কাজ করার পাশাপাশি এই মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকামের দারুন সুযোগ পাবেন।

তৈরি করা নিজের digital product গুলি আপনি নানান মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন। যেমন, সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম দ্বারা, বিজ্ঞাপন দ্বারা, ইউটিউব চ্যানেল এবং ব্লগ দ্বারা ইত্যাদি।

৮. এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম:

একজন affiliate marketer হিসেবে ছাত্ররা নানান পণ্য এবং পরিষেবা গুলিকে তাদের অনলাইন প্লাটফর্ম/নেটওয়ার্ক গুলির দ্বারা প্রচার ও বিক্রি করিয়ে কমিশন ইনকাম করতে পারবেন। আপনার তরফ থেকে হওয়া প্রতিটি বিক্রির জন্য আপনি কিছু টাকা অবশই পাবেন।

যদি আপনার একটি ব্লগ সাইট বা ইউটিউব চ্যানেল বা ব্লগ সাইট আছে যেখানে নিয়মিত প্রচুর লোকেরা ভিসিট করেন, সেক্ষেত্রে নিজের শ্রোতাদের চাহিদা এবং ইন্টারেস্ট এর সাথে রিলেটেড পণ্য/পরিষেবা গুলি টার্গেট করতে হবে।

Amazon Associates, ClickBank, CJ Affiliate, ShareASale, eBay Partner Network, ইত্যাদির মতো নানান affiliate program গুলির সাথে যুক্ত হয়ে নিজের পছন্দমতো পণ্য ও পরিষেবা গুলি বিক্রি করিয়ে ভালো রকমের কমিশন ইনকাম একজন স্টুডেন্ট করতে পারবেন।

৯. মাইক্রো জব সাইট থেকে অর্থ উপার্জন:

ইন্টারনেটে এমন নানান ওয়েবসাইট গুলি আপনারা পাবেন যেগুলিতে নানান ধরণের ছোট ছোট কাজ গুলি করার জন্য ছোট ছোট পরিমানে রিওয়ার্ড আয় করার সুযোগ দেওয়া হয়।

অবশই, ছাত্রদের জন্য টাকা ইনকামের এই উপায়টি কোনো ভাবেই একটি সেরা উপায় না। কেননা, এখানে আপনাকে এতটা অধিক টাকা ইনকামের সুযোগ দেওয়া হয়না।

তবে হ্যা, মোবাইল রিচার্জ, সামান্য পকেট মানি বা যাতায়তের খরচ বের করার মতো ইনকাম হতে পারে। এক্ষত্রে, আপনাকে ভিডিও দেখা, গেম খেলা, সার্ভে সম্পূর্ণ করা, একাউন্ট তৈরি, রেফার করা, ইত্যাদির মতো কাজ গুলি করতে হয়।

Google Opinion Rewards, ySense.com, freecash.com, Swagbucks, Honeygain, InboxDollars, Cointiply, ইত্যাদি এই ধরণের কিছু সাইট আপনারা ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

পড়াশোনার সাথে সাথে কি ধরণের অনলাইন জবস গুলি করবেন?

দেখুন, যখন আপনি একজন ছাত্র (student), তখন আপনাকে নিজের পড়াশোনা, বন্ধু, টিউশন, সামাজিক জীবন, ইত্যাদি সবটা মিলিয়ে চলতে হয়। আর এক্ষেত্রে আপনি ৯ থেকে ৫ অফলাইন জব করার সময় কোনো ভাবেই বের করতে পারবেননা।

ছাত্রজীবনে খালি সময় বলতে সে আপনি কেবল ৩ থেকে ৪ ঘন্টার সময় বের করতে পারবেন। আর আপনাকে এই ৩ থেকে ৪ ঘন্টা পার্ট-টাইম হিসেবে কাজ করেই টাকা ইনকাম করার কথা ভাবতে হবে।

এক্ষেত্রে, বিভিন্ন অনলাইন জবস গুলি আপনি করতে পারবেন যেগুলির দ্বারা আপনি নানান ক্ষেত্রে নিজের দক্ষতা এবং কৌশল গুলিকে উন্নত করার পাশাপাশি অনলাইনে রিয়েল টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।

ছাত্রজীবনে, পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে এক্সট্রা টাকা ইনকাম করার একটি দুর্দান্ত উপায় হলো, “Freelancing content writing”।

আপনার মধ্যে যদি সাজিয়ে গুছিয়ে লিখার দক্ষতা আছে, সেক্ষেত্রে আপনি একজন ফ্রিল্যান্স লেখক হিসেবে নানান কোম্পানি, ব্যক্তি, ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট ইত্যাদির জন্য আর্টিকেল বা সোশ্যাল মেডি পোস্ট গুলি লেখার মাধ্যমে নিয়মিত ইনকাম করতে পারবেন।

এর বাইরেও একজন ছাত্র হিসেবে আপনি অনলাইনে পড়াশোনা করানোর কাজটি করতে পারবেন।

এর জন্য আপনাকে দিনে ২ থেকে ৩ ঘন্টার সময় দিতে হবে। এক্ষেত্রে, শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের বিষয়গুলি যেমন, গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস বা যেকোনো ধরণের কৌশল বা ভাষা, ইত্যাদি শেখানো অফার করতে পারেন।

ছাত্রছাত্রীদের জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার উপায় বলতে এগুলির বাইরেও অন্যান্য নানান উপায় গুলি রয়েছে যেগুলি নিয়ে নিচে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

মনে রাখবেন, একটি সফল এবং কার্যকর অনলাইন জব খুঁজে পাওয়ার মূল বিষয়টি হলো,

আপনাকে এমন একটি কাজ খুঁজতে হবে যা আপনার আগ্রহ এবং ক্ষমতার সাথে মেল রাখে, এবং কাজটির দ্বারা আপনি যাতে টাকা উপার্জন করার পাশাপাশি প্রচুর অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান ও অর্জন করার সুযোগ পেয়ে থাকেন।

রিলেটেড: ফ্রিতে অনলাইনে ইনকাম করার সাইট

পড়াশোনা এবং পার্ট-টাইম কাজ এর কিছু লাভ ও সুবিধা:

লেখাপড়ার পাশাপাশি টাকা ইনকাম করতে পারলে, এর থেকে ছাত্রদের নানান ধরণের লাভ গুলি হতে পারে।

এক্ষেত্রে যে শুধুমাত্র আর্থিক লাভেই হবে, সেটা বললে কিন্তু চলবেনা। কেননা, যখনই ছাত্রছাত্রীরা টাকা ইনকাম করার জন্য কোনো ধরণের কাজ করে থাকেন, তখন সেই কাজ থেকেই তারা জীবনের নানান গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি অনেক আগের থেকেই শিখে নিতে পারেন।

যেমন, সময় ব্যবস্থাপনা, দায়িত্ব, কাজের নীতি, কাজের দক্ষতা, ইনভেস্টমেন্ট, ইত্যাদি। নিজের কাজ এবং পড়াশোনার মধ্যে থাকার কারণে, শিক্ষার্থীরা বাজে সময় নষ্ট না করে কেবল জরুরি কাজগুলিকে অগ্রাধিকার দিতে বাধ্য হয়।

এছাড়া, একজন ছাত্র হিসেবে যখন আপনি পার্ট-টাইম কাজ করে টাকা ইনকাম করবেন, তখন আপনার মধ্যে স্বাধীনতা এবং আত্মবিশ্বাসের অনুভূতি তৈরি হতে পারে। কেননা, এখন আপনি আপনার নিজস্ব আর্থিক চাহিদা গুলির যত্ন নিজেই নিতে পারছেন।

এগুলি ছাড়াও, সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, লেখাপড়ার পাশাপাশি পার্ট-টাইম কাজ করে টাকা আয় করাটা আপনাকে সঞ্চয় করা এবং বাজেট তৈরি করে সেই হিসেবে খরচ করার কৌশলটিও শিখিয়ে দিবে।

কলেজ ডিগ্রি শেষ করার পর, আমরা প্রত্যেকেই একটি ভালো চাকরি খোঁজার কাজে লেগে পড়ি। বর্তমান সময়ে একটি ভালো কাজ পাওয়া কতটা কঠিন, এটা আমরা প্রত্যেকেই জানি।

তবে, যদি আপনি কলেজ লাইফ থেকেই নিজের একটি অনলাইন কাজ করে চলেছেন, তাহলে কলেজ শেষ হওয়ার পর, সেই কাজটিকেই ফুল-টাইম হিসেবে করে নিজের ইনকাম স্কেল করতে পারবেন। বিষয়টা একবার ভেবেই দেখুন।

রিলেটেড: কিভাবে রিল ভিডিও বানিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়?

 

শেষ কথা,,

শেষে আমি আপনাদেরকে একটা কথাই বলবো, দেখুন একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা আয় করার প্রচুর অনলাইন উপায় গুলি রয়েছে। তবে আপনাকে ইনকামের এমন কাজ বা প্লাটফর্ম সিলেক্ট করা দরকার যেই কাজের সাধারণ জ্ঞান এবং খানিকটা অভিজ্ঞতা আপনার আছে।

উদাহরণ সরুন, যদি আপনি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন, সেক্ষেত্রে একজন ফ্রিল্যান্স কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারেন, যদি ছবি তুলতে পছন্দ করেন, সেক্ষেত্রে অনলাইনে ছবি বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন।

ইন্টারনেট রিলেটেড নলেজ থাকলে, নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল বা ব্লগ সাইট শুরু করতে পারেন। সেভাবেই অন্যান্য নানান অনলাইন উপায় গুলি আছে যেগুলি আপনারা করতে পারবেন।

নিজের পছন্দ এবং অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কাজ করলে আপনি নিয়মিত একটানা কাজ করতে পারবেন এবং কাজ করেও মজা লাগবে।

 

Leave a Comment

error: