অনলাইন মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার কথা চলে আসলে, YouTube, অন্যান্য সমস্ত প্লাটফর্ম গুলির তুলনায় সব থেকে অধিক ব্যবহূত ডিজিটাল প্লাটফর্ম গুলির মধ্যে একটি।
ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়/পদ্ধতি এমনিতে অনেক থাকলেও, শুরুতে কিন্তু একজন ডিজিটাল ক্রিয়েটর হিসেবে আপনাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়।
কোন বিষয়ে YouTube Channel তৈরি করবেন, কিভাবে ভিডিও তৈরি করে, কি ধরণের ভিডিও বানাবেন, মাসে কতটা ভিডিও আপলোড করতে হবে, এই ধরণের নানান প্রশ্ন গুলির উত্তর আপনাকে নিজেই খুঁজতে হবে।
এছাড়া, যদি আপনি একটোজ স্টুডেন্ট, সেক্ষেত্রে পড়াশোনা বা কাজের পাশাপাশি ইউটিউবে কাজ করার সময়টুকু কিভাবে বের করবেন, সেটা নিয়েও অবশই ভাবতে হয়।
এমনিতে, ইউটিউব থেকে ইনকাম করার ক্ষেত্রে একটি সুবিধা আপনি অবশই পাবেন, আপনি এক্ষেত্রে নিজের পছন্দমতো সময় বেঁছে নিয়ে পার্ট-টাইম হিসেবেও কাজ করতে পারবেন।
এবং, ইউটিউবের মধ্যে একবার সফল হতে পারলে, একজন YouTube Influencer হিসেবে আপনি প্রতিদিন প্রচুর ট্রাফিক/ভিসিটর্স পাওয়ার পাশাপাশি দিনে হাজার হাজার টাকা আরামে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনিও যদি নিজের খালি সময়ে কাজ করে YouTube থেকে ইনকাম করার কথা ভাবছেন, তাহলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক কাজে লাগবে। কেননা, আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে আমি আপনাদের, ইউটিউব থেকে আয় করার ১২ পদ্ধতির বিষয়ে বিস্তারিত বলতে চলেছি।
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার এই ১২টি পদ্ধতি ব্যবহার করেই আজ বেশিরভাগ YouTuber-রা আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করতে পারছেন।
অবশই পড়ুন: কিভাবে টেলিগ্রাম থেকে ইনকাম করবেন?
একজন ইউটিউবার কত টাকা ইনকাম করেন?
AmbitionBox-এর রিপোর্ট অনুযায়ী ভারত এবং বাংলাদেশ এর মতো দেশে, একজন YouTube Content Creator-এর অ্যাভারেজ ইনকাম বছরে প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখের মধ্যে হয়ে থাকে। মানে, মাসে প্রায় ৩২ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা।
তবে, ইউটিউবারদের ইনকামের সংখ্যা নানান উপাদান গুলির উপর নির্ভর করে আলাদা আলাদা বা কম বেশি হতেই পারে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি কোন বিষয় (niche) নিয়ে তৈরি করা হয়েছে, সেটাই কিন্তু আপনার চ্যানেলের ইনকাম কম বেশি হওয়ার মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এছাড়া, আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিকে আপনি কতটা সফল করে তুলতে পেরেছেন, সেটার উপর নির্ভর করেও ইনকামের এই পরিমান অনেক বেশি হতে পারে।
মনে রাখা দরকার যে, ভারত এবং বাংলাদেশ এর মতো দেশে এমন নানান top-earning YouTubers রয়েছেন যাদের কাছে কয়েক মিলিয়ন subscribers থাকার কারণে তারা প্রতিমাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছেন।
এখন, একজন ইউটিউবারের অ্যাভারেজ ইনকাম দেখে যদি আপনিও ইউটিউব থেকে ইনকাম করার কথা ভাবছেন, সেক্ষেত্রে নিচে বলে দেওয়া এই ইউটিউব থেকে আয় করার ১২ পদ্ধতি গুলি জানার পাশাপাশিও আপনাকে নানান বিষয়ে ধ্যান রাখতে হবে।
যেমন ধরুন, আপনার তৈরি করা ভিডিও কনটেন্ট গুলির গুণমান (quality) এবং কনটেন্ট তৈরির সময় দরকার হওয়া Lightening, Background, Camera, Microphone, এই জিনিস গুলির উপরেও আপনার অনেকটা নজর দিতে হয়।
আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিও কনটেন্ট গুলি যতটা ভালো হবে, লোকেরা যতটা সহজে বুঝতে পারবেন, একটি সেরা কনটেন্ট তৈরি করতে আপনি যতটা মনোযোগ দিবেন, ততটাই তাড়াতাড়ি এবং দ্রুত subscribers বাড়বে এবং সফলতার পথে এগিয়ে যাবেন।
রিলেটেড: কিভাবে রিল ভিডিও বানিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়?
ইউটিউবে কত ভিউতে কত টাকা পাওয়া যায়?
ইউটিউব থেকে প্রতিদিন বা প্রতি মাসে কত টাকা আয় করা যায়, এই প্রশ্নের উত্তর আলাদা আলাদা ইউটিউব চ্যানেলের বিষয়, চ্যানেলে পাওয়া CPM, CPC, traffic country, ইত্যাদি নানান বিষয়ের উপর নির্ভর করে আলাদা আলাদা হতে পারে।
তবে নিচে আমি, ইউটিউবে কত ভিউতে কত টাকা পাওয়া যায় তার একটি অ্যাভারেজ পরিমান বা ধারণা আমি নিচে দিয়ে দিচ্ছি। এক্ষেত্রে, আমরা Tune Pocket YouTube Income Calculator Tool-টি ব্যবহার করেছি।
উপরে ছবিতে আপনারা দেখতেই পারছেন যে, আপনার ইউটিউবের চ্যানেলে থাকা ভিডিও গুলিতে প্রতিদিন যদি মোট ৫০০০ হাজার মতো ভিউ হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে আনুমানিক দৈনিক আয় হতে পারে, $6.80-$17 এবং মাসে প্রায় $200-$500।
এভাবেই, প্রতিদিন আপনার ভিডিও ভিউ যত অধিক বাড়বে, আপনার ইনকামও সেই হিসেবে বাড়তে থাকবে।
Views / Day | Estimated Earnings / Month |
---|---|
১০০০ – ১৫০০ | $ 48.96 – $ 122.40 |
১০০০০ – ১৫০০০ | $ 448.80 – $ 1,122.00 |
৫০০০০ – ৫৫০০০ | $ 2,040.00 – $ 5,100.00 |
৭০০০০ – ৮০০০০ | $ 3,060.00 – $ 7,650.00 |
১০০০০০ – ১১০০০০ | $ 4,488.00 – $ 11,220.00 |
২০০০০০ – ২১০০০০ | $ 8,160.00 – $ 20,400.00 |
ইউটিউব থেকে কত ভিউতে কত টাকা ইনকাম করা যায়, এই বিষয়ে উপরে দিয়ে দেওয়া ভিউস এবং ইনকামের পরিমান কিন্তু সম্পূর্ণভাবে অনুমানিক। নানান উপাদান গুলির উপর নির্ভর করে ভিউস এবং ইনকামের পরিমান আলাদা আলাদা হতেই পারে।
রিলেটেড: মেয়েদের জন্য কি কি অনলাইন জব রয়েছে?
ইউটিউব থেকে আয় করার ১২ পদ্ধতি/উপায় গুলি কি?
এবার, আর দেরি না করে নিচে আমরা ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার উপায় গুলি সরাসরি একে একে জেনেনিব।
মনে রাখবেন, ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার এই পদ্ধতি গুলি কিন্তু বেশিরভাগ YouTube Creator-দের দ্বারা ব্যবহার করা হচ্ছে।
তবে, টাকা আয় করার জন্য আপনাকে প্রত্যেকটি উপায় ব্যবহার করতে হবেনা।
নিচে দিয়ে দেওয়া পদ্ধতি গুলির মধ্যে থেকে আপনি আপনার সুবিধা এবং খুশিমতো যেকোনো একটি বা একাধিক উপায়কে কাজে লাগিয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করে নিতে পারবেন।
ইনকামের উপায়: | বৈশিষ্ট: |
---|---|
১. YouTube partner program থেকে আয়, | ইনকামের সব থেকে জনপ্রিয় উপায়। |
২. চ্যানেল মেম্বারশিপ, | মেম্বাররা টাকা দিয়ে পেইড কনটেন্ট দেখবেন। |
৩. প্রমোশনাল লিংক দিয়ে ইনকাম, | ব্র্যান্ড বা কোম্পানির প্রচার। |
৪. স্পনসরশিপ থেকে আয়, | ব্র্যান্ড বা কোম্পানির পণ্যের প্রচার। |
৫. এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়, | বিজ্ঞাপনের পর দ্বিতীয় জনপ্রিয় উপায়। |
৬. নিজের পণ্য/পরিষেবা বিক্রি, | নিজের পণ্যের প্রচার করে বিক্রি। |
৭. ইউটিউব সুপার চ্যাট এবং সুপার স্টিকার, | চ্যানেল মনেটাইজের আরেকটি দারুন উপায়। |
৮. চ্যানেল প্রমোশন করে ইনকাম, | নতুন চ্যানেল প্রমোট করুন। |
৯. কনটেন্ট লাইসেন্স, | নিজের ভিডিও কনটেন্ট থেকে ইনকাম। |
১০. ব্লগে ট্রাফিক পাঠিয়ে ইনকাম, | ব্লগের বিজ্ঞাপন থেকে ইনকাম। |
১১. ফ্যান ডোনেশন থেকে আয়, | আপনার ফ্যানদের থেকে পাওয়া অর্থ। |
১২. ইউটিউব শর্টস থেকে ইনকাম, | শর্ট ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করুন। |
চলুন, এবার নিচে আমরা ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার প্রত্যেকটি পদ্ধতি বা উপায় গুলির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে অধিক জেনেনেই।
১. YouTube partner program:
YouTube Partner Program (YPP), হলো YouTube creators-দের জন্য ইউটিউবের মধ্যে দিয়ে দেওয়া একটি প্রোগ্রাম যেখানে, YouTube resources, monetization tools, এবং Google Creator Support teams, এর মতো নানান features গুলি যুক্ত রয়েছে।
এই প্রোগ্রাম এর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং কাজের জিনিসটি হলো, ক্রিয়েটর দ্বারা জেনারেট হওয়া বিজ্ঞাপন ইনকাম (ad revenue) গুলি তাদের মধ্যে শেয়ার করার ফীচারটিও এখানে চালু করা হয়।
সোজা এবং সঠিক ভাবে বললে, YouTube Partner Program-দ্বারা একজন ইউটিউব ক্রিয়েট, ইউটিউবে আপলোড করা তার প্রতিটি উপযুক্ত ভিডিও গুলিতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে YPP enable করার জন্য আপনাকে YouTube Studio অপশনে click করে, হাতের ডানদিকে চলে আসা Earn-এর মধ্যে click করতে হবে।
YouTube partner program Guidelines:
এমনিতে, YouTube Partner Program-এর সাথে যুক্ত হতে আপনাকে নিজের তরফ থেকে বিশেষ কিছু করতে হয়না।
ধরে দেওয়া কিছু ন্যূনতম প্রয়োজন (minimum requirement) গুলি সম্পূর্ণ হয়ে গেলেই আপনি সরাসরি YPP-এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন।
- ভিডিও গুলি, YouTube advertising guidelines-গুলিকে অনুসরণ করে তৈরি করতে হবে।
- আপনার চ্যানেলে, গত ১২ মাসের মধ্যে ৪০০০ ঘন্টার ভ্যালিড ওয়াচ হাওয়ার (ঘন্টা) থাকতে হবে।
- আপনার বর্তমান অবস্থানটি (country) যোগ্য হতে হবে।
- মিনিমাম ১০০০ সাবস্ক্রাইবার হওয়ার পর YPP-এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন।
- আপনার ইউটিউব চ্যানেল একাউন্টে 2-Step Verification, অন (enable) থাকতে হবে।
নিয়মিত কাজ করতে থাকলে কখন ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টার ওয়াচ হাওয়ার সম্পূর্ণ হয়ে যাবে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেননা।
এবার, এগুলি সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর, আপনি সরাসরি YouTube Partner Program-এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন এবং নিজের ইউটিউব ভিডিও গুলিতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে রেগুলার টাকা আয় করতে পারবেন।
২. চ্যানেল মেম্বারশিপ থেকে আয়:
ভালো করে মন দিয়ে দেখলে, এমন প্রচুর YouTube Channel গুলি আপনারা দেখতে পাবেন যেখানে subscribe বাটন এর পাশেই একটি ‘JOIN’ বাটন দেওয়া থাকে।
আর এই JOIN বাটনের মধ্যে ক্লিক করেই আমরা আমাদের পছন্দের ইউটিউব ক্রিয়েটদের পেইড মেম্বারশিপ নিয়ে তাদের প্রিমিয়াম কনটেন্ট এবং ফীচার গুলির লাভ নিতে পারি।
YouTube-এর channel memberships feature-টি মূলত সেই প্রত্যেক ইউটিউবারদের জন্য তৈরি করা হয়েছে, যারা নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করতে চাইছেন।
চ্যানেল মেম্বারশিপ ফীচারটি আসলে পেইড সাবস্ক্রিপশন এর মতো, যেখানে, নানান ইউটিউবাররা প্রতি মাসে তাদের সাবস্ক্রাইবারদের থেকে কিছু টাকা নিয়ে তাদেরকে কিছু চ্যানেল-রিলেটেড সুবিধা (channel-specific perks) গুলির মজা নিতে দিয়ে থাকেন।
যেমন ধরুন, exclusive content, chat badges, live stream, ইত্যাদি। এক্ষেত্রে, আলাদা আলাদা membership plan গুলির উপর ভিত্তি করে আলাদা আলাদা সুবিধা গুলি প্রদান করা হয়ে থাকে।
যদি আপনি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিত ভিডিও কনটেন্ট পাবলিশ করছেন এবং আপনার ভিয়ার্স/সাবস্ক্রাইবাররা আপনার আপলোড করা কনটেন্ট গুলিতে প্রচুর রুচি রাখেন, সেক্ষেত্রে আপনি তাদের জন্য কিছু প্রিমিয়াম কনটেন্ট তৈরি করে চ্যানেল মেম্বারশিপ থেকেও ইনকাম করার সুযোগ পেতে পারেন।
আমার হিসেবে, paid membership community-দ্বারা ইউটিউব থেকে ইনকাম করার প্রক্রিয়াটি বর্তমানে সব থেকে সহজ উপায় হিসেবে বলা যেতে পারে।
তবে মনে রাখবেন, ইউটিউব চ্যানেলে membership option চালু করার জন্য সব থেকে আগে YouTube Monetization (YPP) আপনার চ্যানেলে চালু (enabled) থাকতে হবে।
৩. প্রমোশনাল লিংক দিয়ে ইনকাম:
কোনো ধরণের বিজ্ঞাপন বা মেম্বারশিপ ছাড়া ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার আরেকটি দারুন উপায় হলো, প্রমোশনাল লিংক।
আসলে, এই মাধ্যমে মূলত আমরা আমাদের ইউটিউব ভিডিও গুলির ডেসক্রিপশন অংশটি কাজে লাগিয়ে টাকা ইনকামের রাস্তা তৈরি করতে পারি।
একজন ইউটিউব ক্রিয়েটর, ভিডিও আপলোড করার সময় ভিডিওর ডেসক্রিপশন এর মধ্যে প্রায় ৫০০০ পর্যন্ত টেক্সট কনটেন্ট যুক্ত করতে পারেন।
এবার, আপনি চাইলে ভিডিওর সাথে রিলেটেড নানান ডিজিটাল কনটেন্ট, আপনার কোনো পেইড কোর্স বা ওয়েবসাইট লিংক গুলি নিজের ভিডিও ডেসক্রিপশন এর মধ্যে দিতে পারবেন।
আপনি কোন ক্যামেরা, মাইক, লাইট বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে ভিডিও তৈরি ও এডিট করছেন, তার এফিলিয়েট লিংক ভিডিওর ডেস্ক্রিপশনে দিয়তে পারবেন।
এছাড়া, ধরুন আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করার বিষয়টি নিয়ে ভিডিও বানিয়ে আপলোড দিচ্ছেন, সেক্ষেত্রে লাভজনক একটি ওয়েব হোস্টিং এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর সাথে যুক্ত হয়ে, ওয়েব হোস্টিং, ডোমেইন নাম, ইত্যাদির এফিলিয়েট লিংক নিজের ভিডিও ডেস্ক্রিপশনে লাগিয়ে নিয়মিত ইনকামের রাস্তা তৈরি করতে পারেন।
শেষে, যদি আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে, তাহলে ইউটিউব ভিডিও ডেসক্রিপশন এর মধ্যে নিজের ওয়েবসাইটের লিংক দিয়ে ইউটিউব থেকে নিজের ওয়েবসাইটে ট্রাফিক প্রেরণ করতে পারবেন।
৪. স্পনসরশিপ থেকে আয় করুন:
Sponsored YouTube Videos, আপনি কি এই বিষয়ে জানেন? YouTube sponsorships-কে আবার Brand content বলেও বলা হয়।
এগুলি আসলে এমন ভিডিও হয়ে থাকে যেগুলিতে মূলত কোনো brand, product, বা service-কে প্রচার করার বিষয়টা মাথায় রাখা হয়। আর এই ধরণের স্পন্সরড ভিডিও বানানোর জন্য ক্রিয়েটররা brand বা company-র থেকে সরাসরি টাকা পেয়ে থাকেন।
অনেক ক্ষেত্রে টাকার বাইরেও কোম্পানির product গুলিও নানান ক্রিয়েটররা কোম্পানির তরফ থেকে পেয়ে থাকেন।
একজন ইউটিউবার হিসেবে আপনি নিজের channel-এর genre, topics, এবং personal interest-এর উপর ভিত্তি করে নানান brands গুলির সাথে যুক্ত হয়ে স্পন্সরড ভিডিও বানালে ভালো।
এতে, আপনার channel subscribers এবং target audience-রা তৈরি করা আপনার ভিডিওটিতে অবশই রুচি রাখবেন এবং ভিডিওতে প্রচুর ভিউস ও পাবেন।
রিলেটেড: ৮টি রেফার করে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ
স্পনসরশিপ ভিডিও ৩টি আলাদা আলাদা ধরণের হতে পারে:
১. Product sponsorships:
এক্ষেত্রে, নানান brands এবং company গুলি আপনাকে তাদের products গুলি পাঠিয়ে থাকে যাতে আপনি তাদের পণ্য গুলি নিজের ভিডিওতে দেখাতে, প্রচার করতে এবং রিভিউ করতে পারেন।
এই ধরণের ভিডিও গুলি সম্পূর্ণটাই কোম্পানির সেই পণ্যের উপর ভিত্তি করে বানানো হয়। উদাহরণ স্বরূপ, আপনারা ইউটিউবে upcoming বা latest smartphone review গুলি তো অবশই দেখেছেন।
এই ধরণের বেশিরভাগ smartphone বা gadget review ভিডিও গুলি আসলে sponsored video হয়ে থাকে।
২. Affiliate sponsorships:
এক্ষেত্রে, ইউটিউব ক্রিয়েটররা তাদের ভিডিওর মধ্যে নানান ধরণের পণ্য বা পরিষেবা গুলির প্রচার করে থাকেন।
এবার, যখনই কোনো ইউজার, প্রচার করা পণ্য গুলি, দিয়ে দেওয়া এফিলিয়েট লিংক/কোড এর মধ্যে ক্লিক করে কিনে থাকেন, তখন প্রতিটি বিক্রির উপর ক্রিয়েটররা কিছু টাকা কমিশন হিসেবে পেয়ে যান।
৩. Paid YouTube sponsorships:
এক্ষেত্রে, যেকোনো ব্র্যান্ড বা কোম্পানির থেকে কিছু টাকা নিয়ে তাদের পণ্য বা পরিষেবার উপর ভিডিও কনটেন্ট বানানো হয়।
এই ধরণের স্পন্সরড ভিডিও বানিয়ে অনেকেই প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন। তবে এক্ষেত্রে, আপনার YouTube channel-এর মধ্যে যত অধিক subscribers থাকবে, ততটাই অধিক টাকা ইনকামের সুযোগ আপনি পাবেন।
অবশই পড়ুন: ঘরে বসে লেখালেখি করে টাকা আয় করতে চান?
৫. এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়:
বিজ্ঞাপন (YouTube Partner Program) এর পর, একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করার আরেকটি দারুন এবং কার্যকর উপায় হলো, এফিলিয়েট মার্কেটিং।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে, আপনাকে আপনার চ্যানেল মেম্বার এবং সাবস্ক্রাইবারদের উপর নিজের প্রভাব ফেলে নানান brand বা company-র পণ্য এবং পরিষেবা গুলি কিনে নিতে বলতে হয়।
এফিলিয়েট মার্কেটিংকে কাজে লাগিয়ে ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়টি অনেক সোজা এবং সুবিধাজনক। এছাড়া, এক্ষেত্রে আপনার লক্ষ লক্ষ subscribers বা views থাকতে হয়না।
যদি আপনার চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবারও আছে, তাহলেও এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যাবে।
একজন creator হিসেবে, আপনি নানান brand এবং company-র এফিলিয়েট প্রোগ্রাম গুলির সাথে যুক্ত হয়ে তাদের পণ্যের প্রচার নিজের ভিডিও গুলির মধ্যে করতে অবশই পারবেন।
এখানে ইনকাম করার প্রক্রিয়াটি অনেক সোজা,
আপনাকে নিজের ভিডিও গুলিতে একটি পণ্য বা পরিষেবার বিষয়ে বলতে হয় এবং সেই পণ্যটির বিষয়ে অধিক জানার জন্য বা পণ্যটি কেনার জন্য আপনাকে একটি বিশেষ এফিলিয়েট লিংক নিজের ভিডিও ডেসক্রিপশন এর মধ্যে দিতে হবে।
এবার, যতবার কোনো viewer দিয়ে দেওয়া আপনার এফিলিয়েট লিংক এর মধ্যে click করে পণ্য বা পরিষেবাটি কিনে নিবেন, আপনি পেয়ে যাবেন এফিলিয়েট কমিশন।
এতে, কম্পানি গুলি তাদের পণ্য গুলির জন্য নিয়মিত নতুন নতুন গ্রাহক পেয়ে যাচ্ছেন এবং আপনিও একজন ক্রিয়েটর হিসেবে কোম্পানির লাভের কিছুটা অংশ কমিশন হিসেবে পেয়ে যাচ্ছেন।
রিলেটেড: অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট
৬. নিজের পণ্য/পরিষেবা বিক্রি:
ইউটিউবে যদি আপনার একটি অনেক বড় ফলোয়ার বেস আছে, সেক্ষেত্রে নানান ব্র্যান্ডেড আইটেম গুলি বিক্রি করিয়েও ইউটিউব থেকে আয় করা সম্ভব।
তবে এক্ষেত্রে আপনার subscribers-দের সাথে আপনার অনেক ভালো ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকতে হবে।
কেননা, এই ধরণের সোশ্যাল শপিং শুধুমাত্র তখন কাজ করবে যখন আপনার চ্যানেলে আগের থেকেই লয়াল ফ্যান বেস আছে যারা আপনার থেকে পণ্য কিনে নিতে আগ্রহী।
গ্যাজেট, খাবার, কাপড়, ডিজিটাল কনটেন্ট, ইত্যাদি সব ধরণের পণ্য আপনি বিক্রি করতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে, আপনি কতটা ক্রিয়েটিভ হয়ে কনটেন্ট তৈরি করছেন এবং নিজের ভিউয়ার দের মন জয় করতে পারছেন, সেটা সম্পূর্ণভাবে আপনার উপর থাকছে।
৭. ইউটিউব সুপার চ্যাট এবং সুপার স্টিকার:
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার নানান দারুন উপায় গুলির মধ্যে আরেকটি হলো, Super Chat & Super Stickers।
এই উপায়ে, আপনি নিজের শ্রোতাদের সাথে সরাসরি এনগেজ হয়ে বা তাদের সাথে কথা বলতে বলতে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর এক্ষেত্রে, Super Chat & Stickers গুলি আপনার কাজে লাগে।
কিভাবে কাজ করে এই Super Chat & Stickers গুলি? চলুন জেনেনেই।
আপনি যখন নিজের ইউটিউব চ্যানেলে live stream করে থাকেন, তখন viewers-রা চাইলে সামান্য কিছু টাকা দিয়ে তাদের messages গুলিকে live chat-এর মধ্যে হাইলাইট/ডিসপ্লে করাতে পারবেন।
এছাড়া viewers-দের কাছে, লাইভ স্ট্রিম এর সময় নানান animated Super Stickers গুলি পাঠানোর সুবিধাও থেকে থাকে।
লাইভ চ্যাট এর মধ্যে দেখানো হয়, এমন এনিমেটেড ইমেজ গুলিও ভিয়ার্সরা সামান্য কিছু টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে পাঠাতে হয়।
এবার, YouTube-এর মধ্যে যদি আপনার মোটামোটি কয়েক হাজার subscribers আছে, এবং আপনি নিয়মিত live sessions/live stream করে থাকেন, সেক্ষেত্রে Super Chats এবং Stickers গুলি আপনার জন্য ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার একটি দারুন এবং কার্যকর উপায় হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।
Super chat feature-টি চালু করার জন্য আপনাকে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে গিয়ে,
YouTube studio >> Earn >> Supers tab, এর মধ্যে click করে Get started-এর মধ্যে click করে ফীচারটি চালু করতে হবে।
সুপার চ্যাট (Super chat) থেকে ইনকাম:
আপনার ইউটিউব একাউন্টে super chat feature শুধুমাত্র তখন চালু করা যাবে যখন আপনার চ্যানেল সেই ফীচার এর জন্য উপযুক্ত হবে।
মানে, আপনার চ্যানেলটি YouTube’s partner program-এর জন্য enable করা থাকতে হবে এবং এক্ষেত্রে একটি একটিভ AdSense account থাকা জরুরি।
একজন ভিউয়ার, তার কাছে থাকা debit বা credit card ব্যবহার করে যেকোনো লাইভ স্ট্রিম এর মধ্যে সুপার চ্যাট এবং স্টিকার গুলি কিনে পাঠাতে পারবেন।
এখানে, আলাদা আলাদা sticker গুলির দাম আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। Viewers-রা 99 cents থেকে শুরু করে $50 পর্যন্ত দামের স্টিকার আপনাকে পাঠাতে পারবেন।
এবার, যত দাম দিয়েই viewers-রা sticker কিনে আপনাকে আপনার লাইভ স্ট্রিম এর মধ্যে পাঠাচ্ছেননা কেন, সেখান থেকে ৩০% ইউটিউব নিজের কাছে রাখবে এবং বাকিটা আপনাকে দিয়ে দিবে।
৮. চ্যানেল প্রমোশন করে ইনকাম:
যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে প্রচুর একটিভ subscribers এবং viewers আছেন, সেক্ষেত্রে YouTube থেকে income করার জন্য আপনি নিজের subscriber network-টি ব্যবহার করতে পারবেন।
মানে, এমন প্রচুর নতুন নতুন YouTube channel গুলি আছেন যারা একটি জনপ্রিয় এবং অধিক সাবস্ক্রাইবার থাকা চ্যানেলে নিজের চ্যানেলটিকে প্রমোশন করিয়ে নিতে চান।
এতে তাদের নতুন চ্যানেল গুলির কিছুটা মার্কেটিং হয়ে যায় এবং প্রচুর নতুন নতুন লোকেরা তাদের চ্যানেলের বিষয়ে জানতে পারেন। সোজা ভাবে বললে, নতুন চ্যানেলের রিচ (reach) বাড়ানোর জন্য এই কাজ করা হয়।
এক্ষেত্রে, আপনি এমন ছোট-ছোট এবং নতুন ইউটিউব চ্যানেলের মালিকদের থেকে সামান্য কিছু টাকা নিয়ে তাদের চ্যানেলের প্রচার নিজের চ্যানেলে করতে পারবেন।
শুনতে অনেক সাধারণ মনে হলেও, হাজার হাজার ইউটিউবাররা এই সিম্পল এবং অনেক সাধারণ উপায়টিকে কাজে লাগিয়ে নিজের চ্যানেল থেকে নিয়মিত ইনকাম করতে পারছেন।
৯. কনটেন্ট লাইসেন্স:
ইউটিউব থেকে আয় করার ১২ পদ্ধতি নিয়ে লিখে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি প্রায় শেষের দিকে চলে এসেছে। আর এখানেই, ইউটিউবে ইনকাম করার একটি ইউনিক স্ট্রেটেজি আপনারা জানবেন।
যদি আপনি নানান ভাইরাল ভিডিও গুলি তৈরি করে থাকেন বা এমন ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে আপনি এক্সপার্ট যেগুলি মূলত নিউজ এর উপর ভিত্তি করে বানানো, তাহলে হতে পারে নানান media outlets/company গুলি আপনার তৈরি করা ভিডিও তাদের platform-এর মধ্যে ব্যবহার করতে চাইছেন।
এবার, Licensing-এর দ্বারা কোম্পানি গুলি আপনার কনটেন্ট গুলিকে কোনো ধরণের অসুবিধা ছাড়া ব্যবহার করতে পারবেন। তবে, এর জন্য তাদেরকে দিতে হবে কিছুটা পারিশ্রমিকবা খরচ (fee)।
এভাবে, আগের থেকে তৈরি করা নানান ভিডিও কনটেন্ট গুলিকে অন্যান্য মিডিয়া প্লাটফর্ম/কোম্পানি গুলির কাছে বিক্রি করিয়েও ইউটিউব থেকে ইনকাম সম্ভব।
Jukinmedia.com-এর মতো, ইন্টারনেটে এমন নানান ওয়েবসাইট গুলি পাবেন, যেগুলিতে গিয়ে আপনি নিজের ভিডিও কনটেন্ট গুলি লিস্ট করতে পারবেন।
এবার, নানান TV channels এবং news sites গুলি চাইলে আপনার ভিডিও কনটেন্ট গুলির লাইসেন্স কিনে নিয়ে সেগুলি তাদের প্লাটফর্ম এর মধ্যে ব্যবহার করতে পারবেন।
রিলেটেড: সেরা ১০টি ফ্রি ডলার ইনকাম সাইট
১০. ব্লগে ট্রাফিক পাঠিয়ে ইনকাম:
এমন অনেক YouTube চ্যানেল আছে যেগুলিতে প্রচুর subscribers এবং views আছে।
এবার, এই ধরণের চ্যানেল গুলি ইউটিউব চ্যানেল থেকে হাজার হাজার ট্রাফিক তাদের blog site-এর মধ্যে পাঠিয়ে, Google AdSense-এর মতো প্লাটফর্ম থেকে প্রচুর ad revenue ইনকাম করে নিচ্ছেন।
আপনি চাইলে আপনিও কোনো টিউটোরিয়াল ব্লগ, ডিজিটাল ডাউনলোড বা ইনফর্মাশনাল, ইত্যাদি এই ধরণের ব্লগ সাইট বানিয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে ব্লগে ট্রাফিক/ভিউ পাঠাতে পারবেন।
নিজের ব্লগ সাইটে, ইউটিউব থেকে পাঠানো ট্রাফিকে কাজে লাগিয়ে নানান মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। যেমন, বিজ্ঞাপন থেকে, এফিলিয়েট মার্কেটিং, রেফাত করে ইনকাম, ইত্যাদি।
১১. ফ্যান ডোনেশন থেকে আয়:
ইউটিউবে যদি আপনার শ্রোতারা আপনাকে অনেক পছন্দ করে, আপনি তাদের জন্য নিয়মিত হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট তৈরি করে থাকেন, সেক্ষেত্রে শ্রোতাদের থেকে সামান্য ডোনেশন চাওয়াটা কখনোই খারাপ বা অযুক্তির বিষয় নয়।
তবে এক্ষেত্রে, আপনার চ্যানেলে লক্ষ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার/ভিউ থাকলে ভালো। যত অধিক সাবস্ক্রাইবার আপনার চ্যানেলে থাকবে, ততটাই অধিক পরিমানে ডোনেশন মানি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
এছাড়া, নিজের ভিউয়ার্স থেকে ডোনেশন চাইলেও সে অনেক সামান্য ডোনেশন হওয়া জরুরি। ডোনেশন হিসেবে হাজার হাজার টাকা চাইলে কেও এতটা টাকা দিতে চাইবেনা।
তবে, যদি ১০-৫০ টাকা চেয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে অনেকেই আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
রিলেটেড: গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার ৭টি উপায়
১২. ইউটিউব শর্টস থেকে ইনকাম:
যেকোনো ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করার আরেকটি দারুন উপায় হলো, ইউটিউব শর্টস।
যদি আপনি লং এবং বড় বড় ভিডিও বানাতে পছন্দ করেননা, বা আপনার কাছে বেশি বড় এবং লং ভিডিও বানানোর সময় নেই, সেক্ষেত্রে, আপনি ছোট ছোট কয়েক সেকেন্ডের শর্ট ভিডিও গুলি বানিয়েও YouTube থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।
ইউটিউবের মধ্যে লং ভিডিও গুলির মতোই শর্ট ভিডিও গুলিতেও বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। আর শর্ট ভিডিওতে দেখানো এই বিজ্ঞাপন গুলির থেকেই আপনি করতে পারবেন ইনকাম।
বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইউটিউব শর্টস থেকে ইনকাম করার ক্ষেত্রেও, আপনার চ্যানেলে YouTube Partner Program (YPP), চালু (enabled) থাকতে হবে।
YouTube Shorts creators-রা revenue per thousand views (RPM) হিসেবে বিজ্ঞাপন থেকে ইনকাম করে থাকেন।
এক্ষেত্রে, বেশিরভাগ শর্টস ক্রিয়েটররা $0.05 থেকে $0.07 প্রতি হাজার ভিউস এর জন্য ইনকাম করে থাকেন, এবং অনুমানিক $50 থেকে $70, প্রতি million views-এর জন্য ইনকাম করেন।
FAQ:
YouTube guidelines-এর মধ্যে অনেক স্পষ্ট ভাবে দিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, যেকোনো YouTube channel থেকে ইনকাম শুরু করার জন্য সবচেয়ে আগেই, গত ১ বছরের মধ্যে 1000 subscriber এবং 4000 minimum watch hours হতে হবে।
ইন্টারনেটে উপলব্ধ নানান Youtube earning calculator গুলি ব্যবহার করে দেখলেই এর অনুমানিক উত্তর আপনারা পেয়ে যাবেন। Tune pocket tool-টি ব্যবহার করে পাওয়া গেছে যে, ইউটিউবে প্রতিদিন ১০০০ ভিউ হলে আপনি অনুমানিক $ 1.36 থেকে $ 3.40, ইনকাম করতে পারবেন।
হ্যা, ইউটিউবের মধ্যে monthly payment system-এর অপসন অবশই রয়েছে যেটিকে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার ইনকাম প্রতি মাসে তুলে নিতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে টাকা ইনকাম করার বিষয়টা এতটা সোজা বা সহজ হয়ে থাকেনি। তবে, নিয়মিয়ত বজায় রেখে রেগুলার ভালো ভালো হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট তৈরি করতে পারলে, প্রায় ১-২ বছরের মধ্যে নিজের চ্যানেল থেকে কিছুটা হলেও ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন।
আজকে আমরা কি জানলা?
যদি আপনি একজন স্টুডেন্ট, মহিলা, বা এমন জেকেও যার কাছে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ ঘন্টার খালি সময় আছে এবং ঘরে বসে অনলাইন মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে চাইছেন, তাহলে YouTube আপনার জন্য online passive income-এর একটি দারুন এবং কার্যকর উপায় হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।
একটি জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারলে, বা যখন নিয়মিত পরিশ্রম করার পর আপনার ইউটিউব চ্যানেলে হাজার হাজার subscribers হয়ে যাবে, তারপর আপনিও নানান মাধ্যমে নিজের চ্যানেল থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
তবে মনে রাখবেন, যেকোনো অন্য কাজ বা ব্যবসার মতোই, ইউটিউবেও কিন্তু আপনাকে প্রচুর সময় দিয়ে নিয়মিত কাজ করতে হবে এবং ভালো ভালো ভিডিও গুলি রেগুলার বানিয়ে আপলোড করতে হবে।
এভাবে কাজ করলে, দেখবেন ১ থেকে ২ বছরের মধ্যেই আপনার চ্যানেলটি কোথায় পৌঁছে যাবে।
তাহলে আশা করছি, আমাদের এই আর্টিকেলের মধ্যে উল্লেখ করা, ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় গুলি আপনাদের ভালো লেগেছে এবং ভবিষ্যতে অবশই কাজে লাগবে।