ঘরে বসে হাতে লেখালেখি করে টাকা আয় করতে চান? উপায় কি?

আপনি কি এজন স্টুডেন্ট? মহিলা? নাকি চাকরির পাশাপাশি নিজের খালি সময়ে কাজ করে এক্সট্রা টাকা আয় করতে চাইছেন?

তবে, যদি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন এবং লেখার ভালো অভিজ্ঞতা আছে, তাহলে নিচে বলে দেওয়া এই সেরা উপায় গুলিকে কাজে লাগিয়ে ফ্রি টাইমে ঘরে বসে হাতে লিখে আয় করতে পারবেন।

লেখালেখি করে টাকা আয় করার এই উপায় গুলি জেকেও কাজে লাগাতে পারবেন। এমনকি আমি নিজেই গত কয়েক বছর ধরে ঘরে বসে হাতে লিখে অনলাইনে টাকা ইনকাম করে চলেছি।

তাই, আমি আমার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে  অনেক ভালো ভাবে আপনাকে বুঝিয়ে বলতে পারবো যে অনলাইনে কোন কাজ গুলি করে আপনি সত্যি লেখালেখি করে আয় করতে পারবেন।

অবশই পড়ুন:

তাহলে চলুন, আর দেরি না করে অনলাইনে কি কি উপায়ে লেখালেখি করে পার্ট-টাইম ইনকাম করা যাবে তা জেনেনেই।

ঘরে বসে হাতে লেখালেখি করে সত্যি টাকা ইনকাম করা যাবে?

এমনিতে অনলাইনে কাজ করে ইনকাম করার প্রচুর উপায়গুলি আপনারা পাবেন।

এই উপায় গুলির দ্বারা অনেকেই প্রতিদিন ৪০০ ৫০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে নিতে পারেন, আবার অনেকেই আছেন যারা কোনো রকমের ইনকাম করতে সফল হতে পারেননা।

ইন্টারনেট থেকে ইনকাম করার মূল ৩টি মূলমন্ত্র রয়েছে।

সেগুলি হলো, কোন কাজটি করছেন, একটি বিশ্বস্ত প্লাটফর্ম এবং আপনার দ্বারা কতটা কাজ বা চেষ্টা করা হচ্ছে। যেকোনো অন্য কাজের মতোই অনলাইন কাজেও আপনাকে সময় দিতে হয় এবং নিজের কাজে মন দিতে হয়।

এখন, যদি আপনি প্রশ্ন করে থাকেন যে, ঘরে বসে লেখালেখি করে আমি কত টাকা ইনকাম করতে পারবো, সেক্ষেত্রে আমার উত্তর হবে, আনলিমিটেড ইনকামের সুযোগ রয়েছে।

ইন্টারনেটে নানান প্লাটফর্ম বা টাকা ইনকামের রাস্তা গুলি রয়েছে, যেগুলির কাজের ধরণ বুঝতে পারলে এবং নিয়মিত সঠিক ভাবে কাজ করতে পারলে, মাসে প্রায় ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা আরামে ইনকাম করা যায়।

উদাহরণ স্বরূপ, একজন কনটেন্ট রাইটার, নিজের খালি সময়ে দিনে কেবল ১ থেকে ২ ঘন্টা কাজ করে প্রতিদিন প্রায় ২০০-৩০০ টাকা আরামে ইনকাম করে নিতে পারেন। আবার যারা ফুল-টাইম কনটেন্ট রাইটিং করেন তারা মাসে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করছেন।

যদি আমি আমার কথা বলি, তাহলে আমি নিজেই blogging করছি এবং গত ৬-৭ বছর থেকে নিয়মিত আর্টিকেল লেখার কাজ করছি। আমি আমার ব্লগে আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে প্রতিমাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আরামে ইনকাম করছি।

এছাড়া, নানান কনটেন্ট রাইটিং প্রজেক্ট গুলি করার মাধ্যমে এক্সট্রা ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করে নিচ্ছি।

তাই, যদি আপনি পার্ট-টাইম হিসেবে দিনে কেবল ৩ থেকে ৪ ঘন্টা মতো লেখালেখি করে এক্সট্রা টাকা আয় করার কথা ভাবছেন, সেক্ষেত্রে প্রায় ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা প্রতি মাসে ইনকাম করার মতো নানান কাজ গুলি পাবেন।

এছাড়া, অনলাইনে blogging, e-book বিক্রি, কনটেন্ট লেখা, ডাটা এন্ট্রি, স্ক্রিপ্ট রাইটিং, ট্রান্সলেশন ইত্যাদির মতো কাজ করে অনেকেই কিন্তু প্রায় ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার বা তার থেকেও অধিক টাকা ইনকাম করছেন।

লেখালেখি করে আয় করার এই অনলাইন উপায় গুলি কাদের জন্য বেস্ট?

এমনিতে, লেখালেখি করে ইনকাম করার এই উপায় গুলি জেকেও ব্যবহার করে কাজে লাগাতে পারবেন। তবে আমি আপনাদেরকে আমার নিজের অভিজ্ঞতার থেকে একটি কথা বলতে চাই। অনলাইনে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করার প্রচুর উপায় রয়েছে।

আজকের আর্টিকেলে আমরা যেই উপায় গুলি নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি সেই উপায় গুলি কাজে লাগিয়েও আনলিমিটেড ইনকাম করা যাবে। তবে, যেকোনো অন্য কাজের মতো এখানেও প্রচুর সময় এবং প্রচেষ্টার প্রয়োজন হবে।

তাই, শুরুতে পার্ট-টাইম হিসেবে কাজ গুলি করলেই ভালো।

এই উপায় গুলি কাজে লাগিয়ে মহিলারাও ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়া, ছাত্রছাত্রীরা, রিটায়ার হয়ে ঘরে বসে থাকা ব্যক্তিরা, চাকরি করা ব্যক্তি বা জেকেও এই কাজ গুলি নিজের খালি সময়ে করতে পারবেন।

তবে, মনে রাখতে হবে যে, কাজ গুলি করার জন্য বেসিক কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট নলেজ থাকতে হবে।

ঘরে বসে হাতে লিখে আয় করার সেরা উপায় গুলি কি?

ঘরে বসে হাতে লিখে আয়
How to Earn Money Online by Writing?

চলুন, আর সময় নষ্ট না করে আপনাকে সরাসরি সমাধানের দিকে নিয়ে যাই।

মনে রাখবেন, নিচে আমি লেখালেখি করে টাকা আয় করার যেই উপায় গুলি আপনাদের বলবো সেগুলি কিন্তু প্রমাণিত এবং অনেকেই এই মাধ্যমে অনলাইন থেকে টাকা আয় করছেন।

তবে আপনি কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন, সেটা সম্পূর্ণ ভাবে আপনার উপর থাকছে।

লেখালেখি করে আয় (উপায়):কাজের ধরণ:
১. Blogging করে ইনকামনিজের সাইটে আর্টিকেল পাবলিশ।
২. ফ্রিল্যান্স আর্টিকেল/কনটেন্ট লিখুনঅন্যের জন্যে কনটেন্ট লিখুন।
৩. স্ব-প্রকাশনা (ই-বুক)ই-বই তৈরি করে বিক্রি।
৪. ঘোস্ট রাইটিংঅন্যদের দিয়ে আর্টিকেল লিখাতে হয়।
৫. নিউজ ব্লগ/সাইটনিজের একটি নিউজ পোর্টাল তৈরি।
৬. রিজিউম এবং এপ্লিকেশনপ্রফেশনাল রিজিউম তৈরি।
৭. লেখালেখি করে আয় করার ওয়েবসাইটনানান সাইট গুলিতে লিখতে হয়।
৮. ভিডিওর জন্য স্ক্রিপ্ট রাইটিংস্ক্রিপ্ট তৈরি করতে হবে।
৯. ক্যাপচা পূরণ সাইটক্যাপচা পূরণ করে ইনকাম।
১০. ডাটা এন্ট্রি জবসডাটা এন্ট্রির কাজ করতে হয়।

উপরে আমি যেই কাজ গুলির কথা বলেছি সেগুলি অনলাইনে নানান প্লাটফর্ম বা ওয়েবসাইট গুলির দ্বারা পেয়ে যাবেন। তবে, কোন কাজ আপনি কোথায় পাবেন সেটা আগের থেকে জানার জন্যে নিচে বলে দেওয়া তথ্যগুলি ভালো করে পড়ুন।

১. Blogging করে ইনকাম:

যদি আপনি একজন স্টুডেন্ট বা মহিলা বা এমন কোনো ব্যক্তি যার কাছে দিনে বা রাতে ২ থেকে ৪ ঘন্টা খালি সময় থাকে এবং যে নিজের খালি সময়টিকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে লেখালেখি করে পার্ট-টাইম ইনকাম করতে চান, সেক্ষেত্রে ব্লগিং আপনার জন্যে একটি সেরা বিকল্প।

আমি নিজেই ব্লগিং করছি এবং প্রতিমাসে মোটামুটি ভালো পরিমানের টাকা ইনকাম করে নিচ্ছি। আর সেটাও নিজের পছন্দের বিষয়ে আর্টিকেল লিখে।

কিভাবে করবেন ব্লগিং:

  • আপনাকে নিজের একটি ব্লগ সাইট তৈরি করতে হবে।
  • নিয়মিত নিজের ব্লগে পছন্দের বিষয়গুলি নিয়ে আর্টিকেল লিখতে হবে।
  • SEO এবং Blog management-এর সাধারণ জ্ঞান থাকলেও কাজ চলবে।
  • ব্লগে ট্রাফিক আসতে শুরু হলে নানান মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
  • নিজের ব্লগে Google AdSense দ্বারা বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করাটা লাভজনক ও সেরা।

অবশই পড়ুন: গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার ৭টি উপায়

২. ফ্রিল্যান্স আর্টিকেল/কনটেন্ট লিখুন:

একটি ব্লগ সেটআপ করার মতো বেসিক টেকনিকাল বিষয় গুলিতে মাথা লাগাতে না চাইলেও চিন্তা নেই। কেননা, লেখালেখি নিয়ে রুচি থাকলে আপনি অন্যান্য নানান মাধমেও ঘরে বসে নিজের খালি সময়ে হাতে লিখে আয় করতে পারবেন।

এই নানান উপায় গুলির মধ্যে একটি হলো, ফ্রিল্যান্স আর্টিকেল/কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ। এক্ষেত্রে আপনাকে অন্যান্য ব্লগ, ওয়েবসাইট, অনলাইন পেজ, ইত্যাদির জন্য একটি বিশেষ বা একাধিক বিষয়ে আর্টিকেল/কনটেন্ট লিখতে হয়।

কাজ খুজার এবং পাওয়ার জন্য আপনারা নানান ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সাইট গুলিতে গিয়ে কাজ খুঁজতে পারবেন।

এছাড়া, সরাসরি blog website গুলির মালিকদের সাথে যোগাযোগ করে বা LinkedIn-এর মতো নানান সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ/পেজ গুলিতে গিয়েও কাজ খুঁজতে পারবেন।

কিভাবে ফ্রিল্যান্স কাজ শুরু করবেন:

  • আপনার কাছে দিনে ৩-৪ ঘন্টার খালি সময় আছে নাকি দেখুন।
  • লেখালেখি নিয়ে সাধারণ কৌশল ও দক্ষতা অবশই থাকতে হবে।
  • চাইলে কিছুদিন প্রাকটিস করুন এবং কিভাবে আর্টিকেল কনটেন্ট লিখবেন সেটা শিখুন।
  • আপনি কোন ভাষায় কনটেন্ট লিখবেন, বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি, সেটা নিশ্চিত করুন।
  • ব্লগ/ওয়েবসাইট মালিকদের যোগাযোগ করুন এবং নিজের কাজের বিষয়ে বলুন।
  • আপনি চাইলে সোশ্যাল মিডিয়া, ব্লগিং গ্রুপ এবং freelancing site গুলিতেও কাজ খুঁজতে পারবেন।
  • আর্টিকেল লেখার কাজ পাওয়ার জন্য LinkedIn একটি সেরা প্লাটফর্ম।
  • অনেক জনপ্রিয় ব্লগ সাইট গুলি রয়েছে যেখানে নিয়মিত কনটেন্ট পাবলিশ করতে হয়।
  • এমন ২-৩ টি ব্লগ এর জন্যে আর্টিকেল লেখার কাজ পেয়েও নিয়মিত ইনকাম করতে পারবেন।

৩. স্ব-প্রকাশনা (ই-বুক):

Amazon Kindle Direct Publishing-এর মতো নানান অনলাইন ডিজিটাল ই-বই পাবলিশ করার প্লাটফর্ম গুলি রয়েছে যেগুলিতে গিয়ে নিজের লেখা গল্প, জ্ঞান, টিউটোরিয়াল ইত্যাদি অনলাইন বিক্রি করতে পারবেন।

এই ধরণের প্লাটফর্ম গুলি আপনারা সম্পূর্ণ ফ্রীতে ব্যবহার করতে পারবেন এবং বিক্রি হওয়া আপনার প্রতিটি e-book-এর জন্য আপনাকে প্রায় ৬০%-৭০% লভ্যাংশ বা রয়্যালটি দিয়ে দেওয়া হয়।

তবে মনে রাখবেন, ঘরে বসে হাতে লিখে আয় করার এটা একটি দারুন ও লাভজনক উপায় হলেও, এখানে শুরুতে কষ্ট করে একটি দারুন এবং জবর ই-বই লিখতে হবে।

আপনি লোকেদের নানান সমস্যার সমাধান নিয়ে লিখতে পারেন, বা কোনো অনলাইন কোর্স তৈরি করতে পারেন। মনে রাখবেন, যেই বিষয়ে লোকেরা প্রচুর রুচি রাখেন, যেই বিষয়ে জানতে ও শিখতে চান, সেই বিষয়ে ই-বুক তৈরি করলে ভালো।

এছাড়া, মজার মজার গল্প লিখে সেগুলিকে ই-বই হিসেবে তৈরি করে বিক্রি করাটা অনেক সোজা এবং লাভজনক আইডিয়া।

ইন্টারনেটে খানিকটা ঘেটে দেখলেই, নানান e-book publishing platforms গুলি আপনারা পাবেন।

অবশই পড়ুন: কিভাবে অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করব?

৪. ঘোস্ট রাইটিং করে ইনকাম:

আমি আগেই বলেছি, ইন্টারনেটে যেকোনো ধরণের কনটেন্ট এর চাহিদা বর্তমানে প্রচুর। যেকোনো ব্লগ, ওয়েবসাইট এমনকি বেশিরভাগ ছোট-বড় কোম্পানিগুলি তাদের ওয়েবসাইট/ব্লগ এর মধ্যে ব্যবসার সাথে রিলেটেড আর্টিকেল/কনটেন্ট পাবলিশ করে থাকেন।

এক্ষেত্রে, এটা আপনার জন্য লেখালেখি করে এবং অন্যদের দ্বারা লেখালেখি করিয়ে টাকা ইনকামের দারুন একটি সুযোগ বলাই যায়।

একজন গোস্ট রাইটার হল এমন একজন ব্যক্তিকে যাকে, সাহিত্য বা সাংবাদিকতামূলক কাজ, বক্তৃতা, বা অন্যান্য টেক্সট রিলেটেড কনটেন্ট গুলি লেখার জন্য নিয়োগ করা হয় এবং তাকে তার লেখা কনটেন্ট গুলি লেখক হিসাবে অন্য ব্যক্তির কাছে জমা দিতে হয়।

একজন ঘোস্ট লেখক হিসেবে আপনি নানান কোম্পানি, ব্র্যান্ড এবং ব্যক্তিদের জন্য নানান কনটেন্ট গুলি লিখতে পারবেন।

তাই, যারা লেখালেখির কাজ গুলি করতে পছন্দ করেন এবং এই কাজে রুচি রাখেন, তাদের জন্য ঘোস্ট লেখক এর ক্যারিয়ারটি হয়ে উঠতে পারে একটি ফলপ্রসূ ক্যারিয়ার অপসন।

কিভাবে শুরু করবেন ঘোস্ট রাইটিং:

  • আপনার লেখার কৌশল ও দক্ষতা উন্নত করতে হবে। গোস্টরাইটার হতে হলে আপনাকে বিভিন্ন ধরণের লেখার দক্ষতা অর্জন করতে হয়।
  • আপনাকে একটি পোর্টফোলিও তৈরি করতে হবে। আপনার লেখার দক্ষতাগুলি লোকেদের দেখাতে হলে একটি পোর্টফোলিও তৈরি করতেই হবে।
  • পেশাদার অভিজ্ঞতা না থাকে তবে বিভিন্ন বিষয়ে স্যাম্পল আর্টিকেল লিখে সেগুলির লিংক পোর্টফোলিওতে যুক্ত রাখুন।
  • কিছু নির্দিষ্ট ইন্ডাস্ট্রি বা নিশ (niche) নির্বাচন করুন। কোন বিষয়ে লিখতে পছন্দ করেন সেটা খুঁজে বের করুন এবং সেই বিষয়ে লিখুন।
  • অনলাইন এবং অফলাইন রাইটিং কমিউনিটি গুলিতে যুক্ত হতে হবে। এতে, সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট এবং অন্যান্য লেখকদের সাথে কানেক্ট হতে পারবেন।
  • Upwork, Fiverr, এবং Freelancer-এর মতো platform গুলিতে একাউন্ট তৈরি করুন এবং কাজ/ক্লায়েন্ট খুঁজে নিন।
  • নিজের একটি পার্সোনাল ওয়েবসাইট/ব্লগ তৈরি করে নিজের বিষয়ে, নিজের কাজ এবং অভিজ্ঞতা গুলির বিষয়ে তথ্য পাবলিশ করুন। এতে আপনার জনপ্রিয়তা এবং অনলাইন উপস্থিতি প্রচুর বাড়বে।
  • যেই লেখার কাজ গুলি করবেন, সেগুলিকে সময় মতো এবং সঠিক ভাবে সম্পূর্ণ করতে হবে।

অবশই পড়ুন: স্টুডেন্টদের জন্য অনলাইন পার্ট টাইম জব শুরু করার উপায়

৫. নিউজ ব্লগ/সাইট তৈরি করে ইনকাম:

যদি আপনি তথ্যবহুল এবং লং-ফর্ম মানে বড় বড় আর্টিকেল গুলি লিখতে পারেননা বা চাননা, সেক্ষেত্রে একটি নিউজ ব্লগ সাইট তৈরি করেও সেখানে নানান নতুন এবং ট্রেন্ডিং খবর গুলি ৩০০ থেকে ৫০০ শব্দের মধ্যে লিখে পাবলিশ করতে পারবেন।

একটি নিউজ ব্লগ এমনিতে একটি লং-ফর্ম নিশ ব্লগের তুলনায় এতটা জটিল না। এখানে আপনাকে মূলত ছোট ছোট আর্টিকেলের ধরণে নিউজ কনটেন্ট গুলি লিখে পাবলিশ করতে হবে।

একটি নিউজ ব্লগেও আপনারা Google AdSense দ্বারা বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইন্টারনেট থেকে অনলাইলে টাকা আয় করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে কি ধরণের টপিক গুলি নিয়ে নিউজ আর্টিকেল লিখবেন সেটা আগেই ভেবে রাখতে হবে। যেমন ধরুন, প্রযুক্তি, গ্যাজেট, মোবাইল, গেমিং, পলিটিক্স ইত্যাদি।

এছাড়া, নিউজ ব্লগ সাইট শুরু করতে হবে আপনাকে একটি ডোমেইন নাম কিনতে হবে এবং একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে নিতে হবে।

অবশই পড়ুন: ৮টি রেফার করে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ

৬. রিজিউম এবং এপ্লিকেশন:

অনেকেই আছেন যারা একটি প্রফেশনাল এপ্লিকেশন বা রেসুমে লিখতে পারেননা।

এক্ষেত্রে, যদি আপনার কাছে এই ধরণের কনটেন্ট লেখার দক্ষতা এবং নলেজ আছে, তাহলে আপনি অনলাইনে এবং অফলাইনে প্রফেশনাল এপ্লিকেশন বা রেসুমে গুলি লিখে পার্ট-টাইম ইনকাম করতে পারবেন।

কাজ পাওয়ার জন্যে নানান online freelancing platform গুলিতে যেতে পারেন অথবা social media groups এবং pages গুলিতে গিয়েও কাজ খুঁজতে পারবেন। LinkedIn-এর মতো প্লাটফর্ম গুলি এক্ষেত্রে আপনার প্রচুর কাজে আসবে।

৭. লেখালেখি করে আয় করার ওয়েবসাইট:

ইন্টারনেটে এমন নানান ওয়েবসাইট গুলি আপনারা পাবেন যেগুলিতে গিয়ে নিজের একটি একাউন্ট তৈরি করে লেখালেখি করতে পারবেন। মানে, মূলত আপনাকে নানান বিষয়ে আর্টিকেল গুলি লিখে তাদের সাইটে পাবলিশ করতে হয়।

আপনার লেখা আর্টিকেলের কোয়ালিটি এবং গভীরতার উপর নির্ভর করে প্রতিটি আর্টিকেলের জন্য আপনাকে পেমেন্ট করা হয়।

বাংলা আর্টিকেল লিখে ইনকাম করার কিছু ওয়েবসাইট,

  • Fiverr – এটা একটি freelancing marketplace যেখানে কনটেন্ট লেখার কাজ পাবেন।
  • StudyKoro.com – বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করার সুযোগ। পড়াশোনা, ইঞ্জিনিয়ারিং, পারিবারিক জীবন, কম্পিউটার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইত্যাদি নানান বিষয়ে লিখতে পারবেন। Bkash-এর দ্বারা টাকা তুলার অপসন দেওয়া হবে।
  • Priyo Blog – Business, Economics, Game Entertainment, Life Science and Technology, Food and Recipes, Literature, ইত্যাদি নানান বিষয়ে লিখতে পারবেন। আপনার লেখা প্রকাশ হওয়ার ৩০ দিন পর্যন্ত লেখাটি যতবার পাঠ হবে তার ওপর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ লেখকের অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেওয়া হবে।
  • Probangla.com – প্রো বাংলা হলো আরেকটি সাইট যেখানে আর্টিকেল লিখে টাকা ইনকাম করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। যারা বাংলা কন্টেন্ট লিখতে রুচি রাখেন, তাদের কথা মাথায় রেখে প্রো বাংলা সাইটটিতে বাংলা আর্টিকেল লেখার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এখানেও একাধিক টপিক নিয়ে কনটেন্ট পাবলিশ করতে পারবেন।
  • Techtunes.io – টেকটিউনস হল একটি অনেক জনপ্রিয় ও বিখ্যাত বাংলা প্রযুক্তি ব্লগ যেখানে নানান টেকনিক্যাল বিষয় গুলি নিয়ে কনটেন্ট পাবলিশ করা হয়। এছাড়া, এটা জনপ্রিয় বাংলা কন্টেন্ট লেখার সাইটগুলির মধ্যে আরেকটি।

এছাড়াও আরো নানান বাংলা ব্লগ সাইট গুলি আপনারা ইন্টারনেটে পেয়ে যাবেন যেগুলিতে কনটেন্ট লেখার জন্য টাকা দেওয়া হয়।

৮. ভিডিওর জন্য স্ক্রিপ্ট রাইটিং:

ব্লগ এবং ওয়েবসাইটের বাইরেও ভিডিও ব্লগিং এবং ভিডিও কনটেন্ট গুলির জনপ্রিয়তা প্রচুর বেড়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে আপনারা নানান কোম্পানি, সোশ্যাল মিডিয়া পেজ, ব্র্যান্ড, ইউটিউবের জন্য ভিডিওর স্ক্রিপ্ট তৈরি করার কাজ করতে পারবেন।

একটি ভিডিওতে কি কি বলতে হবে, কি কি বিষয়ে ভিডিও বানানো হবে, বিষয় গুলিতে কি কি বিবরণ থাকবে, সবটা একজন দক্ষ স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে আপনাকে করতে হবে।

এই ধরণের স্ক্রিপ্ট লেখার কাজের জন্যে আপনারা নানান freelancing প্ল্যাটফরম বা ইউটিউবারদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল পেজে গিয়ে কাজের খবর করতে পারবেন।

এছাড়া, LinkedIn-এর মতো সোশ্যাল প্লাটফর্ম গুলিতে গিয়েও এই ধরণের কাজ গুলি পেয়ে যাবেন।

৯. ক্যাপচা পূরণ সাইট:

আপনি যদি লেখালেখি করে নিজের খালি সময়ে ইন্টারনেট থেকে সামান্য পরিমানের টাকা ইনকাম করতে চান, সেক্ষেত্রে ক্যাপচা পূরণ করে রিওয়ার্ড ইনকাম করার সাইট গুলি ব্যবহার করতে পারবেন।

ইন্টারনেটে এমন নানান captcha পূরণ করে ইনকাম করার সাইট গুলি আছে যেগুলিতে গিয়ে সাধারণ ক্যাপচা গুলি দেখে দেখে সঠিক ভাবে জমা দিতে হয়।

এই ওয়েবসাইট গুলি আপনাকে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করার সুযোগ দিবেনা যদিও, ১০০০টি ক্যাপচা সঠিক ভাবে জমা দিতে পারলে প্রায় $1 থেকে $2 ডলার, মানে প্রায় ৮০ থেকে ১৬০ টাকা ইনকাম করার কথা বলা হয়েছে।

তাই, দিনে প্রায় ১ থেকে ২ ঘন্টা কাজ করেই এই ধরণের সাইট থেকে টাইপিং করে ছোটোখাটো ইনকাম করা যেতে পারে।

ক্যাপচা লিখে টাকা ইনকাম করার কিছু ওয়েবসাইট গুলি হলো,

  • 2CAPTCHA.
  • CAPTCHA Typers.
  • Mega Typers.
  • ProTypers.
  • Kolotibablo.
  • CAPTCHAClub

এগুলো ছাড়াও আরো নানান সাইট ইন্টারনেটে পেয়ে যাবেন।

FAQ: লেখালেখি করে ইনকাম:

১. ঘরে বসে হাতে লিখে আয় করার সেরা উপায় গুলি কি?

যদি আপনি ঘরে বসে নিজের খালি সময়ে অনলাইনে লেখালেখি করে টাকা ইনকাম করতে চাইছেন, সেক্ষেত্রে ব্লগিং করা, আর্টিকেল ও কনটেন্ট লেখা, ডাটা এন্ট্রির কাজ, ফ্রিল্যান্স রাইটিং, ভিডিও স্ক্রিপ্ট লেখা, ট্রান্সলেশন এর কাজ, ক্যাপচা পূরণ করার কাজ ইত্যাদি এই ধরণের কাজ গুলি করতে পারবেন।

২. নিজের গল্প লিখে টাকা আয় করা যাবে কি?

যদি আপনি গল্প লিখে ইনকাম করতে চাইছেন, সেক্ষেত্রে নিজের একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে সেখানে নিজের গল্প গুলি রেগুলার পাবলিশ করতে পারবেন। একবার ব্লগের জনপ্রিয়তা বাড়লে, বিজ্ঞাপনের দ্বারা ব্লগ থেকে ইনকাম করা যাবে। এছাড়া আপনি চাইলে ই-বই তৈরি করে সেগুলি বিক্রি করতে পারবেন।

৩. কিভাবে অনলাইনে লেখালেখি করে আয় করা যায়?

আমার হিসেবে অনলাইনে লেখালেখি করে টাকা আয় করার সেরা উপায় হলো, freelance কনটেন্ট লোখা। এক্ষেত্রে, আপনাকে নানান ব্লগ, ওয়েবসাইট এবং কম্পানিদের অনলাইন ব্লগ বা পেজের জন্য আর্টিকেল বা অন্যান্য কনটেন্ট গুলি লিখতে হয়।

Leave a Comment

error: